‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত’ শিরোনামে অর্থমন্ত্রীর ওই সাক্ষাৎকার ছিল শুক্রবার প্রকাশিত প্রথম আলোর প্রধান প্রতিবেদন।
সেখানে গভর্নর আতিউর রহমান ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মুহিত। বলেছেন, বাজেট ব্যবস্থাপনায় গত সাত বছরে তিনি যা করেছেন, সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে তার চেয়ে ‘বিশেষজ্ঞ দ্বিতীয় ব্যক্তি’ পৃথিবীতে নেই।
শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেন মুহিত, যার একটি অনুলিপি তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পাঠিয়েছেন।
সেখানে প্রথম আলো সম্পাদকের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “সোহরাব হোসেন ও ফখরুল ইসলাম হারুন গতকাল ১৭ মার্চ আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ বসে একটি সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে সাক্ষাৎকারের বাইরেও নানা বিষয় আলোচিত হয় এবং অনেক বিষয়ে আমি সাবধান করে দেই যে তা প্রকাশিতব্য নয়।
“সচরাচর আমার পূর্ব নির্ধারিত কোনো সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হলে তার খসড়াটি সাক্ষাৎকারীরা আমাকে দেখে দিতে প্রদান করেন এবং আমার সম্পাদিত সাক্ষাৎকারই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।”
তিনি লিখেছেন, “এই সাক্ষাৎকারে বিশেষ করে প্রতিভাত হলো যে, বয়সের চাপে আমি এখন সদা সতর্ক থাকতে পারি না।”
সাক্ষাৎকারটি যে ‘চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়া’ প্রকাশিত হয়েছে এবং এর বক্তব্য যে মন্ত্রীর কাছে ‘গ্রহণযোগ্য নয়’, তা শনিবার ‘প্রথম পৃষ্ঠায় বড় হরফে’ জানিয়ে দিতে প্রথম আলো সম্পাদককে ‘অনুরোধ’ করেছেন মুহিত।
বিবৃতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাক্ষাৎকারটি পড়ার পর মর্মাহত ও দুঃখিত হয়েছি। দেশের প্রথম সারির দৈনিকে এ ধরনের সাক্ষাৎকার প্রকাশ আমাকে ব্যথিত করেছে।”