পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রমে মানুন ৭ খাদ্যাভাস

নারীর হরমোনজনিত রোগ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম বা পিসিওএস হলে অতিরিক্ত চুল পড়া, অনিয়মিত মাসিক, ব্রন, ওজন বেড়ে যাওয়া, অবাঞ্ছিত লোম বেড়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2022, 10:05 AM
Updated : 31 May 2022, 10:05 AM

এসব সমস্য্যার সমাধানে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে, পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারের অভ্যাসে চাই বাড়তি মনোযোগ।

পিসিওসে ভোগা নারীকে কিছু খাবার এড়িয়ে চলার কথা বলেন অনেকে; আবার কিছু খাবার নিয়মিত খেতে পরামর্শ দেন। 

তবে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁও শহরের সিকে বিরলা হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ গাইনোকলজিস্ট ও অবস্টেট্রিসিয়ান ডা. অরুণা কালরার বরাত দিয়ে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলেছে, সত্যিটা হচ্ছে, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রমে আক্রান্ত নারীর জন্য কোনো খাবার খেতে মানা নেই।   

নারীকে মনোযোগ দিতে হবে শুধু তিনটি বিষয়ে- সঠিক সময়, সঠিক খাবার এবং সঠিক পরিমাণ।

১. গ্লুটেনমুক্ত খাবার তালিকা জরুরি নয়

পিসিওএসের কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই খাদ্যতালিকা থেকে গ্লুটেন ছেঁটে ফেলতে গম থেকে তৈরি খাবার বাদ দেন। তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলে জানাচ্ছে এনডিটিভি।

খাবারে ক্যালরির পরিমাণ কমালে এমনিতেই ওজন ঝরতে শুরু করবে। তবে যাদের সেলিয়াক রোগ বা গ্লুটেনে অস্বস্তি হয়, তাদের সেসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

২. মানা নেই দুগ্ধজাত খাবারে

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে। তাতে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন এবং ইনসুলিন বেড়ে যেতে পারে; তবে পরিমিত পরিমাণে দুগ্ধজাত খাবারে কোনো সমস্যা নেই। দুগ্ধজাত খাবারে যদি অ্যালার্জি না থাকে, তাহলে সপ্তাহে একদিন সামান্য পরিমাণে খাওয়া যেতেই পারে।

৩. ভারসাম্য আনবে সকালের নাস্তা

পিসিওএস আক্রান্ত নারীকে অবশ্যই সকালে ভরপেট নাস্তা করতে হবে। দুপুরেও খেতে হবে পর্যাপ্ত। রাতের খাবার হতে হবে পরিমিত।

সকালে ভরপেট খাবারে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং অ্যান্ড্রোজেন কমে আসে। তাছাড়া দিনভর ক্ষুধাভাবও এড়ানো যায় তাতে।  

৪. ফল খেলে ফল পাবেন

ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, আঁশ আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা পিসিওএসে ভোগা নারীর জন্য জরুরি।

এই শারীরিক জটিলতায় খেতে হবে আপেল, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, যেসব ফল খোসাসহই খাওয়া যায়।

৫. একটু মিষ্টিমুখ

অনেকেই নারীকে মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন পিসিওএস জটিলতা হলে। কিন্তু মাঝেমাঝে মিষ্টি খাওয়ার তৃপ্তি নেওয়াই যায়।

৭০ শতাংশ ডার্ক চকোলেটও মিষ্টি খাওয়ার বাসনা পূরণ করবে। উপরন্তু তাতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।  

৬. খাবারে থাকুক ওমেগা-থ্রি

স্যামন ও সারডিনের মত তেলযুক্ত মাছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে। চিয়া বীজেও রয়েছে ওমেগা-থ্রি।

এই উপাদান হৃদপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর। ওমেগা-থ্রি হরমোনের ভারসাম্য ধরে রাখতে কাজ করে।  

৭. উপসর্গ যা বাড়ায়, তা এড়িয়ে চলুন

প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো খাবারে কিছু না কিছু শারীরিক অসুবিধা বোধ হতে পারে। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো।