মেনস্ট্রুয়াল কাপে সহজ জীবন?

ঝুম বৃষ্টিতে ছাদে সবাই ভিজছে। ছাদের দরজায় দাঁড়িয়ে সবার উচ্ছ্বাস দেখছিল তরুণীটি। পিরিয়ড চলছে তার। স্যানিটারি প্যাড পরে তো আর বৃষ্টিতে ভেজা যায় না।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2021, 12:33 PM
Updated : 23 March 2021, 01:12 PM

এসএসসির ফল প্রকাশের পর বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিকঠাক করাই ছিল কিশোরীটির। কিন্তু রওনা দেওয়ার দিনই পিরিয়ড শুরু। বন্ধুরা ঠিকই সাগর জলে মজা করলেও পিরিয়ডের কারণে অনেকদিন ধরে করা পরিকল্পনা একেবারে মাটি হয়ে গেল তার।

মাসিকচক্র বা পিরিয়ডের সময় এমন অনেক আনন্দের মুহূর্ত থেকে বাধ্য হয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে হলেও নারীর জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে মেনস্ট্রুয়াল কাপ। ফলে বৃষ্টিতে ভেজা, সাগরে দাপাদাপি করায় নেই কোনো বাধা।

কী করে?

পিরিয়ডের সময় বেড়াতে গিয়ে পানিতে দাপাদাপি বাদ দিতে হয়নি এনজিওকর্মী সুমাইয়া ইসলামকে।

“একবার বন্ধুরা মিলে একটি রিসোর্টে গেলাম। সেখানে সুইমিং পুলে নেমে দাপাদাপিও করলাম। প্রথমে তো নামতেই চাইনি, পরে মনে হল কাপ পরে তো নামতেই পারি। কাপ না থাকলে হয়তো সুন্দর মুহূর্তটা মিস করতে হত।”

বছর খানেক আগেও স্যানিটারি প্যাড পরতেন তানহা ঊর্মি। তারপর হাতে পেলেন মেনস্ট্রুয়াল কাপ। এর মধ্যে সাইকেল চালানো শেখাও শুরু করেছেন।

একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র ক্লায়েন্ট সার্ভিস এক্সিকিউটিভ এই নারী একজন উদ্যোক্তাও; তার রান্নাঘরের খাবার পৌঁছে দেন ভোজনরসিকদের কাছে।

স্যানিটারি প্যাড ও কাপ পরে সাইকেল চালানোর মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য বোধ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তানহা বলেন, “তফাৎ তো অবশ্যই আছে। প্রথম পার্থক্যটা হচ্ছে কাপ পরলে প্যাডের মতো অস্বস্তিবোধটা আর হয় না। কাপ পরে সাইকেলের আসনে বসতে প্যাডের মত অসুবিধাও হয় না।”

গত ৮ মার্চ নারী দিবসে সাউথ ঢাকা সাইক্লিস্ট (এসডিসি) গ্রুপের এক শোভাযাত্রায় হাতিরঝিল থেকে ধানমণ্ডি লেক পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে যাওয়া-আসা করেছিলেন পিরিয়ড নিয়ে।

“কাপ থাকলে এত টেনশন করা লাগে না,” বলেন তিনি।

কেন মেনস্ট্রুয়াল কাপ?

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র বিজনেস অ্যানালিস্ট নাজমুন নাহার জেনি বলেন, “মেনস্ট্রুয়াল কাপটা আসলে আমাদের জন্য ব্লেসিং… খুব সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু পিরিয়ডের সময় বৃষ্টিতে ভেজা যেত না কোনোভাবেই। এখন কিন্তু নিশ্চিন্তে ভিজতে পারছি। এই অনুভূতিটাই অন্যরকম।”

সহকর্মীদের সঙ্গে ঢাকার বাইরে একটি পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়েছিলেন নাজমুন নাহার। সেখানে তিনি ছিলেন একমাত্র নারী কর্মী। ওইদিন পিরিয়ড চলছিল তার; কিন্তু পাওয়ার প্লান্টের টয়লেটে গিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলে ফেলার মত কোনো ‘গারবেজ বিন’ পাননি। ‘ওটা চোখে পানি চলে আসার মত দিন ছিল’ তার জন্য।

