সেখানকার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিকের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইনে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর ওই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
ওই রাতের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্বসংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “মহাসচিব ওই হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সহিংসতার মূল অনুসন্ধান এবং সেখানকার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিতে মিয়ানমার সরকারকে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পুনরায়।”
রাখাইন রাজ্যের বিষয়ে সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন স্বাধীন কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে গুতেরেস সুপারশিগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
বিদ্রোহীদের হামলার রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানের মুখে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাফ নদী ও স্থল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ অংশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীদের গুলি করার ঘটনাও ঘটেছে।
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার অবস্থানের বিষয়টি স্মরণ করে বিবৃতিতে মহাসচিব গুতেরেস পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
“(মহাসচিব) নিরাপত্তা এবং সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা মানুষ যাতে সহজেই আশ্রয় নিতে পারে, তা নিশ্চিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।”
এক্ষেত্রে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশকে সবধরনের সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতিসংঘ।