নিষ্ক্রিয়তায় কমে মাংসপেশির শক্তি

মাত্র দুই সপ্তাহ হাঁটাহাটি না করলেই তরুণদের পায়ের মাংসপেশি এক তৃতীয়াংশ শক্তি হারায়। পেশির শক্তি গড় হিসেবে দাঁড়ায় ওই ব্যক্তির চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ বছর বেশি বয়সের ব্যক্তির সমান, এমনটাই জানা গেছে নতুন এক গবেষণায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2015, 12:26 PM
Updated : 11 July 2015, 01:17 PM

ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের অ্যান্ড্রেয়াস ভিগেলসো বলেন, “একজন তরুণ, যে দুই সপ্তাহ ধরে হাঁটাচলা করে না, তার পায়ের মাংসপেশির শক্তি কমে গিয়ে ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স্কদের সমান হয়ে যায়।”

ওয়েট ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে এই হারানো শক্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে জানা গেছে এই গবেষণা থেকে।

গবেষণার জন্য ‘লেগ প্যাড’য়ের সাহায্যে তরুণ ও বয়স্কদের পা ‘নিশ্চল’ করে পায়ের মাংসপেশির উপর এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।

ভিগেলসো বলেন, “আমাদের গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, তরুণ এবং বৃদ্ধ উভয়ের মাংসপেশির শক্তির উপর নিষ্ক্রিয়তার প্রভাব একই। দুই সপ্তাহের নিষ্ক্রিয়তার কারণে তরুণদের শক্তি কমে যায় এক তৃতীয়াংশ। আর বৃদ্ধরা হারান এক চতুর্থাংশ।”

গবেষকরা দেখেন, তরুণদের মাংসপেশি শুকিয়েছে ৪৮৫ গ্রাম। অপরদিকে বৃদ্ধদের মাংসপেশি শুকিয়েছে ২৫০ গ্রাম।

ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের মার্টিন গ্রাম বলেন, “উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নিষ্ক্রিয়তার কারণে কতটা দ্রুত শক্তি হারায় মাংসপেশিগুলো। মাংসপেশির হারানো শক্তি ফিরে পেতে যতটুকু সময় নিষ্ক্রিয় ছিল তার চেয়ে তিনগুণ সময় লাগতে পারে।”

দুই সপ্তাহের নিষ্ক্রিয়তার পর অংশগ্রহণকারীদের ছয় সপ্তাহ ধরে সপ্তাহে তিন,চারবার বাইসাইকেল ট্রেইনিং দেওয়া হয়।

অ্যান্ড্রেয়াস ভিগেলসো বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, মাংসপেশির হারানো শক্তি ফিরে পেতে শুধু বাইসাইকেল ট্রেনিং তাদের জন্য যথেষ্ট ছিলনা।”

তিনি আরও বলেন, “সাইকেল চালানোর মাধ্যমে মাংসপেশির হারানো গঠন ফিরে পাওয়া সম্ভব। তবে হারানো শক্তি ফিরে পেতে সাইকেল চালানোর পাশাপাশি ওয়েট ট্রেনিংও করতে হবে।”

জার্নাল অফ রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন’য়ে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

ছবি: রয়টার্স।