আর তাই আড়াই বছর আগে এক নারী সহকর্মীর কাছ থেকে মেনস্ট্রুয়াল কাপ উপহার পাওয়ার দিনটিকে ‘লাইফ চেঞ্জিং’ বলে মানেন তিনি। 

স্বাস্থ্য সচেতন এই নারী সাঁতার, ব্যাডমিন্টন ও স্কিপিং করেন নিয়মিতই। কাপ পরে ব্যাডমিন্টন খেলতেও অসুবিধা বোধ করেন না তিনি।

একটি পরীক্ষা দিতে ফিলিপিন্স যেতে হয়েছিল নাজমুনের। সেবারও ছিল পিরিয়ড। তবে কাপ থাকায় পরীক্ষার পরে পালাওয়ান দ্বীপে ঘোরাফেরার পরিকল্পনায় কোনো কাটছাঁট করতে হয়নি তাকে।  

“সবই করতে পেরেছি। আর সবই ছিল ওয়াটার বেইজড অ্যাকটিভিটিস। বোটে করে গিয়ে শ্যালো ওয়াটারে ছেড়ে দিয়েছিল…ব্রিদিং টিউবসহ। পানিতে আমি কচ্ছপের সাথে সুইম করেছি; ছোট ছোট রঙিন মাছের সাথে সাঁতার কেটেছি। কাপটা না পরলে হয়ত আমি মিস করতাম এসব।”

ফেইসবুকে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখে প্রথম মেনস্ট্রুয়াল কাপ নিয়ে জানতে পারেন স্মরণিকা ধর। কাজের সুবাদে কয়েকদিন পর পরই ভ্রমণে যেতে হয় বলে স্যানিটারি প্যাড থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছিলেন তিনি।

ঢাকায় একটি বিদেশি দূতাবাসের প্রেস উইংয়ে কর্মরত স্মরণিকা বলেন, “সব সময় প্যাড পরে থাকাটা আসলে অস্বস্তিকর।… ভ্রমণের ক্ষেত্রেও চিন্তা থাকে এটা কীভাবে বদলাব? স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে অনেক কাজই করা যায় না।”

মেনস্ট্রুয়াল কাপ পিরিয়ডের দিনগুলোকে অন্য সব দিনের মত স্বাভাবিক করে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে বৃষ্টিতে ভেজা বা সাঁতারের মত কাজগুলো ভাবাই যায় না; যেটা এখন খুব সহজেই করা যাচ্ছে কাপ ব্যবহারে।”

২০১৭ সালে দিনাজপুরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্পের কাজে গিয়ে বিদেশি কয়েকজন নারীর কাছ থেকে এ নিয়ে প্রথম জানতে পারেন সঞ্চিতা দে নিশি।

“বিদেশিরা প্যাড দেখে খুব অবাক হল। এই জিনিস ওরা কখনই দেখেনি। তারপর ওরা আমাকে কাপটা দেখাল। ওদের অভিজ্ঞতার কথা বলল। তখন থেকেই এটা ব্যবহারের একটা আগ্রহ তৈরি হল আমার।”

পরে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে কাপ কেনেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রোটেকশন ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর পদে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এই নারী।

মেনস্ট্রুয়াল কাপের ‘ভয়’ জয়

মেডিকেল গ্রেড সিলিকনে বানানো এই কাপ ফানেল আকারের; যার নীচের দিকে একটি ছোট সরু ডাঁট থাকে। নরম এই কাপটি সি-ফোল্ড, পাঞ্চ-ডাউন ফোল্ড ছাড়াও বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে ভাঁজ করে ভ্যাজাইনাল ক্যানাল বা যোনিপথে প্রবেশ করাতে হয়।

স্যানিটারি প্যাডের মত এতে রক্ত শোষণ হয় না; কাপে জমা হয়। মাসিকে স্বাভাবিক রক্তপাত হলে ছয় থেকে আট ঘণ্টা এই কাপ পরে থাকা যায়। মাপ অনুযায়ী মেনস্ট্রুয়াল কাপ গড়ে ১৮ থেকে ৩০ মিলিলিটার রক্ত ধারণ করতে পারে। 

নারীর বয়স, ওজন, সন্তান প্রসবের অভিজ্ঞতা ও শারীরিক গড়ন অনুযায়ী বেছে নিতে হবে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের কাপ।

