মামলা বাতিলের আবেদন তৌফিক ইমরোজ খালিদীর, সময় চাইল দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলা বাতিলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী হাই কোর্টে যে আবেদন করেছেন, দুই মাস পর তার শুনানিতে এসে আরও সময় চেয়েছেন দুদকের আইনজীবী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2022, 05:19 PM
Updated : 7 June 2022, 05:19 PM

মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চে ওই আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের নেতৃত্বে একদল আইনজীবী এদিন খালিদীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক ও ব্যারিস্টার সিফাত মাহমুদ। অন্যদিকে  দুদকের পক্ষে ছিলেন তাদের প্রধান কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ২০১৯ সালের অক্টোবরে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক, একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহলের ‘মিথ্যা প্রচার’ শুরু হয়।

বিনিয়োগের ওই টাকাই ‘অবৈধ প্রক্রিয়ায়’ অর্জন করা হয়েছে অভিযোগ করে সাড়ে আট মাস পর, ২০২০ সালের ৩০ জুলাই এ মামলা করে দুদক। এরপর ২২ মাস পেরিয়ে গেলেও দুদকের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

অনুসন্ধান, তলব এবং মামলার এজাহার- সবগুলো পর্যায়ে কমিশনের লিখিত ভাষা যেভাবে বার বার বদলে গেছে, তাকে এর আগে ‘দুদকের গোল পোস্ট বদলের নমুনা’ হিসেবে দেখিয়েছিলেন খালিদীর একজন আইনজীবী।

তার জামিন বাতিলের জন্য ২০২০ সালে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গিয়েছিল দুদক, তা খারিজ করে দিয়ে আপিল বিভাগ কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিল, এসব আবেদন নিয়ে এসে কেন তিনি আপিল বিভাগের ‘সময় নষ্ট’ করছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক দুদকের আনা ওই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন। মামলাটিকে ‘অসার ও নিবর্তনমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করে ন্যায়বিচারের স্বার্থে তা বাতিলের জন্য গত এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে হাই কোর্টে এই আবেদন করেন তিনি।

২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭ (১) ধারায় দায়ের করা এ মামলায় দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে। অথচ তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার নামে থাকা কোম্পানির কত শেয়ার কত টাকায় এলআর গ্লোবালের কাছে বিক্রি করেছেন, সেই টাকা কোন ব্যাংকে আছে, সেসব কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রকাশ করেছে এবং দুদকের এজাহারেও তা এসেছে।

সেই প্রসঙ্গ ধরে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর আইনজীবী মাহবুব শফিক মঙ্গলবার শুনানিতে দুদকের অভিযোগের মধ্যেই ’স্ববিরোধিতা’ থাকার কথা বলেন।

হাই কোর্টের এই বেঞ্চে মঙ্গলবার তিন দফায় এ আবেদনের বিষয়টি আদালতের সামনে আসে। তৃতীয় দফায় দুদকের সময় প্রার্থনার প্রেক্ষিতে আগামী মঙ্গলবার শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করে দেয় আদালত।

সকালে প্রথম দফায় মাহবুব শফিক আদালতের কাছে শুনানির জন্য সময় নির্ধারণের আবেদন করেন। তখন আদালত দুপুর ১২টায় শুনানির সময় ঠিক করে দেয়। নির্ধারিত সময়ে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের নেতৃত্বে খালিদীর আইনজীবীরা আদালতে হাজির হন।

শুনানি শুরু করেন মাহবুব শফিক। তিনি বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র। এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতাকে তিনি ‘রেভোলুশনাইজ’ করেন।

মামলার এজাহারে দুদক বলেছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নামে থাকা কোম্পানির ২০ হাজার শেয়ার ২৫ কোটি টাকায় এবং কোম্পানির আরও ২০ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যু করে ২৫ কোটি টাকায় ‘এলআর গ্লোবালের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ওই ৪০ হাজার শেয়ারের ‘প্রকৃত মূল্য ৪০ লাখ টাকা’। কিন্তু ১২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকায়। ওই ৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৪২ কোটি টাকা চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে জমা করা হয়েছে।

কোম্পানির যে অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের ভিত্তিতে ওই শেয়ার লেনদেন হয়েছে, তা ‘ভুয়া’ ছিল অভিযোগ করে এজাহারে বলা হয়, “তৌফিক ইমরোজ খালিদী উক্ত অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।”

দুদকের আবেদনে ২০১৯ সালের নভেম্বরে খালিদীর ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো ‘অবরুদ্ধ’ করা হয়, এখনও তা সেই অবস্থাতেই আছে।

