Published : 04 Jan 2017, 11:22 PM
১৯৭১ সালে মোঃ হাফিজ আলী বুঝতে পেরেছিলেন দেশকে বাঁচানো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। স্বাধীন দেশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো চলার স্বপ্নটা ছিল তার চোখে মুখে। সেই লক্ষ্যে হাফিজ আলী ৬ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
যুদ্ধের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। সেটি উপলব্ধি করতে পেরে দুই মাস ভারতের ইয়োথ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে একশ জনকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে ৭ দিন অবস্থান করার পর তাদের অংশ নিতে হলো মূল অপারেশনে।
এই যুদ্ধে একটা ব্রিজ উড়ানোর দায়িত্ব পড়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের উপর। হাফিজ আলীর সহযোদ্ধা লেঃ সামাদ সাহেব যুদ্ধে শহীদ হন। তার কাছে একটা ওয়্যারলেস ছিল। হাফিজ আলী সেটি উদ্ধার করতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন অসতর্ক। মাইনে পা পড়ে যাওয়ায়, গুরুতর আহত হন হাফিজ আলী। তাকে পরবর্তীতে ভারতের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ছয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশ্যে হাফিজ আলী বলেন, ‘আমরা দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। তরুণদেরকেও এখন দেশকে গড়ার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’