সংগঠনের সভাপতি শামিম হোসেন শিশির এবং সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ গণমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগ উদ্বেগজনক।”
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ওই চাপের বিষয়গুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রিমিয়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে গত দেড় দশকে বিভিন্ন সময়ে যেসব মামলা হয়েছে, তার কার্যক্রম আর আদালতের আদেশ নিয়ে অন্য সব সংবাদমাধ্যমের মত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতিও পেয়েছেন। এখন, এতদিন পর, সেসব পুরনো খবর মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অদ্ভুত কায়দায় চাপ দেওয়া হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে তিন ডজনের বেশি উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদকের নামে। সেখানে বলা হচ্ছে, ওই সব প্রতিবেদন ‘ডিলিট’ না করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ‘মানহানির’ অভিযোগে মামলা করা হবে।
ডা. এইচ বি এম ইকবাল নিজে কোনো নোটিস পাঠাননি। বিভিন্ন জেলা থেকে যারা নোটিস পাঠাচ্ছেন, তারা নিজেদের ডা. ইকবালের বন্ধু, শুভাকাঙ্খী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।
এর মধ্যে অন্তত একটি নোটিসে ‘বিরূপ পরিণতির’ জন্য প্রস্তুত থাকার ‘হুমকিও’ দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এরকম একজন নোটিসদাতা বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘মানহানির’ অভিযোগও করেছেন। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদালতের আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওপর এভাবে চাপ প্রয়োগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সতিকসাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সংশ্লিষ্ট মামলা সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। তারপরও ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির ‘ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার’ নামে বিডিনিউজের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, যা স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের জন্য মারাত্মক হুমকি।”
বিবৃতি আরও বলা হয়, “মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীনভাবে পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালনে প্রভাবশালী মহলের চাপ সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সতিকসাস।”
আরও পড়ুন