টেলিভিশন মালিকরা সম্পাদকীয় দায়িত্বে থাকলে এমনই হবে: তৌফিক ইমরোজ খালিদী

বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নীতিমালা না মানায় দেশের গণমাধ্যমের জন্য যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, সে বিষয়টি সামনে এনেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2021, 06:15 PM
Updated : 7 Feb 2021, 05:18 AM

তিনি বলেছেন, কিসের ভিত্তিতে কাকে কেন টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া হবে, তার কোনো নীতিমালা মানা হয়নি। ফলে টেলিভিশন মালিকরা সম্পাদকীয় দায়িত্বেও থাকছেন। আর তাদের বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাটছে নিজেদের ‘ব্যবসার তদবির করে’।

শনিবার রাতে বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠান একাত্তর মঞ্চে কথা বলছিলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

‘তথ্য যুদ্ধ বা গণমাধ্যমের রাজনীতি!’ শীর্ষক এ আলোচনায় সহ আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

আল-জাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে যে অভিযোগগুলো এসেছে, সরকার দক্ষতার সাথে তার ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে কি না, আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদনকে সরকার কেন ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে, প্রতিবেদনটি আসলে কতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ, গণমাধ্যমে দুর্নীতির যেসব খবর আসছে, তা কতটা পেশাদারিত্বের সাথে সরকার আমলে নিচ্ছে, সেসব বিষয়ে দুই আলোচকের মতামত জানতে চেয়েছিলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক নুর সাফা জুলহাজ।

আলোচনার শেষাংশে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, “এক সময় ছিল নিউজপেপার রেজিস্ট্রেশন নেওয়াটাই বিরাট একটা ধকল। এখন যে কোনো লোক যেয়ে একটা নিউজপেপার শুরু করতে পারে। আপনার এতগুলো টেলিভিশন চ্যানেল হয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাইভেট টেলিভিশন শুরু করেছেন। আমরা খুশি হয়েছি। এখানে বিভিন্ন মতের…।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

তখন তৌফিক খালিদী বলেন, “এখানে কিন্তু কোনো নীতিমালা মানা হয়নি। কিসের ভিত্তিতে কাকে কেন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে? এ কারণে কী হয়েছে জানেন, টেলিভিশনের মালিক বা এডিটরিয়াল দায়িত্বে আছেন, মালিকানাতেও আছেন, এবং তারা ৯৫ ভাগ সময় কাটান প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে, কিংবা সচিবালয়ে বা অন্য কোনো সরকারি অফিসে তদবির করে নিজেদের ব্যবসা করতে।

“তারা যদি গণমাধ্যম পরিচালনার সাথে জড়িত থাকেন, তাহলে গণমাধ্যমের অবস্থা এই রকমই হবে। … ভেন্টিলেশন সোশ্যাল মিডিয়াতে হবে এবং কেউ কেউ বিদেশে যেয়ে করবে।”

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এর জবাবে বলেন, “নর্মাল নীতিমালা করলে বলা হবে সরকার হাতেপায়ে বেঁধে রাখতেছে। যদি যে চাইল, তাকে দেওয়া হল, তখন ইট মে বি অ্যাবিউজড। এই যে একটা সমন্বয় করা, এটা আমাদের আপনাদের মিলে করতে হবে।”

তখন তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “সেখানে রেগুলেশন এবং কন্ট্রোল- দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।”

বাংলাদেশের মিডিয়ায় ‘খুব বেশি কথা বলা যায় না বলে’ সোশাল মিডিয়াতে অনেক খবর মানুষকে বিভ্রান্ত করছে- এমন একটি অভিযোগের কথা তুলে ধরে সঞ্চালক নুর সাফা জুলহাজ এর আগে প্রশ্ন করেছিলেন, তৌফিক ইমরোজ খালিদীও ‘সেই বিপদ’ দেখছেন কি না।

উত্তরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “বড় সমস্যা হল কি, যখন আপনি ভেন্টিলেশনের জায়গা না পাবেন, তখন আপনি অন্যভাবে ভেন্টিলেশন করবেন।”

উদাহরণ দিয়ে তৌফিক খালিদী বলেন, “আমি খেয়াল করি, এই যে আমার অফিসিয়াল পেইজ যেটা আছে, সেখানে নিচে অনেক আজেবাজে আক্রমণ হয়। আমি জানি এগুলো ফেইক আইডি থেকে করা হচ্ছে।

“কেন ফেইক আইডি খোলা হচ্ছে?... একজন মানুষ বা একটি প্রতিষ্ঠান আরও ৫০টা ১০০টা আইডি খুলছে। এই যে সাইবার ওয়ার যেটা হচ্ছে, এই যে প্রপাগান্ডা ওয়ার অন সোশাল মিডিয়া, এখানে কিন্তু বিভিন্ন পক্ষ,… তারা দুপক্ষই কিন্তু ফেইক আইডি খুলে কাজগুলো করছে, কেন করছে? ভেন্টিলেশনের একটা সমস্যা আছে, সেটা আপনার প্রশ্নেই আছে, আপনিই বলেছেন।”

সঞ্চালক তখন বলেন, “এই অভিযোগগুলো তোলা হচ্ছে। আপনি এই অভিযোগের মধ্যে সত্যতা দেখেন কি-না?”

