এরকম ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিদেশি শিল্পীর জন্য সরকারকে ২ লাখ টাকা করে দিতে হবে নির্মাতাদের। আর যে টেলিভিশনে ওই বিজ্ঞাপন দেখানো হবে, তাদের দিতে হবে ২০ হাজার টাকা।
রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা নীতিমালায় সংযোজন করেছি, বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবে, তবে ফি দিতে হবে।… এটি করে কেউ বিজ্ঞাপন বানাতে চাইলে বানাক। দেশীয় শিল্পী ও শিল্প রক্ষায় এটি করা হয়েছে।”
মহামারীর মধ্যে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প যে সঙ্কটে পড়েছে, সেখান থেকে দুই বছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “দেড় বছর ধরে করোনা, তারপরও চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য এমন অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তানেও নেওয়া হয়নি। সিনেমা হল পুনরায় চালু করা, আধুনিকায়ন, নতুন সিনেমা হল স্থাপনের জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে।
“আমরা যে প্রণোদনা ও উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছি, সেগুলো এখনও দৃশ্যমান হচ্ছে না। এগুলো দৃশ্যমান হবে এক বছরের মাথায়, যদি করোনা চলে যায় বা কমে যায়। আমি আশা করছি ২ বছরের মাথায় চলচ্চিত্র শিল্প পরিপূর্ণভাবে ঘুরে দাড়াবে।”
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ওই প্রকল্পের দরপত্র ডাকা হয়েছে।
“সেটা ইভালুয়েট করা হচ্ছে। সহসা সেটা অ্যাওয়ার্ড হলে কাজ শুরু হবে। সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট। সেখানে বেশ কয়েকট ফ্লোর থাকবে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে।“
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন।
অন্যদের মধ্যে তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
‘বাজেট পেশ হওয়ার আগে বিবৃতি প্রস্তুত রাখে’ বিএনপি
প্রতি বছর বাজেট পেশ হওয়ার আগেই বিএনপি বিবৃতি ‘প্রস্তুত রাখে’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বাজেট নিয়ে বিএনপির সমালোচনার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ নেতা হাছানের এমন উত্তর আসে।
তিনি বলেন, “বিএনপিকে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, গত ১২ বছর ধরে তো বাজেটের পর পর আমরা তাদের সমালোচনা দেখছি। বাজেটের পর যে সমালোচনাগুলো তারা ১২ বছর ধরে করে আসছে, একই ধরনের সমালোচনা, একই ধরনের বক্তব্য। তাদের কাছে প্রশ্ন, ১২ বছরে দেশটা কীভাবে এগিয়ে গেল?’
“বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা- এই যে সংস্কৃতি, এটি থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে যদি কোন পরামর্শ থাকে, সেটা দিতেই পারেন। কিন্তু প্রতিবার বাজেট পেশ হওয়ার আগে বিবৃতি রেডি করে রাখা, আবার বাজেট না পড়েই সাথে সাথে বলে দেওয়া। এই সংস্কৃতি তারা লালন করছেন।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “তাদের নেতারা মেধাবী, কিন্তু তাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, তারা মেধাহীন হয়ে গেছেন। তারা বাজেট না পড়েই বক্তব্য দিচ্ছেন।”