জেএনইউ ছাত্রনেতার আর্জি শুনল না ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির (জেএনইউ) ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের জামিনের আবেদন শুনল না সুপ্রিম কোর্ট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2016, 04:31 PM
Updated : 19 Feb 2016, 06:11 PM

কানহাইয়া কুমারের দুই কৌঁসুলি জামিন আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার আদালত জানিয়েছে,জেএনইউ ছাত্র সংসদ অধ্যক্ষের আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে না। আগে হাই কোর্টে আবেদন জানাতে হবে।

তবে কানহাইয়ার মামলাকে ঘিরে  সৃষ্ট নজিরবিহীন পরিস্থিতির বিষয়টি মেনে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টে তার জামিনের আবেদনের শুনানির ক্ষেত্রে কৌঁসুলিদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।

দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে কানহাইয়া কুমারকে হাজির করা নিয়ে সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টে যান তার আইনজীবীরা।

আদালত চত্বরে কানহাইয়া আইনজীবীদের মারধোরের শিকার হওয়ার পর তার জামিনের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করা হয়। কিন্তু আদালত জানায়, মামলাটি যে পর্যায়ে আছে তাতে এ আর্জির শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট উপযুক্ত মঞ্চ নয়। আবেদন করতে হবে দিল্লি হাই কোর্টে।

২০১৩ সালে মোহাম্মদ আফজাল গুরুর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে কানহাইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা পরিকল্পনার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আফজাল ‍গুরু। যদিও বরাবরই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

কাশ্মীরের জঙ্গিদের ওই হামলায় ১৪ জন  নিহত হয়েছিল। বিচারে আফজাল গুরুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ  চলা এবং তাতে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার মদদের অভিযোগ করেছেন।

জেএনইউ ক্যাম্পাসে কাশ্মীরী জঙ্গিদের পক্ষে প্রকাশ্যে শ্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও  ছড়ানোর পর বিতর্ক শুরু হয়। ওই ভিডিওতে উমর খালিদসহ জেএনইউ- এরকয়েকজন ছাত্রকে চিহ্নিত করা হয় এবং উসকানি দেওয়ার অভিযোগে কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করা হয় ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে, যিনি ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টও। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্র বিক্ষোভও হয়েছে।

উমর খালিদের খোঁজে দিল্লি পুলিশের দুটি বিশেষ দল তল্লাশি চালাচ্ছে। তার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ রক্ষার অভিযোগ উঠেছে। যদিও উমরের বাবা সৈয়দ কাসিম ইলিয়াস শুক্রবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, "আমার ছেলে মুসলিম বলে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে৷"