বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাহিদ হোসেন গত ৩ মার্চ এই আদেশ দেন বলে বাদীর আইনজীবী হাসানুর রহমান জন জানিয়েছেন।
‘দৈনিক আজকের বার্তা’ পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি তরিকুল ইসলাম রতন বাদী হয়ে চলতি বছরের ৩ মার্চ ওই মামলার আবেদন করেন। সেখানে তিনি নিজেকে ডা. ইকবালের ‘বন্ধু’ হিসাবে পরিচয় দেন।
এর আগে একই অভিযোগে বরিশালের আদালতে করা কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল নামের এক ব্যক্তির আবেদন গত ১৪ মার্চ খারিজ হয়ে যায়।
বরগুনার তরিকুল ইসলাম রতনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারক বলেছেন,
“নালিশি দরখাস্ত ও বাদীর জবানবন্দি হইতে দেখা যায়, মামলার বাদী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্ষুব্ধ নয়। নালিশিতে বর্ণিত ঘটনায় বাদী কীভাবে সংক্ষুব্ধ তাহা উল্লেখ করিতে পারেন নাই। পাশাপাশি মামলায় বর্ণিত ঘটনায় কী ধরনের মানহানি হাইয়াছে, তাহা অস্পষ্ট। সার্বিক বিবেচনায় পেনাল কোডের ৫০১, ৫০২, ৫০৩ ধারার উপাদান দেখা যায় না। এমতাবস্থায় নালিশী দরখাস্তখানা The Code of Criminal Procedure, 1898 এর ২০৩ ধারায় খারিজযোগ্য মর্মে বিবেচিত হয়।”
অযৌক্তিক ওই চাপে নত না হওয়ায় গত ৩ মার্চ বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ২০০ কোটি টাকার ওই মানহানি মামলার আবেদন করেন তরিকুল ইসলাম রতন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, হেড অব ইংলিশ নিউজ অরুণ দেবনাথ, বার্তা সম্পাদক জাহিদুল কবির এবং বার্তা সম্পাদক মুনীরুল ইসলামকে সেখানে বিবাদী করা হয়।
নিজেকে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি মামলার আর্জিতে বলেন, ডা. ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ২০২১, ২০০৭, ২০০৮, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে বিভিন্ন সময়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা তার ভাষায়, ‘মিথ্যা’।
সেসব প্রতিবেদনের কারণে দেশ-বিদেশে ডা. ইকবাল ও তার পরিবারের ‘ব্যাপক মানহানি’ হয়েছে এবং তাদের ‘সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি’ হয়েছে বলে আর্জিতে দাবি করা হয়।
এই কারণ দেখিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদকসহ চারজনের নামে উকিল নোটিস পাঠান রতন।
এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো জবাব পাওয়ার কথা স্বীকার করে মামলার আর্জিতে বলা হয়, “আসামিরা উক্ত নোটিসের কোনো যুক্তি সংগত জবাব বা উত্তর প্রদান করেন নাই। আসামিগণ লিগ্যাল নোটিসের জবাব প্রদান করিয়াও তাহা উক্ত সংবাদ ডিলেট বা মুছে ফেলেন নাই। যাহা খুবই দুঃখজনক বটে।”
এই কারণ দেখিয়েই মামলার ওই আবেদন আদালতে দাখিল করেছিলেন ডা. ইকবালের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেওয়া তরিকুল ইসলাম রতন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের যেসব প্রতিবেদন নিয়ে তার এই আপত্তি, সেগুলোও তিনি আদালতে দাখিল করেছিলেন।
প্রিমিয়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গত দেড় দশকে বিভিন্ন সময়ে যেসব মামলা হয়েছে, তার কার্যক্রম আর আদালতের আদেশ নিয়ে অন্য সব সংবাদমাধ্যমের মত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও ওই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়। সেসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতিও পেয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান এসব প্রতিবেদনে নেই; সম্পূর্ণভাবে মামলার কার্যক্রম ও আদালতের আদেশই সেখানে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ফলে সেসব প্রতিবেদন প্রত্যাহার বা সংশোধন করার মত কিছু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পায়নি।
বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তার আদেশে বলেন, বাদী অভিযোগ করেছেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত সংবাদের কারণে ডা. ইকবাল ও তার সন্তানদের ‘মানহানি’ হয়েছে। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান। কিন্তু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তাদের পুরনো প্রতিবেদন সরায়নি। এ কারণে বাদী উকিল নোটিস পাঠালেও আসামিরা ‘পুরনো নিউজ বার বার শেয়ার করে ইকবাল পরিবারের মানহানি করছেন’ বলে আর্জিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেছে, “অত্র মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা না থাকায় নালিশী দরখাস্তখানা The Code of Criminal Procedure, 1898 এর ২০৩ ধারা মতে খারিজ করা হইল।”
কেন ওই মামলা করতে চেয়েছিলেন- এমন প্রশ্নে বাদী তরিকুল ইসলাম রতন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলন, ডা. এইচ বি এম ইকবাল একজন মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সাংসদ। তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ‘মানহানি’ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তাই এ মমালার আবেদন করেছিলেন।
ডা. এইচ বি এম ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা এবং আদালতের আদেশ নিয়ে গত দেড় দশকে প্রকাশিত প্রতিবেদন মুছে ফেলার দাবি তুলে গত জানুয়ারির শেষে কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল নামে বরিশালের এক ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের চার জ্যেষ্ঠ সম্পাদকের নামে উকিল নোটিস পাঠান। তিনিও নিজেকে ডা. ইকবালের ‘বন্ধু’ হিসাবে পরিচয় দেন।
ওইসব প্রতিবেদনের তারিখ উল্লেখ করে সেগুলো মুছে ফেলার (ডিলিট) দাবি তোলা হয় নোটিসে। তা না হলে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং মানহানির অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়।
নোটিস পাওয়ার পর ২ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সাংবাদিকতার নিয়ম অনুযায়ী নোটিসদাতা আইনজীবী এবং ডা. এইচ বি এম ইকবালের সঙ্গে সে সময় কথাও বলা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে সাবেক সাংসদ ইকবাল তখন বলেছিলেন, “আমাদের ওয়ান-ইলেভেনের কেইস আজকে ১২ বছর হয়ে গেছে। এগুলো হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোয়াশ-আউট করে দিছে, আপনারা লোয়ার কোর্টের এটা সারা পৃথিবীতে জানায় রাখতেছেন।”
২ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন জেলা থেকে নতুন নতুন উকিল নোটিস আসা শুরু হয়। দুই ডজন জেলা থেকে তিন ডজনের বেশি নোটিস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঠিকানায় পৌঁছায়, যার মধ্যে বরগুনার তরিকুল ইসলাম রতনের নোটিসটিও রয়েছে।
ডজন ডজন উকিল নোটিস পাওয়ার পর তার জবাব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। তারই মধ্যে প্রথমে বরিশালের আদালতে মামলার আবেদন হয়।
গত ১৪ মার্চ বরিশালের আদালতে ওই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তার আগেই ৩ মার্চ বরগুনার আদালতে মামলার আবেদন করেন তরিকুল ইসলাম রতন। সেদিনই তার আবেদন বিচারক খারিজ করে দেন।
এছাড়া ১০ মার্চ খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এক হাজার কোটি টাকার একটি ‘মানহানি’ মামলার আবেদন করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে ডা. ইকবালের ‘ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী’ পরিচয় দিয়েছেন ।
খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী তারিখ রাখা হয়েছে ৬ জুলাই।
আইনি লড়াই
পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই চাপের বিষয়গুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ সম্মেলন করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
সেখানে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে কোথাও ভুল হলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তা স্বীকার করবে, সংশোধন করার প্রয়োজন হলে সাংবাদিকতার নিয়ম মেনে তাও করবে। কিন্তু চাপের কাছে নতি স্বীকার করে কোনো খবর তুলে নেওয়া হবে না।
“বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান এসব প্রতিবেদনে নেই; সম্পূর্ণভাবে মামলার কার্যক্রম ও আদালতের আদেশই সেখানে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাহলে কোন যুক্তিতে একটি সংবাদমাধ্যম এসব প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলবে?”
