প্যাথলজিভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি এবং মাসব্যাপী হাসপাতালভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি বিশ্লেষণ করে বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ বলছে, নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার এবং পুরুষদের মুত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি।
এই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান, সিনিয়র রিসার্চ অফিসার ডা. শেহরিন ইমদাদ রায়না বুধবার বিএসএমএমইউর মিল্টন হলে এক সেমিনারে তাদের সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন।
সেখানে জানানো হয়, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এক বছরে বিএসএমএমইউর বর্হিবিভাগে হিস্টোপ্যাথলিজক্যাল ডায়াগনোসিসের জন্য দেওয়া সলিড টিউমার থেকে ওনমুনা সংগ্রহ করা হয় গবেষণার জন্য।
এসব নমুনায় ১৭ শতাংশ ক্যান্সার হিসেবে চিহ্নিত হয়। যাদের নমুনায় ক্যান্সার ধরা পড়ে, তাদের ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ নমুনা নারী, বাকি ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নমুনা পুরুষ।
ডা. খালেকুজ্জামান বলেন, পুরুষদের মধ্যে ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূত্রথলির, ৯ নয় দশমিক ৯ শতাংশ প্রস্টেট, ৮ দশমিক ৫ শতাংশ মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
নারীদের ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে, ২১ দশমিক ৫ শতাংশ জরায়ুমুখের ক্যান্সারে এবং ৮ দশমিক ৯ শতাংশ মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হাসপাতালভিত্তিক ক্যান্সার গবেষণার জন্য বিএসএমএমইউর ক্লিনিক্যাল, রেডিওলজি ও হিস্টোলজি বিভাগ আসা এক হাজার ৬৫৬ জন ক্যান্সার রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা।
আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪ দশমিক ৮ শতাংশ ছিলেন পূর্ণবষস্ক, ২৫ দশমিক ২ শতাংশ শিশু।
খালেকুজ্জামান বলেন, এসব রোগীর মধ্যে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ ফুসফুস, ৯ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ লিউকোমিয়া, ৯ শতাংশ পুরুষ লিম্ফোমায় আক্রান্ত ছিলেন।
আর ২৮ দশমিক ১ শতাংশ নারী স্তন ক্যান্সারে, ১৬ দশমিক ১ শতাংশ নারী থাইরয়েডের ক্যান্সার এবং ১২ দশমিক ২ শতাংশ নারী জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।
প্যাথলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা উপস্থিত ছিলেন সেমিনারে।