দক্ষিণ সুদানে নারী ফুটবলারদের জন্য ফিফার ‘মেন্সট্রুয়াল’ প্রকল্প

গত বছর দক্ষিণ সুদান সফর করেছিলেন ফিফার জেনারেল সেক্রেটারি ফাতমা সামৌরা। এরপর এবার ফেব্রুয়ারিতে সাউথ সুদান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মেয়ে ও নারী ফুটবল খেলোয়াড়দের মাসিকের দিনে পরিচ্ছন্নতা ও শিক্ষা নিয়ে এক যৌথ প্রকল্প চালু করা হল দেশটিতে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2022, 07:36 PM
Updated : 25 June 2022, 07:36 PM

ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়, দক্ষিণ সুদানে ৭০ শতাংশ মেয়ে ও নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্যানিটারি প্যাড বা ট্যাম্পুনের মতো পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী হাতের কাছে পায় না। আর এর ফলে দেশটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও খেলাধূলা চর্চায় তাদের নিয়মিত উপস্থিতিতে সঙ্কট দেখা দিচ্ছে।

এই সমস্যা উত্তরণে দক্ষিণ সুদানে ফুটবলের মেয়েদের জন্য মাসিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফিফা।

এই প্রকল্পের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ে নারীর খেলোয়াড়দের দক্ষতা বাড়ানো যেন খেলায় অংশ নিতে আগ্রহ পায় তারা। এ কারণেই নারী খেলোয়াড়দের স্যানিটারি পণ্য হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এ স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া হবে। 

যে সব মেয়েদের মাসিক শুরু হয়েছে তাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার পদ্ধতিও শেখানো হচ্ছে।

দক্ষিণ সুদানের জাতীয় দলের প্রশিক্ষক শিলিন বুইসেন বলেন, “মাসিক পরিচ্ছন্নতা নিয়ে দক্ষিণ সুদানে ফিফার প্রকল্প সত্যিই অভাবনীয়। সম্ভবত এমন উদ্যোগ এটাই প্রথম এবং হ্যাঁ, এর গুরুত্ব অপরিসীম।

“যদি আপনি দক্ষিণ সুদানের মতো দেশের দিকে তাকান তবে দেখবেন ৮০ থেকে ৮২ শতাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। তারা দিনে দুই ডলার দিয়ে চলে।”

তিনি বলেন, “এই প্রকল্প আসলে চোখ খুলে দেওয়ার মত। এতে করে আরও অনেক মুখপাত্র তৈরি হবে। একই নিয়ে এই দেশের নারী খেলোয়াড়দের যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াবে।”

দক্ষিণ সুদানে এই প্রকল্প চালু হওয়াতে সন্তুষ্ট হয়েছেন ফিফার ওমেন’স ফুটবল ডেভেলপমেন্টের প্রধান আরিজানা ডেমিরোভিক। 

তিনি বলেন, “আমরা এই প্রকল্পের সফলতার জন্য কাজ করছি; কাজ করছি দক্ষিণ সুদানের ফুটবলে যেন একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে মেয়ে ও নারী খেলোয়াড়দের জন্য যেন তারা ফুটবলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জুড়ে থাকার সুযোগ পায়।”