“আমাদের বার বার বলা হয়েছে, অন্যরাও নাকি এ বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলেছে। বিভিন্নভাবে তদবির করানো হয়েছে প্রভাবশালীদের দিয়ে, যাদের মধ্যে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও আছেন। বলা হয়েছে, তারা সরিয়ে ফেলেছেন, আমরা কেন তা করছি না। দীর্ঘদিন নানাভাবে চেষ্টার পরও প্রতিবেদন সরাতে রাজি করাতে না পেরে এখন তারা চাপ দেওয়ার অদ্ভুত এক কৌশল নিয়েছেন।”
যেসব খবর সরিয়ে ফেলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর একটি তালিকাও সেদিন সাংবাদিকদের সরবরাহ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের লিখিত বিবৃতিতে সেদিন বলা হয়, “এসব নোটিস পাঠাচ্ছেন কারা? যার সংক্ষুব্ধ হওয়ার কথা তিনি নন, অন্য কেউ। এর উদ্দেশ্য আমাদের হয়রানি করা; ভয় দেখানো, যাতে আমরা প্রতিবেদনগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবি। এবং তাদের বিষয়ে ভবিষ্যতে খবর প্রকাশের ক্ষেত্রেও আমরা যেন ভয়ে থাকি।”
এ ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার প্রত্যয় জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক সেদিন বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আইনি পথেই লড়বে।
“বিচারকতো অন্ধ নন। বিচারকতো জানেন, বিচারকতো দেখবেন যে, আসলে এটা গ্রহণযোগ্য মামলা কি-না।”
পুরনো যেসব খবর সরিয়ে ফেলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে Dulal remanded in 2001 Malibagh shooting Published: 22 Oct 2007 03:54 PM BdST Published: 11 Mar 2008 12:00 PM BdST Ex-AL MP Iqbal sent to jail in wealth case Published: 28 Feb 2010 11:18 AM BdST Banker, ex-AL MP Iqbal sent to jail in wealth case Published: 28 Feb 2010 03:57 PM BdST AL leaders relieved from 2001 murder case Published: 26 Aug 2010 07:10 AM BdST Four injured in reckless driving by ex-Awami League MP HBM Iqbal’s underage nephew at Gulshan Published: 14 Oct 2015 12:30 AM BdST Top court upholds conviction of former MP Iqbal's wife, children for corruption Published: 27 Nov 2016 02:51 PM BdST Former AL lawmaker Iqbal's wife, two sons and daughter land in jail Published: 08 Mar 2017 04:30 PM BdST Ex-MP Iqbal's wife, three children appeal against conviction in ACC case Published: 09 Mar 2017 09:57 PM BdST Arrest warrant out for Premier Bank Chairman HBM Iqbal Published: 02 Jul 2017 10:42 PM BdST |
সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নিন্দা
পুরনো প্রতিবেদন মুছে ফেলার জন্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এভাবে চাপ দেওয়ার বিষয়টিকে ‘অনৈতিক’ হিসেবে বর্ণনা করে ইতোমধ্যে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সারা দেশের সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।
বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন চাপ প্রয়োগকারীদের চিহ্নিত করে ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার’ দাবি জানিয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন বলেছে, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরসহ গণমাধ্যমের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ উদ্বেগজনক।”
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে), বাগেরহাট প্রেসক্লাব, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব, নেত্রকোণা জেলা প্রেস ক্লাব, দিনাজপুর প্রেস ক্লাব, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন, রংপুর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, শার্শা উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাব বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এ ধরনের চাপ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস), সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জাবিসাস), স্ট্যামকোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বেরোবিসাস), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (নোবিপ্রবিসাস) এবং সারাদেশে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিলও (বিজেএসসি) আলাদা বিবৃতিতে এ ধরনের চাপের নিন্দা জানিয়ে সেইসব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।