সারভিক্স বা জরায়ু গ্রীবার গভীরতা জেনে মেনস্ট্রুয়াল কাপ পরতে হবে নারীকে। সারভিক্স তুলনামূলক গভীর বা ভেতরে (হাই সারভিক্স) হলে বড় কাপ, সারভিক্স কিছুটা নীচের দিকে হলে (লো সারভিক্স) ছোট কাপ পরা সুবিধাজনক বলে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও খোঁজখবর থেকে জানাচ্ছেন নারীরা।

তবে প্রথম চেষ্টাতেই কাপ পরা আয়ত্তে আনতে পারেননি অনেকেই; অনভ্যস্ততা ও ভয়ের কারণে কারও কারও দুই-তিন পিরিয়ড সাইকেল লেগে যায়।

প্রথমবার কাপ পরার অভিজ্ঞতা মনে করে সঞ্চিতা দে নিশি বলেন, “ভয় ছিল যে, এটা কীভাবে ইনসার্ট করব? আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। প্রথমবার কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু আমি কনফিডেন্ট ছিলাম যে এটা ব্যবহার করব। পরে নিজেকে শান্ত রেখে কয়েকবার চেষ্টার পর পারলাম।

“কাপটা বের করতেও প্রথম প্রথম অনেক সময় লেগে যেত। পরে চেষ্টা করে ব্যাপারগুলো আয়ত্ত করেছি।”

আর কাপে অভ্যস্ত হওয়ার পর মাসিকের দিনে ভারত সফরে যাওয়ার কথাও জানালেন সঞ্চিতা । আজকাল ট্রেকিং ও হাইকিংও করছেন তিনি।

শুরুর দিকে কাপ পরা নিয়ে ভয় কাজ করছিল নুসরাত নাসমিনেরও।

“প্রথমবার খুব আনইজি লাগছিল, বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা পরে আছি। বিশেষ করে হাঁটতে গিয়ে কষ্ট পাচ্ছিলাম। মাসিকের তৃতীয় দিনে তলপেট আর মেরুদণ্ডেও ব্যাথা শুরু হল, তখন খুলে ফেলে সেবার আর ব্যবহার করিনি।”

হাল না ছেড়ে পরের পিরিয়ড সাইকেলে আবার চেষ্টা করেন সিঙ্গার বাংলাদেশের এই কর্মকর্তা।

“পরের পিরিয়ডের সময় সাহস করে আবার পরে ফেললাম। …তারপর দেখি অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। আর বুঝতেই পারলাম না ভেতরে কিছু আছে।”

কাপ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়বে এমন আশঙ্কা কাজ করছিল সিফাত শারমিনের।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এই এক্সিকিউটিভ অফিসার বলেন, “প্রথম তিন থেকে চার বার কাপ ব্যবহারের সময় একটা ভয় কাজ করছিল যে লিক হয়ে যায় কি না। কাপের আকৃতিটা বড় হওয়ার কারণে এমনটা লাগছিল। কিন্তু কয়েক মাস ব্যবহারের পর সমস্যা আর হয়নি। তারপর থেকে আমার মনে হয়েছে, এটা জীবনকে বদলে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত।”

ইউটিউবে ভিডিও দেখে কাপ পরার চেষ্টা করে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন স্মরণিকা ধর।

ভয়কে জয় করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমবার ব্যবহারে আমি ব্যাথা পাচ্ছিলাম। …আসলে আমি মাঝারি সাইজের কাপটি নিয়েছিলাম, কিন্তু কাপটা আমার কাছে বড় মনে হচ্ছিল। পরে রিল্যাক্স হয়ে দেখলাম খুব সহজেই ইনসার্ট হয়ে গেল কাপটা।”

মাসিকের প্রথম দিন ‘বেশি ব্যাথা’ অনুভব করেন বলে সাধারণত পরের দিন থেকে কাপ পরেন নাজমুন নাহার জেনি।

দেড় বছর ধরে কাপ পরে আসছেন জানিয়ে এই নারী বলেন, “আমার কয়েক মাস লেগেছে এতে অভ্যস্ত হতে। প্রথমে শুধু লিকেজ হত, ব্যাথাও পেতাম। কিন্তু কয়েক মাস ব্যবহারের পরে আর কোনো সমস্যা হয়নি।”