দুদকের অভিযোগ খণ্ডন করে মাহবুব শফিক শুনানিতে বলেন, “বিডিনিউজ একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। তারা তাদের কিছু শেয়ার আরেকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে। তারা উভয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে দাম ঠিক করেছে।”

বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ধরুন এই কলম ক্রেতা ২০ টাকায় কিনতে রাজি হয়েছে। এখন দুদক বলছে, এই কলম তুমি ২০ টাকায় বিক্রি করতে পারো না। এটার দাম ১০ টাকা।”

বিচারক তখন বলেন, “ক্রেতা রাজি থাকলে দাম ১০০ টাকাও হতে পারে।”

এক পর্যায়ে আদালত জানতে চায়, ‘জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ আনার আগে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল কি-না?

উত্তরে খালিদীর আইনজীবী বলেন, নোটিস (সম্পদের হিসাব চেয়ে) দেওয়া হয়নি।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলে আসছেন, তাকে ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করার জন্য এই ‘সাজানো’ মামলা’ করানো হয়েছে। ফাইল ছবি

শুনানিতে মাহবুব শফিক বলেন, “যথাযথভাবে দাম নির্ধারণের মাধ্যমে এখানে একটি কোম্পানি আরেকটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগের অর্থ কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই জমা রয়েছে। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কোনো বিষয় নেই।”

এ পর্যায়ে আদালত জানতে চায়, দুদকের মামলার চার্জশিট হয়েছে কি-না? তখন অভিযোগপত্র না হওয়ার কথা জানান খালিদীর আইনজীবী।

মাহবুব শফিক এ সময় খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার কার্যক্রম বাতিলের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের একটি রায়ের নজির তুলে ধরেন, যে রায়ে অভিযোগপত্র হওয়ার আগেই মামলার কার্যক্রম বাতিল করে দিয়েছিল হাই কোর্ট।

এ আইনজীবী বলেন, “শেয়ার বিক্রি হয়েছে। সেই টাকা অ্যাকাউন্টে আছে। তাহলে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন কী করে হয়?”

শুনানির এক পর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, “এটি একটি আলোচিত মামলা। এ মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি একজন মিডিয়া টাইকুন। এখানে দুদককে শুনতে হবে।”

তার ভুল ধরিয়ে দিয়ে খালিদীর আইনজীবী বলেন, এই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হননি। হাই কোর্ট তাকে আগাম জামিন দিয়েছে।

আদালত তখন দুদকের বক্তব্য শোনার জন্য বেলা ২টায় শুনানির সময় রেখে কমিশনের আইনজীবীকে নিয়ে আসতে বলে।

বেলা আড়াইটার দিকে শুনানি শুরু হলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পক্ষে আদালতে আবেদন করা হলেও কমিশনের কৌঁসুলি হিসাবে শুনানিতে আসার জন্য তাকে জানানো হয়নি।

বিচারক তখন বলেন, “অসুবিধা কী? আপনার বক্তব্য এখন আমরা শুনব। আপনি বলুন।”

ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক অন্য একটি মামলায় অভিযোগপত্র হওয়ার আগে মামলা বাতিলের যে নজির শুনানিতে দেখিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ ধরে বিচারপতি এস এম আব্দুল মোবিন বলেন, “তারাতো একটি রায় নিয়ে এসেছেন, যাতে মামলা বাতিল করা হয়েছে।”

খুরশীদ আলম খান তখন আপিল বিভাগের আরেকটি রায়ের কথা তুললে বিচারক বলেন, “ঠিক আছে, আপনি এ সব কথা শুনানিতে বলবেন।”

পরে দুদকের সময়ের আবেদনে আদালত মঙ্গলবার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করে দেয়।

কোন যুক্তিতে এ আবেদন

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে এ আবেদনে বলা হয়েছে, দুদকের দায়ের করা ওই এজাহারে আইন অনুসারে ‘প্রাইমা-ফেসি’ বা প্রাথমিক সারবত্তা নেই। এ কারণে মামলাটি বাতিল হওয়া উচিত।

এ মামলা চালিয়ে গেলে তা আদালত ও আইনগত প্রক্রিয়ার ‘অপব্যবহার’ হবে দাবি করে ‘চূড়ান্ত ন্যায় বিচারের স্বার্থে’ এর কার্যক্রম বাতিল চাওয়া হয়েছে সেখানে।

আর্জিতে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, এফআইরে বলা অভিযোগ যদি সত্য বলে ধরেও নেওয়া হয়, তাহলেও তা দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনে বিচার্য নয়। 

