সচিবালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন কে কাকে টিআরপি দেয়, সেটি আমাদের জানা নেই। টিআরপি যারা করছে তারা কোথা থেকে অনুমতি নিয়েছে, কে তাদেরকে লাইসেন্স দিয়েছে সেটি অনেকেরই প্রশ্ন। কারণ বাংলাদেশে টিআরপি নির্ধারণের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।”
অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলো টিআরপি নির্ধারণ করছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানেও অশুভ, অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
মন্ত্রী বলেন, “কোনো অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান কোন টেলিভিশন কে কত বেশি দেখে (টিআরপি), সেটি বলার বৈধ কোনো এখতিয়ার রাখে না।”
ভারত, শ্রীলংকা এবং ইউরোপের দেশগুলোতে টিআরপি কিভাবে নির্ধারণ হয় সরকার তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সবচেয়ে বড় টেলিভিশন শিল্পের দেশ ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি সংস্থা টিআরপি ঠিক করে দেয়।
“এ বিষয়ে অ্যাটকো (অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স), ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার এবং অন্যান্য অংশীজন যারা আছে, তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা এখানে অবশ্যই খুব সহসা একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসব।
“টিআরপি নির্ধারণে শৃঙ্খলা নিয়ে আসব এবং যারা অনুমোদন ছাড়া যারা এ কাজটি করে আসছে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।”
‘অনৈতিক’ ওয়েবসিরিজ নিয়ে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “ওয়েবসিরিজ, সিনেমা বা যে কোনো কিছু নির্মাণ ও প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়। আমাদের একটি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আছে, আমাদের সমাজের একটি মূল্যবোধ আছে। এটি অনেক সময় অনেকে মাথায় রাখেন না।
“বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে এই দোহাই দিয়ে আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে কোনো কিছু করা কখনোই সমীচীন নয়, আইন অনুযায়ীও সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ।”
যেসব সার্ভিস প্রোভাইডার এ ধরনের ওয়েবসিরিজ প্রচার করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের এ কাজের জন্য কোনো লাইসেন্স আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
“যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলে এই অবৈধ কাজের জন্য অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর লাইসেন্স থাকলেও তাদের ডোমেইন ব্যবহার করে এ ধরনের অশ্লীল জিনিস প্রচার করাও দণ্ডনীয় অপরাধ। সে বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত কোভিড-১৯ বিষয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবীদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন।