এখন থেকে ‘মাসিক পণ্য’ বলবে যুক্তরাজ্যের ব্র্যান্ড বুটস

নারী মাসিক সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিবরণ বা প্রচারণায় ‘ফেমিনিন হাইজিন’ উল্লেখ করা থেকে সরে এসেছে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য ভিত্তিক বিক্রেতা ও ফার্মেসি বুটস ইউকে লিমিটেড।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2022, 09:27 AM
Updated : 3 May 2022, 02:59 PM

এখন থেকে ‘পিরিয়ড প্রডাক্টস’ হিসেবেই এসব পণ্য বিক্রয় করবে তারা বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যম ইনডেপেন্ডেন্ট।

এরমধ্যে এই ফার্মেসির ওয়েবসাইটে পণ্যের বিরবণেও তাই লিখতে দেখা গেছে তাদের্।

এখন থেকে ট্যাম্পন, প্যাড, মেন্সট্রুয়াল কাপ, লাইনারস মিলবে ওয়েবসাইটের পিরিয়ড প্রডাক্টস বিভাগে।

মাসিক সমঅধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছিল ‘হাইজিন’ ও ‘স্যানিটারি’ শব্দ দিয়ে আসলে মাসিকের রক্তপাতকে অপরিচ্ছন্ন বোঝানো হয়।

আর ‘ফেমিনিন’ শব্দ দিয়ে শুধু নারীরই পিরিয়ড হয় এমন ভুল ধারণা গড়ে উঠছে বলেও মনে করছে অধিকারকর্মীরা।   

এক বিবৃতির মাধ্যমে বুটস জানিয়েছে এই বছরের মধ্যে তাদের সবকটি বিক্রয়কেন্দ্রে ‘পিরিয়ড প্রডাক্টস’ বিরবণটি হালনাগাদ করা হবে।

এই বিক্রয়কেন্দ্রের বিউটি ডিরেক্টর জামি কেরুইশ বলেন, “যখন মাসিক নিয়ে কথা আসে, তখন আসলে বিক্রয়কেন্দ্রগুলো বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে মানুষের মানসিকতার বদলে; বিশেষ করে সেই সব শব্দে যা দিয়ে পণ্যের বর্ণনা করা হয়।”

তিনি বলেন, “বুটস এই পরিবর্তন নিয়ে আসতে পেরেছে এজন্য আমাদের গর্ব হচ্ছে।হাইজিন ও স্যানিটারি শব্দ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বুটস ডটকম ও বুটস অ্যাপে এখন পিরিয়ড প্রডাক্টস বলা হচ্ছে।

“আমাদের বিক্রয়কেন্দ্রের পরিচিতিমূলক চিহ্ন নিয়েও ভাবছি আমরা; এ বছরের শেষেই তা হালনাগাদ করা হবে।”

জামি কেরুইশের ভাষ্যে, “মাসিকের পণ্য খুবই জরুরি। আমরা চাই আমাদের গসব গ্রাহক যেন বুটস থেকে সহজেই তাদের প্রয়োজনের পণ্যটি খুঁজে পান।”

এর আগে যুক্তরাজ্যের সুপারমার্কেট আসডা স্টোরস লিমিটেডও মাসিকের পণ্যের পরিচিতিতে শব্দের বদল এনেছিল।

এই প্রতিষ্ঠানের ভাষ্যে, ২০২১ সালের শেষের দিকেই তাদের সব বিক্রয়কেন্দ্র এই হালনাগাদ হয়ে যায়।

মাসিক হয় এমন সবার অধিকার নিয়ে কাজ করছেন ব্লাডি গুড পিরিয়ডের প্রতিষ্ঠাতা গ্যাবি এডলিন; তিনি এই পরিবর্তনকে ‘দুর্দান্ত খবর’ বলে মনে করছেন।

“নতুন এই ঘোষণার মাধ্যমে আসলে মাসিক সক্ষম সবাইকে নিয়ে চলার মনোভাবই দেখা যায়। মাসিক কথা বলার জন্য এই ধাপটি জরুরি ছিল।”

গ্যাবি এডলিন বলেন, “মাসিক নোংরা অথবা একে গোপন রাখতে হবে কিংবা এ নিয়ে কথা বলা যাবে না এমন কুসংস্কার মুছে ফেলতেও কাজে দেবে এই পরিবর্তন।

“তাছাড়া সত্যিটা হচ্ছে ফেমিনিন হাইজিন বলার চেয়ে পিরিয়ড প্রডাক্টস বলার মধ্যে দিয়ে কী চাওয়া হচ্ছে তা বোঝা যায়; এরমধ্যে কোনো লুকোচুরি নেই, কোনো সংকোচ নেই, কোনো কুসংস্কারও নেই।”