এজাহারে অর্থের উৎস নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা খণ্ডন করে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর আবেদনে বলা হয়েছে, স্বীকৃতভাবে শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে ওই টাকা অর্জন করা হয়েছে। তাই বিক্রি করা শেয়ারের অর্থের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা শেয়ার ক্রয়কারীকে করা উচিত।

তাছাড়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের দপ্তর থেকে যথাযথভাবে নিবন্ধিত একটি বেসরকারি কোম্পানি, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। সুতরাং শেয়ার বিক্রির জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে জানানোর বাধ্যবাধকতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রযোজ্য নয়।

২০২০ সালের ২৬ অগাস্ট আগামী জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী

কী বলছেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী

কোন পরিস্থিতিতে কী পরিকল্পনা নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বিনিয়োগ চুক্তি করেছিল, সেই অর্থ কোথায় কীভাবে আছে বা ব্যয় হয়েছে, কেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী নিজের হাতে থাকা কিছু শেয়ার বিক্রি করেছেন এবং ওই চুক্তির পর কী কী ঘটেছে তার একটি বিবরণ ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মতামত কলামে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তুলে ধরেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

‘অল ফর জার্নালিজম!’ শিরোনামে ওই নিবন্ধে তিনি বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিকাশ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া দীর্ঘদিনের ‘স্বল্প বিনিয়োগ কিংবা বিনিয়োগ খরার’ কারণে কর্মীদের অনেকের বেতন বকেয়া পড়ছিল, বেড়ে যাচ্ছিল দায়; সে কারণে কোম্পানির ৩৭ হাজার ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রতিটি শেয়ার মাত্র ১২ হাজার ৫০০ টাকায় ছেড়ে দিতে হয়েছে তাকে।

তারিখ ধরে পুরো ঘটনাক্রম তুলে ধরে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর সেই নিবন্ধে বলা হয়, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ইনফরমেশন মেমোরেন্ডাম (আইএম) তৈরির জন্য ব্র্যাক-ইপিএলের সঙ্গে এনডিএ স্বাক্ষরিত হয়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কয়েক মাস কাজ করে একটি ইনফরমেশন মেমোরেন্ডাম তৈরি করে ব্র্যাক-ইপিএল। তাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভ্যালুয়েশন হল ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০১৮)।

পরে এলআর গ্লোবালের সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা শুরু হলে ব্র্যাক-ইপিলের কাছ থেকে ইনফরমেশন মেমোরেন্ডামের হালনাগাদ সংস্করণ আনা হয়, যাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভ্যালুয়েশন করা হয় ৩৭১ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর চুক্তি হয় এলআর গ্লোবালের সঙ্গে।

৬ অক্টোবর বিনিয়োগের টাকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মূল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নিউজ টোয়েন্টিফোর আওয়ার্স লিমিটেড এবং তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছায়। তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার হাতে থাকা কোম্পানির শেয়ারের একটি অংশ বিক্রি করে দেওয়ায় ওই টাকা ‘পুরোপুরি বৈধভাবেই’ তার অ্যাকাউন্টে যায়।

ওই নিবন্ধে তৌফিক ইমরোজ খালিদী লিখেছেন, ওই বিনিয়োগ থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে পাওয়া অর্থের ২৫ শতাংশের বেশি ব্যয় হয়েছে কোম্পানির পুঞ্জিভূত দায়ের একটি বড় অংশ মেটাতে। আর তার শেয়ার বিক্রির টাকা কোথায় আছে তা এফডিআর অ্যাকাউন্টগুলো দেখলেই ‘বোঝা যায়’।

একজন সাবেক সহকর্মী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এক পোস্টে দুদকের তদন্তসহ পুরো বিষয়টিকে ‘হয়রানি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক ওই নিবন্ধে প্রশ্ন রাখেন- ‘নৈতিক সাংবাদিকতার’ চর্চা করাই তার এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘ভুল’ ছিল কি না। ‘অনেক প্রথমের জন্ম দেওয়া’ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘ক্ষতি করে কার স্বার্থ হাসিল’ করা হচ্ছে? বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং যিনি এর নেতৃত্বে, তার ‘ভাবমূর্তি নষ্ট করে কার কী লাভ’?

“সব মিলিয়ে এ এক হতাশাজনক পরিস্থিতি। কিছু বিতর্কিত লোক, যাদের কাজ সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ, তাদের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এতটা নগ্নভাবে ব্যবহার- এটা আমরা কখনও দেখতে চাই না, যখন আমরা সেরকম একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, যেটাকে মানুষ অনুকরণ-অনুসরণ করবে, যেটা হবে মানুষের ভরসার জায়গা।… বাস্তবিক অর্থেই আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।”