শান্তি সম্মেলন ৪ ও ৫ নভেম্বর

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2021, 03:59 PM
Updated : 30 June 2021, 04:00 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার  জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর দুদিনব্যাপী এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ তথ্য জানান। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার বিশ্বাস, দুই দিনের এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও মানবিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে।”

সম্মেলন সফল করতে ইতোমধ্যে ৪২ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সেই কমিটির সভাপতি। অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে একাধিক প্যানেল আলোচনা হবে এ সম্মেলনে। সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরাও তাতে অংশ নেবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি ও মানবতার’ একজন প্রবর্তক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ড ও আদর্শের আলোচনার পাশাপাশি সম্মেলনে ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ গৃহীত হবে।

সম্মেলনে ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরস্কার’ দেওয়ার বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না হলেও তা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে সংসদকে জানান জাতির পিতার কন্যা।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।

এর অংশ হিসেবে গতবছর উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা সীমিত করে আনতে হয়। পরে মুজিববর্ষের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এ বছর মার্চে স্বাধানীতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর জোড়া আয়োজন একসঙ্গে চলে দশ দিন ধরে। প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতারাও তাতে অংশ নেন।