এছাড়া সরকারি ক্রোড়পত্রসহ বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধে জোরাল ভূমিকা নিতে তথ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে মতবিনিময়ে নোয়াব সদস্যরা এসব দাবি করেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, “সরকারি ক্রোড়পত্রসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল দ্রুত পাওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও জোরাল ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ জানান নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ।
“একইসাথে সংবাদপত্রের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা ও সংবাদপত্রের হকার, পরিবহন শ্রমিক ও এজেন্টদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিষয়গুলোও সুবিবেচনার দাবি জানান তিনি।”
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সংবাদপত্রের যে বকেয়াগুলো আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে সব মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রের বকেয়া পরিশোধ করে।
“সেটির প্রেক্ষিতে আমরা আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটা তাগিদপত্র সব মন্ত্রণালয়ে দেব।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা সংবাদপত্র পরিচালনার জন্য যে ঋণের কথা বলেছেন, সে বিষয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলব। যেহেতু সংবাদপত্র আমার দৃষ্টিতে একটি সার্ভিস সেক্টর। আপনারা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প হিসেবে কিছু সুবিধা পান, পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টর হিসেবেও আমি মনে করি এখানে সুযোগ রয়েছে।”
দুর্যোগের মধ্যে আশা জাগানিয়া সংবাদ পরিবেশন করে মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার মনোবল যোগাতে সংবাদপত্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আশাই মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়, আশাই মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে রাখে। সেজন্যই আমি সেই সংবাদগুলো প্রকাশের অনুরোধ জানাব, যে সংবাদগুলো মানুষের মাঝে আশা জাগাবে; মানুষকে জানাবে যে আগামীতে সমস্ত অন্ধকার কেটে গিয়ে সুদিন আসবে।”
সংবাদপত্রের মালিকদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, “আপনারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি করে আসে। এই সময়ে ইতিবাচক সংবাদগুলো খুব জরুরি। কারণ হতাশাগ্রস্ত, শঙ্কিত মানুষেরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। এই সময়ে মানুষকে আশাবাদী করে তোলা আমাদের দায়িত্ব।
“সংবাদপত্র ও সরকার, আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব, যেহেতু আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সুতরাং সেই লক্ষ্যেই আমরা সবাই একযোগে কাজ করব।”
তথ্যসচিব কামরুন নাহার, নোয়াব সদস্য মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, তারিক সুজাত, শাহ হোসেন ইমাম, নঈম নিজাম, আলতামাশ কবির মিশু ও সাইফুল আলম মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিনিধিরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে নিহত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের পরিবারের জন্য সহায়তা চান।
এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য চিকিৎসা ও ডিআরইউ সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সরকারি সহায়তারও আবেদন জানান ডিআরইউ নেতারা।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতারা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার দপ্তরে দেখা করেন।