বুধবার দিনের প্রথমভাগে এই ঘটনা ঘটে বলে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) থেকে জানানো হয়েছে।
বিবিসি বলছে, উদ্ধারকারী দল ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যাঞ্চলীয় কিগাল্লে জেলা থেকে ১৫০ জনকে উদ্ধার করেছে।
কিন্তু অন্যজেলায় নিখোঁজ আরো ১৩৪ জনের বেঁচে থাকার আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে।
সারারাত তৎপরতা চালিয়ে জীবিত অথবা মৃত কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুধু বুধবার ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলার অন্য অংশে অপর একটি ভূমিধসের ঘটনায় পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে উন্নীত হয়েছে।
ঝড়ো বৃষ্টির কারণে শ্রীলংকার বিভিন্ন অংশে ভূমিধস ও বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সরকারি হিসাবে দেশটিতে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
দেশটির আরানায়েক জেলাই সবচে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসের কারণে সেখানকার তিনটি গ্রাম বিপুল পরিমাণ মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেনা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল সম্ভাব্য জীবিতের কাছে পৌঁছুতে পারছে না।
মেজর জেনারেল সুদান্ত রানাসিঙ্গে বলেন, “এই মুহূর্তে আমার আশঙ্কা নিখোঁজ ১৩৪ জন আর জীবিত নেই। কিন্তু আমরা লাশগুলো উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো যেন তারা কিছুটা সান্ত্বনা পেতে পারেন, এই লক্ষ্যেই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
শনিবার সন্ধ্যা থেকে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল বাতাস শুরু হওয়ার পর ভূমিধসের তিনটি ঘটনা ঘটেছে।