
পাকিস্তানি সৈন্যদের পরাজয়ে উৎফুল্ল ছিলেন সুলতান উদ্দীন আহমেদ
Published: 01 Jan 2017 03:25 AM BdST Updated: 01 Jan 2017 03:29 AM BdST
সুলতান উদ্দীন আহমেদ ১৯৭১ সালে ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে যোগদান করেন। যুদ্ধ শুরুর আগেই বিভিন্ন আন্দোলনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ৭১ সালে তিনি তোরাম কলেজের বিএ ক্লাসের ছাত্র ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সময় তিনি স্বশরীরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই ভাষণের পর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
২৫ শে মার্চের কালো রাতের পর সুলতান উদ্দীন আহমেদ বুঝতে পারলেন, পাকিস্তানের সাথে আর একত্রে থাকা চলবে না, এবার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে তিনিহ বেশ কিছু তরুণ, যুদ্ধে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন। এ সময়ে ময়মনসিংহ থেকে ইপিআরের কিছু সদস্য এসে তাদের প্রশিক্ষণ দেন। ইপিআর সদস্যদের সাথে রামপুর, সুলতানপুর যুদ্ধে সুলতান উদ্দীন আহমেদ অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি আরও ভালো প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে আসামের তেজপুরে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি আগরতলা হয়ে আবার রায়পুড়ায় চলে আসেন।
রায়পুড়া, নরসিংদীতে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন সুলতান উদ্দীন আহমেদ। এরপর তিনি পলাশে বড় একটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। সেই যুদ্ধে পাকবাহিনীর কিছু সৈন্য নিহত হয় এবং কিছু জীবিত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে। এই ঘটনা মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে সুলতান উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশে ভৌগলিক স্বাধীনতা এলেও, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক স্বাধীনতা এখনও আসে নি। তাই তরুণ প্রজন্মের বড় দায়িত্ব এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া।’
আরও পড়ুন
সর্বাধিক পঠিত
- কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৯
- মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের দারুণ জয়
- ছেলে সন্তানের জন্ম দিলেন আইএসের শামীমা বেগম
- অবশেষে হচ্ছে বিপিএলের বাইরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট
- স্মিথের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য
- আরও ৩টি ব্যাংক অনুমোদন
- ৫ সেঞ্চুরিতেও আশরাফুলের ১৫ লাখ যে কারণে
- মাহমুদউল্লাহ-বোল্টের শাস্তি
- ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কে কোন দলে
- ‘বদিকে দিয়ে মাদক, শাজাহান খানকে দিয়ে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব?’