নেপালের দক্ষিণাঞ্চলীয় ঝাপা জেলায় বেশ কয়েক দফা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি গির্জাকে লক্ষ করে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
Published : 15 Sep 2015, 02:00 PM
দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোরণগুলো ঘটে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে হিন্দু মোর্চা নেপাল নামে একটি সংগঠনের লিফলেটও পাওয়া যায়।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দামাক, খাজুরগাছি এবং সুরুঙ্গার কয়েকটি গির্জার সামনে বিস্ফোরণগুলো ঘটানো হয়ে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
দেশটির সাংবিধানিক পরিষদ নেপালকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গির্জার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটানো হল।
২০০৭ সালের আগে রাজতন্ত্র থাকাকালীন নেপাল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত ছিল। বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছে, ওই সময়ের মতো করেই নেপালকে ‘হিন্দু রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিতে হবে।
সোমবার নেপালের গণপরিষদে প্রস্তাবিত নতুন সংবিধানে আবারো হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
বিশ্বের একসময়কার একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র থেকে ২০০৮ সালের মে মাসে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল হিমালয় কন্যা নেপাল।
সোমবার গণপরিষদে (সিএ) নেপালকে আবারো হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রস্তাব দেয়া হলে আইনপ্রণেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে ৭ বছর আগের সেই ধর্মনিরপেক্ষতাই বহাল রাখেন।
‘হিমালয়ান টাইমস’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গণপরিষদের ৬০১ জন সদস্য নেপালের নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ করছিলেন। প্রস্তাবিত সংবিধানের প্রতিটি অনুচ্ছেদের ধারা নিয়ে ভোট হয়েছে।
ওই সময় রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি-নেপাল এর চেয়ারম্যান কামাল থাপা এবং রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির অমরিত বোহোরা সংবিধানে নেপালকে ধর্মনিরপক্ষ থেকে ফের হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার দাবি জানান।
কিন্তু গণপরিষদের চেয়াম্যান সুবাস চন্দ্র নেমবাং ওই প্রস্তাব বাতিল করার পর ভোটের দাবি তোলেন কামাল থাপা।
এ বিষয়ে গণপরিষদের ৬০১ সদস্যের মত জানতে চাওয়া হলে মাত্র ২১ জন ভোটের পক্ষে মত দেন।
গণপরিষদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রস্তাবে ভোট করতে হলে অন্তত ৬১ সদস্যের অনুমতি প্রয়োজন হয়।