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “অবশ্যই সত্যতা আছে। সত্যতা আছে মানে কি, ধরুন, সব কিছু তো কাজ প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে করা হচ্ছে। অনেকগুলো সংস্থা আছে গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করে। যাদের গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করার যোগ্যতা নেই, ক্ষমতা নেই, প্রশিক্ষণ নেই এবং একেবারেই কোনো অভিজ্ঞতা নেই।

“গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করছেন তারা, তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, তারা বলছেন এটা করবেন না, এটা করবেন না। সব কিছু প্রধানমন্ত্রীর নামে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এটা চেয়েছেন। এরা কিন্তু ফেইসলেস মানুষ, এদের কিন্তু চেহারাটা কেউ চেনে না। কেউ জানে না।

“উনি ছয় মাসের জন্য এখানে এসছেন, ছয় মাস পর চলে যাবেন অন্য জায়গায়, একটা প্রমোশন নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন, কাজগুলো করে যাচ্ছেন। কিন্তু বদনামটা হচ্ছে কার? যিনি সরকারপ্রধান তার। বদনামটা হচ্ছে কার? বাংলাদেশের।”

সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল, আল-জাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সেনাপ্রধান ও তার ভাইদের নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে, সেগুলো সরকারের ‘পেশাদারিত্বের সাথে ব্যাখ্যা করা উচিত বা জনগণের সামনে স্পষ্ট করা উচিত’ বলে মনে করেন কি না।

এর উত্তরে তৌফিক খালিদী বলেন, “শুধু সেনাপ্রধানের বিষয় নয়, যে কোনো বিষয়েই যদি অভিযোগ আসে, সেটিকে স্পষ্ট করা উচিৎ, ব্যাখ্যা করা উচিৎ। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নিয়ে যদি অভিযোগ আসে, সেটি নিয়ে সরকারের অবস্থান, রাষ্ট্রের অবস্থান, কর্তৃপক্ষের অবস্থান ব্যাখ্যা করা উচিৎ। জনগণের প্রাপ্য সেই ব্যাখ্যাটা।

“জনগণ সেটা আশা করে। জনগণের টাকাতে কিন্তু দেশটা চলে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশটা চলে।”

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

আল-জাজিরা প্রসঙ্গ

আলোচনার শুরুতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, “আমাদের অগ্রযাত্রা যখনই হয়, তখনই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র আমাদের দেশ, সরকার এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে হয়।”

এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা থেকে শুরু করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং তাকে হত্যাচেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীন হয়েছে। যাদের অনেকে তা মেনে নিতে পারেনি। যারা মেনে নিতে পারেনি, তারা বিভিন্ন সময় এ দেশের বিরুদ্ধে এসে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হল।”

“মিডিয়ার আশেপাশে মিডিয়ার নামে অনেক কিছু হয়। অনেক নয়েজ হয়। সেটা নিয়ে সরকার কতটুকু মনোযোগ দেবে, যেখানে আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনে মনোযোগ দেওয়াটাই প্রাথমিক দায়িত্ব?”

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, “আল-জাজিরায় দেখেছি বিভিন্ন সময়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সম্প্রচার করা হয়। মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তারা বিভিন্ন নেতিবাচক প্রতিবেদন করেছে।

“সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আামাদের উত্তর হল- আমরা আমাদের পথ থেকে বিচলিত হব না। আমরা আমাদের মনোযোগ হারাব না, তাদের সাথে দৈনন্দিন ঝগড়ায় যাওয়ার আমাদের দরকার নাই। প্রতি সকালে উত্তর পাওয়া তারা ডিজার্ভ করে না। এটা আমাদের প্রয়োজনও মনে করি না।

“আপনি উত্তর দেন আর না দেন, তারা এগুলো করেই যাবে। দেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাব।”

উপদেষ্টার বক্তব্যের সূত্র ধরে সঞ্চালক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদনে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু আছে বলে তিনি মনে করেন কি না।

উত্তরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “গুরুত্ব সরকার অলরেডি দিয়ে ফেলেছে। সবাই দেখি বিবৃতি দিয়েছে, সরকার দিয়েছে, সেনাবাহিনী দিয়েছে, পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন দিয়েছে। গুরুত্বতো দেওয়া হয়ে গেছে।

“খুব সংক্ষেপে বললে, এটার (আল-জাজিরার প্রতিবেদন) মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ আছে। সেটা কিন্তু আমাকে ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিতে হবে।”

তিনি বলেন, “এখানে যে স্টোরিটা করা হয়েছে, যেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি, সেটা খুব দ্রুত গতিতে আমি একবার দেখেছি। সেখানে পেশাদারিত্বের অভাব আছে।

“একজন আমাকে ফোন করলেন, ‘দেখেছেন?’ দেখলাম। আমার ইনস্ট্যান্ট রিঅ্যাকশন ছিল- খুব একটা ভালো কিছু হয়নি। সত্যি মিথ্যা সেটা অন্য জিনিস। ধরুন, কেউ কেউ স্টোরি করলে আমি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি। আল-জাজিরার এই টিম, যারা বাংলাদেশ কাভার করে, তারা স্টোরি করলে আমি অবিশ্বাস করব, এক নম্বর।

“আরেকটি হচ্ছে, কাগজগুলোতো আমি দেখিনি। আমি দেখলে হয়ত আরেকভাবে দেখতাম। অন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতাম। সত্যি সত্যি জাল কি কি তৈরি করা হয়েছে বা করা হয়েছে কি-না?”

নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, এই প্রতিবেদনে কেন ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’ আছে, সেটা বুঝতে পেছনের দিকে যেতে হবে।

“আমি দীর্ঘদিন ধরে, এমনকি সাংবাদিকতা শুরুর আগে থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে খবরগুলো বিদেশি পত্রিকায় পড়তাম, আমার কখনোই বাংলাদেশ সম্পর্কে খবরগুলো সঠিক তথ্যবহুল মনে হয়নি এবং ভুল থেকে যায়। পরিসংখ্যানের সমস্যা থাকে, তাদের হোমওয়ার্কের সমস্যা থাকে, গবেষণার সমস্যা থাকে। যথেষ্ট খোঁজখবর না নিয়ে তারা কাজ করেছে। এটার ভিকটিম কিন্তু আমরা হয়েছি।”

খালিদী বলেন, “আল-জাজিরা ইজ আ গ্রেট ইনস্টিটিউশন, এটা গড়ে উঠেছে। তার কিছু দুর্বলতা আছে। দুর্বলতা আছে তার অবস্থান, তার যারা অর্থায়ন করেন, যারা ওন করেন, সেটার মধ্যে সমস্যা আছে।

“আবার আল-জাজিরারই কোনো কোনো অংশ ভালো কাজ করে। এটা আমরা দেখেছি, গত আট-১০ বছরে। বাংলাদেশকে যখন কাভার করে, আল-জাজিরা ভালো করে কাভার করেনি।

নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “কেন করেনি, সোজা হিসাব। আমি স্পষ্ট করে বলছি, সেখানে এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে যারা কাজ করেন, এক নম্বর কথা, তারা যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন না। দুই নম্বর কথা, কিছু লোক রয়েছেন, যারা বাংলাদেশের যে পোলারাইজেশন আছে, আমাদের সোসাইটি-রাজনীতিতে আছে, সেটা দ্বারা প্রভাবিত। তারা আরেক পক্ষের লোক।

“বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কাভার করে, এই সমস্যা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে রয়েছে। দুয়েকটি জায়গায় অযোগ্যতার সমস্যা রয়েছে। আল-জাজিরার ক্ষেত্রে যে সমস্যা আছে, সেটা হয়ত নাই।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “নিউজ গ্যাদারিং স্টেশন হিসাবে বাংলাদেশ বা ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেনি কখনো। গত ৩০ বছর ধরে যখন আমি খুব ঘনিষ্ঠভাবে এই দৃষ্টিকোণ থেকে ফলো করি, দেখেছি। ঝামেলা কিছু হলে দিল্লি থেকে কেউ আসেন।

“আল-জাজিরার ক্ষেত্রে যেটা দেখেছি, খুব যে দক্ষ লোকজন বাংলাদেশ কাভার করেছেন তা নয়। যে কারণে অন্যরা তাদের প্রভাবিত করার সুযোগ পেয়েছে।”

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “এখানে যেটা হয়েছে, যারা এই কাজগুলো করে, তাদের সুপারভাইজরি অথরিটি বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেন না অনেক ক্ষেত্রে। যার ফলে এই কাজগুলো তারা করে পার পেয়ে যাচ্ছেন।”

এ বিষয়গুলো সামাল দিতে সরকার যাদের দায়িত্ব দেয়, তাদের নিয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “যেহেতু আল-জাজিরার হেড কোয়ার্টার কাতারের দোহায়, কাতারে অ্যাম্বাসেডর থেকে শুরু করে সবাই- আর দে ইকুইপড টু ডিল উইথ দিজ পিপল?

“ওখানে কোনো প্রেস অফিসার আছে? আমরা প্রেস অফিসার কাদেরকে পাঠাই? সাংবাদিকদের। দেখুন জার্নালিস্ট এবং পাবলিসিস্ট- এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য আছে। এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য যদি আমরা না বুঝি, যারা সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে হবে না।”