রোহিঙ্গা প্রশ্নে কার কী অবস্থান

নিজের দেশ তাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেয় না, প্রতিবেশীরাও গ্রহণ করতে চায় না- এই হল রোহিঙ্গা; জাতি সংঘের এক কর্মকর্তার ভাষায়, মিয়ানমারের এই মুসলিমরাই সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে ‘বন্ধুহীন জনগোষ্ঠী’।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2017, 05:40 AM
Updated : 7 Sept 2017, 04:59 PM

মিয়ানমারে জান্তা সরকার আমলে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে লাখে লাখে রোহিঙ্গাকে ছাড়তে হয় রাখাইন প্রদেশ। দেশটিতে রাজনৈতিক পরিবর্তনে গণতান্ত্রিক সরকার এলেও রোহিঙ্গাদের ভাগ্যের বদল হয়নি। 

রাখাইন প্রদেশে গত ২৫ অগাস্ট নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর আবার পালাতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের; গন্তব্য তাদের পাশের দেশ বাংলাদেশ। জাতি সংঘ শরণার্থী সংস্থার হিসাবে ইতোমধ্যে অর্ধ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেও পড়েছেন।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন সেনা অভিযানে তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, ধর্ষণ, নির্বিচারে হত্যার কথা। তবে এসবকে অতিরঞ্জিত বলে আসছে মিয়ানমার সরকার। বরঞ্চ সহিংসতা শুরুর জন্য আরাকান রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবিতে সক্রিয় বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের দায়ী করছে তারা। 

রোহিঙ্গাদের উপর এখনকার দমন-পীড়নকে ১৯৯৫ সালের বসনিয়ার মুসলিম গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, কার্যত রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথেষ্ট মনোযোগী নয়।

কী ঘটছে রাখাইনে?

মিয়্নামারে ১০ লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা মূলত থাকেন রাখাইন প্রদেশে; ১৪ হাজার বর্গমাইলের এই রাজ্যে তাদের জনসংখ্যার হার ৪২ শতাংশ। রাখাইনের মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

রাখাইন প্রদেশে বিভিন্ন সময় দমন-পীড়ন শিকার রোহিঙ্গাদের একটি দল স্বাধীন আরাকান প্রতিষ্ঠায় ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরএসএ)’ গঠন করে সক্রিয় রয়েছে।

গত ২৫ অগাস্ট রাতে রাখাইনে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে এই আরএসএ’ই হামলা চালায় বলে মিয়ানমার সরকারের ভাষ্য; এরপরই রাজ্যটিতে শুরু হয় সেনা অভিযান।

এই সহিংসতায় এই পর্যন্ত ৪ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে; তার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।

বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন যুক্তরাজ্যের নেতা তুন খিনের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনী এখন রোহিঙ্গা গণহত্যা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে সেনা অভিযানের পক্ষে মিয়ানমার সরকারের যুক্তি, সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে তাদের এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।

সহিংসতার মধ্যে বাড়ির পর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাখাইনে। মিয়ানমার সরকার বলছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরাই এসব করছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের অভিযোগের আঙুল সেনাবাহিনীর দিকে।

 

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা অনেক রোহিঙ্গার গুলি ও আগুনের ক্ষত সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা তুলে ধরে। তবে রাখাইনে আসলে কী ঘটছে, তা পুরোপুরি জানার উপায় নেই, কেননা সংঘাতময় এলাকায় সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

জাতি সংঘ কর্মকর্তারা বলছে, বিদ্রোহীদের হামলার দায় একটি গোটা জনগোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এটা দৃশ্যত একটি জনগোষ্ঠীকে মুছে ফেলারই প্রয়াস।

কী করছেন সু চি?

মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা দূর অতীতের আরব বণিকদের বংশধর বলে মনে করা হয়। বহুকাল ধরে তারা মিয়ানমারের আরাকানে (নাম বদলে যা এখন রাখাইন) বসবাস করলেও মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ। মিয়ানমার সরকারের দাবি, এরা বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী।

এই মুসলিম রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আস্থাহীনতার সম্পর্কও চলে আসছে বহু দিন ধরে। দেশটিতে সামরিক সরকারের সময় দূরত্ব আরও বেড়ে যায়। তারপর কয়েক দফায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনাও ঘটে।

২০১৫ সালে মিয়ানমারে ঐতিহাসিক পালাবদলে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির দল ক্ষমতায় যাওয়ার পর রোহিঙ্গা সঙ্কট অবসানের একটি পথরেখা তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছিল; কিন্তু সূ চি এই সমস্যার মূলে যেতে পারেননি বলে পর্যবেক্ষকদের মুল্যায়ন।

সঙ্কটের জন্য রোহিঙ্গাদেরই দায়ী করে সু চি গত ডিসেম্বর বলেছিলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি যতটা, তার চেয়ে বড় করে দেখানো হচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রশ্নে অং সান সু চির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অনেকেই- ছবি: রয়টার্স

সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের প্রশংসাও করেন সেনা শাসনে কয়েক দশক গৃহবন্দি থাকা সু চি। সেনা শাসনের অবসান ঘটলেও সেনা প্রভাব থেকে এখনও সু চিও মুক্ত নন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

ইউরোপে রোহিঙ্গাদের নেতা তুন খিনের ভাষায়, সু চি মূলত সেনাবাহিনীর অপরাধ ঢেকে রাখারই চেষ্টা করছেন।

কোনো কোনো পর্যবেক্ষক মনে করছেন, রাখাইনে জাতিগত সংঘাতের জটিল ব্যাপারটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পুরোপুরি বুজে উঠতে পারছে না।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মিয়ানমার গবেষক খিন মার মার চি বলেন, মিয়ানমারে রাখাইনরা কিন্তু বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা একটি জনগোষ্ঠী। সে সেখানে পশ্চিমা গণমাধ্যমে শুধু রোহিঙ্গাদের মানবিক সঙ্কটের কথা বলাটা একপেশে। 

তবে তার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার লোকও আছে। অস্ট্রেলিয়ার ডেকিন ইউনিভার্সিটির রোনান লি বলেন, রাখাইনরাও বাস্তুচ্যুত হতে পারে, তবে অন্য একটি জনগোষ্ঠীকে অধিকার খর্ব করা তার সমাধান হতে পারে না।

মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশে সহিংসতায় নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছে রাখাইন সম্প্রদায়ও- ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি সূ চি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, রাখাইনে বৌদ্ধরা জনসংখ্যার হারে তাদের কমে যাওয়া নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

গত বছরের সহিংসতার পর মিয়ানমার সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল, তাদের প্রতিবেদনে সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের কোনো প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানানো হয়।

তবে সাবেক জেনারেল ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ত সুই নেতৃত্বাধীন ওই কমিশনের প্রতিবেদন মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

কী করছে জাতিসংঘ?

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের নিন্দা জানিয়ে এলেও এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ জাতি সংঘের নেই বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ।

২০০৯ সালে জাতি সংঘের তৎকালীন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, রোহিঙ্গারা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুহীন জাতি। তারপর বিভিন্ন সময়ে জাতি সংঘ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একই রকম বক্তব্য এসেছিল।

জাতি সংঘ শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তা সম্প্রতি দ্বিতীয় বারের মতো বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা হচ্ছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট অবসানে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া সুপারিশগুলো না মানায় মিয়ানমার সরকারের নিন্দাও জানান ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা।

রাখাইনে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার তদন্তের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে জাতি সংঘ। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দাতব্য সংস্থাগুলোকে ঢুকতে দেওয়ার আহ্বানও রয়েছে বিশ্ব সংস্থাটির।

উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা ভিজছে বৃষ্টিতে- ছবি: রয়টার্স

রাখাইন প্রদেশ সংলগ্ন দেশগুলোকে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে জাতি সংঘ শরণার্থী সংস্থা।

সংস্থার মুখপাত্র ভিভিয়ান তান বলেছেন, এই মানবিক সঙ্কট অবসানে একটি আঞ্চলিক টাস্ক ফোর্স গঠন করা এখন সময়ের দাবি।

এদিকে সু চির উদ্যোগে গঠিত জাতি সংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান নেতৃত্বাধীন কমিশন সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। তাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিক স্বীকৃতি দেওয়াসহ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে।

কী ভূমিকা বাংলাদেশের?

মিয়ানোরের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগছে বাংলাদেশ। দশকের পর দশক ধরে ৫ লাথের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভার বহন করছে প্রতিবেশী দেশটি; সেই সঙ্গে নতুন করে সংঘাত দেখা দিলেই রোহিঙ্গাদের ঢল নামছে।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গত বছর যে সংখ্যক শরণার্থী নিয়েছে, তার চেয়ে বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী কয়েক দশক ধরে রয়েছে বাংলাদেশে।

কক্সবাজারের কয়েকটি শরণার্থী শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা থাকলে ক্যাম্পের বাইরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তারও বেশি।

গত শতকের ৮০ এর দশক থেকে বাংলাদেশে ঢোকা ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে ঢাকার পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো হলেও তাতে গা করছে না মিয়ানমার।

এরপর ২০১২ সালে রাখাইনে সংঘাতের সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ, থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশগুলো রোহিঙ্গাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে সাগরে নৌকা ডুবে অনেক রোহিঙ্গার মৃত্যু ঘটে।

গত বছর আবার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামলে একই অবস্থান নেয় বাংলাদেশ সরকার।

পুরনো শরণার্থীদের ভারের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জঙ্গি তৎপরতাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার যুক্তিও দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন

গত বারের মতো এবারও সীমান্ত খুলে না দিলে মানবিক কারণে অনেক রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। এদের অনেকে নারী ও শিশু, কেউ কেউ জখম নিয়ে এসেছেন।

গত বছর ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ঢোকার পর এবার এক সপ্তাহে বাংলাদেশে একই সংখ্যক রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছেন বলে জাতি সংঘ শরণার্থী সংস্থার হিসাব।

সীমান্তে শরণার্থীদের ঢল কমাতে মিয়ানমার সরকার যেন উদ্যোগ নেয়, সেজন্য তাদের চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি সীমান্তে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতা রোধে যৌথ অভিযানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে মিয়ানমারকে।

বাংলাদেশে বিএনপি রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার পক্ষপাতি। বিভিন্ন ইসলামী দলও একই দাবি জানিয়ে আসছে। বামপন্থি দলগুলো মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের প্রতি নির্দয় না হতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।

কী করছে অন্যরা?    

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এক দেশ অন্য দেশের সমালোচনা এড়িয়ে চলে। ১০ সদস্য দেশের আসিয়ান জোট এই নীতি ধরে চলে বলে তাদের কাছ থেকে সাধারণত মিয়ানমারের সমালোচনা আসে না।

কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মুসলিম প্রধান দেশগুলো মিয়ানমারের সমালোচনা করছে। সু চির এখনকার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক শান্তিতে মিয়ানমারের নেত্রীর তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

রাখাইনে জ্বালিয়ে দেওয়া একটি ঘরের সামনে মিয়ানমারের এক পুলিশ- ছবি: রয়টার্স

রোহিঙ্গাদের সমর্থনে এক সমাবেশে তিনি বলেছেন, “এটা আমাদের সমস্যা মনে করে বিশ্ব চুপ করে বসে থাকতে পারে না।

মালয়েশিয়ার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী খায়রি জামালউদ্দিন আসিয়ানে মিয়ানমারের সদস্যপদ পর্যালাচনার দাবিও তুলেছেন।

রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থেকে ইউরোপের মুসলিম দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি রোহিঙ্গাদের উপর দমন-পীড়ন বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

তবে সবার তৎপরতাই বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ; এর মধ্যেই পালাতে গিয়ে নদীতে ডুবে লাশও হচ্ছে হচ্ছে রোহিঙ্গারা।

[বিবিসির প্রতিবেদনকে মূল ধরে আর তথ্য যুক্ত করে তৈরি এই প্রতিবেদন]