রোববার সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমের জন্যও ‘প্রণোদনা প্যাকেজ’ ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মোজাম্মেল বাবু বলেন, “বাংলাদেশের গণমাধ্যম অতীতে অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে। তবে এবারের মতো বৈরী পরিস্থিতি সাম্প্রতিককালে আর আসেনি।”
তার দাবি
>> গণমাধ্যমের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা।
>>বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিওসহ সবধরনের গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ করার ব্যবস্থা করা।
>> সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন, রেডিওসহ সব গণমাধ্যমে বেসরকারি খাতের বকেয়া বিল আদায়ে সহায়তা প্রদান।
>> টেলিভিশনের জন্য স্যাটেলাইট ফি তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখা।
>> বিজ্ঞাপনের আয়ের উপর থেকে সব ধরনের ভ্যাট মওকুফ করা।
>> করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, করোনাভাইরাসের প্রভাবে এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি গণমাধ্যম। টানা ১০ দিনের ছুটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় পত্রিকার বিলি ও বিতরণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অনলাইন ও সম্প্রচার মাধ্যম ঝুঁকি নিয়ে অফিস খোলা রেখে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বিজ্ঞাপন কমছে দ্রুতগতিতে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন বিলে কালেকশন একদম বন্ধ হয়ে গেছে।
“কোনও কোনও সংবাদপত্র পৃষ্ঠা সংখ্যা কমিয়ে, কেউ বা প্রকাশনা বন্ধ করে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম শুধু মানুষকে তথ্যসেবাই দিচ্ছে না, অনেক গুজব ও অসত্য তথ্য প্রচারকেও মোকাবেলা করে চলেছে মন্তব্য করে গিল্ড সভাপতি বলেন, “আমরা মনে করি, মহামারি সংকটে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা যেমন জরুরি, তেমনি সত্যনিষ্ঠ তথ্যসেবাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
“গণমাধ্যম উদ্যোক্তাদের ভাবতে হচ্ছে, চলমান সংকট দীর্ঘ হলে তারা তাদের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের বেতন দেবেন কোত্থেকে? সংকটের সময় নিজস্ব সঞ্চয় থেকে সাংবাদিক, কর্মচারীদের মজুরি প্রদানসহ তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশন এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।“