প্রাবন্ধিক এবং প্রকাশক মফিজুল হক প্রগতিশীল ঘরানার একজন মননশীল লেখক। নানা বিষয়ে তার প্রবন্ধের বই আছে। বঙ্গবন্ধু বিষয়েও তার বই রয়েছে। আলোচ্য গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত তার সবশেষ গ্রন্থ।
Published : 16 Mar 2020, 09:52 PM
এই গ্রন্থে বঙ্গবন্ধকে নিয়ে লেখকের মোট ১০টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। প্রবন্ধগুলোর কোন কোনটির আয়তন দীর্ঘ, কোনটি অনতিদীর্ঘ। বিভিন্ন উপলক্ষে প্রাবন্ধিক মফিজুল হক লেখাগুলো লিখেছিলেন। কয়েকটি লেখা বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে পঠিত; কোনও কোনওটি পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত। লেখাগুলোর শিরোনাম দেখেই পাঠক আন্দাজ করতে পারবেন বঙ্গবন্ধকে তিনি কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে চেয়েছেন। ১. এলিজ: ১৫ আগস্ট, ২. মধ্যযুগীয় বঙ্গবন্ধু চরিত, ৩. অনন্ত কালপ্রবাহ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ৪. সুভাষ বসু ও শেখ মুজিব: আলাদা ও অভিন্ন, ৫. ৭ মার্চের ভাষণ: আন্তর্জাতিক ও লোকায়তিক মাত্রা, ৬. ২৫ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধুর জীবনে শাহনামার অভিঘাত, ৭. একাত্তরের মার্চ আরেক চোখে বঙ্গবন্ধু, ৮. আন্ত্রে ম্যালির, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, ৯. বঙ্গবন্ধু রাজসিক প্রত্যাবর্তন এবং ১০. ইতিহাসের আলোকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধু।
এ লেখাগুলো পাঠ করলে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের মোটামুটি সবটাই পাঠক উপলব্ধি করতে পারবেন। মফিজুল হক প্রাবন্ধিক হিসেবে সুলেখক। ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক লেখায় তিনি গভীর মননশীলতার পারিচয় দিয়েছেন তার আগের গ্রন্থসমুহে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তার অনেক নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ যেমন আছে তেমনি আছে ৭ই মার্চ, ২৫ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অভিন্ন সম্পর্কের গভীর মূল্যায়ন। সুভাষ বসুর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সম্পর্ক আবিষ্কারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এই লেখাটির মধ্যে লেখকের অভিনব আবিস্কার পাঠককে মুগ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস। মফিজুল হক স্বচ্ছ ও যুক্তিনিষ্ঠ ভাষার বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের মহৎ দিকগুলোকে সাফল্যের সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন এই বইটিতে। এই বইটির জন্য লেখক মফিজুল হককে মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।
বইটি প্রকাশ হয়েছে বিদ্যাপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে ২০১২ সালে।