বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে না আল জাজিরা ওয়েবসাইট

বাংলাদেশ থেকে আল জাজিরা ওয়েবসাইটের খবর পড়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পাঠকরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2019, 03:16 PM
Updated : 22 March 2019, 03:18 PM

বেশ কয়েকজন পাঠক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে তারা আল জাজিরার ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছেন না। ফেইসবুকে আল জাজিরার নিউজ ফিডগুলোও খোলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশে আল জাজিরার ওয়েবসাইট আটকে দেওয়া হয়েছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যম, যা গুগল সার্চে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ওই লিংক খোলা যায়নি।  

আল জাজিরার ফেইসবুক পেইজেও প্রতিবেদনটি শেয়ার করা হয়েছে, কিন্তু সেটিও খোলা যাচ্ছে না।  

টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বাংলাদেশে আল জাজিরার ওয়েবসাইট বন্ধ রাখার কথা অস্বীকার করেছেন।

বিডিনিউজে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমার জানা মতে আল জাজিরার ওয়েব সাইট বন্ধ করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে আল জাজিরা যদি বিটিআরসিকে জানায় তবে বিষয়টি দেখা হবে।”

গত কয়েক বছরে বেশ কিছু নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে বিটিআরসির বিরুদ্ধে। ইন্টারনেট গেইটওয়ে (আইআইজি) অপারেটররা বিটিআরসির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় ওয়েবসাইট ‘ব্লক’ করার কথা সে সময় জানালেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা কখনোই বিষয়টি স্বীকার করেননি।

আল জাজিরার ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে জানতে চাইলে একটি আইআইজি অপারেটরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এ বিষয়ে বিটিআরসি থেকে তারা কোনো নির্দেশনা পাননি।

“গত ফেব্রুয়ারি থেকে গেইটওয়েগুলোতে ফিল্টারিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন সহজেই যে কোনো ওয়েবসাইট ব্লক করে দিতে পারে। সেজন্য আগের মত আর চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।”

গত বছরের ১৮ জুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের লিংক আকস্মিকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। কয়েক ঘণ্টা পর তা খুলে দেওয়া হলেও বিটিআরসির প্রধান সে সময় কোনো কারণ দেখাতে পারেননি।

জহুরুল হক সে সময় বলেছিলেন, ‘সরকারের উপর মহলের নির্দেশে’ তারা ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু তাতে বিস্ময় প্রকাশ করে তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন।

গত বছর ডিসেম্বরে নির্বাচনের মাত্র ২০ দিন আগে দেশের বিভিন্ন নিউজ পোর্টালসহ অর্ধশতাধিক ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছিল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। ওয়েবসাইটগুলো খুলে দেওয়া হয় এক দিন পর। তখনও বিটিআরসি  বলেছিল, ওয়েবসাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত তাদের নয়।