স্বস্তির সঙ্গে সাশ্রয়

মান ভেদে ৬৫০ থেকে সাত হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেনস্ট্রুয়াল কাপ। এ ধরনের একটি কাপ পাঁচ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার ‍উপযোগী থাকে।

ভালোমানের স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার খরচের চেয়ে কাপ কেনার খরচ সার্বিকভাবে অনেক কম বলছেন অনেকেই।

স্মরণিকা ধর বলেন, “একবার একটা কাপ কিনলে সেটা ১০ বছর ব্যবহার করা যায়, প্যাড ব্যবহারে খরচটা অনেক বেশি।”

দেশে মেনস্ট্রুয়াল কাপের উৎপাদন হলে তা সবার কাছে পৌঁছানো যেত বলে মনে করছেন সঞ্চিতা।

“কিশোরী বয়স থেকেই কাপ ব্যবহার শুরু করা উচিত; দেশে উৎপাদন হলে হয়ত সুলভ মূল্যে মেয়েরা এটা পেত।”

কাপের স্বাস্থ্য ও পরিবেশবান্ধব দিক

স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবেশের জন্য ‘ক্ষতিকর বর্জ্য’ জেনে এর ব্যবহার থেকে সরে আসার উপায় খুঁজছিলেন সিফাত শারমিন।

তিনি বলেন, “আমরা যে প্যাডগুলো ব্যবহার করি, তাতে পলিথিনের ব্যবহার হচ্ছে; যেটা পরিবেশের ক্ষতি করছে। প্যাডের বিকল্প নিয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না; কিন্তু আমি সব সময় ভাবতাম পলিথিনের এই ব্যবহারটা যদি কমানো যেত। তাই কাপের কথা শোনার পরে আমি খুবই আগ্রহী হই।”

এছাড়া স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকায় ‘র‌্যাশ ও ব্যাথা হত’ বলেও জানান তিনি। একই ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন স্মরণিকা ধরও।

তিনি বলেন, “স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে ত্বকে র‌্যাশ হত, ছিলে যেত। এসব যন্ত্রণা দিচ্ছিল আমাকে। আগে প্যাড শেষ হয়ে গেলে কিনে আনার একটা ব্যাপার থাকত, এ বিষয়গুলো থেকে এখন মুক্তি পেয়েছি।”

মেনস্ট্রুয়াল কাপ পিরিয়ডের সময় মানসিক চাপ থেকেও স্বস্তি দিয়েছে এই নারীকে।

স্মরনিকা বলেন, “পিরিয়ডের সময় এমনিতেই মেজাজ খিটখিটে থাকে, এই ঝামেলাটা গেলে মনটা অনেক ফুরফুরে থাকে। কেউ কাপটা ঠিকঠাক মত ব্যবহার করতে পারলে, দ্বিতীয় দিন প্যাড ব্যবহারের কথা চিন্তাও করবে না।”

মেনস্ট্রুয়াল কাপকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ‘পরিপূরক’ হিসেবে দেখলেও এখনই একে ‘বিকল্প’ বলতে রাজি নন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি ও অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তৃপ্তি রাণী দাস।

ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “পরিবেশের ওপর স্যানিটারি ন্যাপকিনের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, এক্ষেত্রে নারীদের এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগ্রহী করানো যেতে পারে, কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।

“যেহেতু এটি শরীরে অভ্যন্তরীণ চাপ তৈরি করে, সেজন্য এর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।”

সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেকেই এই পিরিয়ড ডিভাইসটি ব্যবহারে পিছপা হচ্ছেন বলে মনে করছেন সঞ্চিতা দে নিশি।

‘সংকীর্ণতা’ কাটিয়ে মেনস্ট্রুয়াল কাপের কথা ‘প্রচার’ করায় জোর দিয়ে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় শহরের কিছু নারীই এই সম্পর্কে জানে, গ্রামের মেয়েরা জানে না।

“আবার যারা জানেও তাদের মধ্যে এক ধরনের সংকোচ কাজ করে যে অবিবাহিতদের এটি ব্যবহারে সমস্যা হবে কিনা, প্রেগন্যান্সির সময় সমস্যা হবে কিনা… এরকম অনেক কারণেই অনেক মেয়ে এটা ব্যবহার করছে না।”

আর সিফাত শারমিন বলছেন, “আমাদের মেয়েদের একটু সাহস করতে হবে।”