আত্মকেন্দ্রিক মানুষ বেশি ‘স্ট্যাটাস’ দেয়

আপনি কি ফেইসবুকে ঘনঘন ‘স্ট্যাটাস আপডেইট’ করেন! তবে হয়ত আপনি আত্মকেন্দ্রিক।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 01:12 PM
Updated : 26 May 2015, 10:40 AM

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে ফেইসবুকে যে রোমান্টিক সঙ্গী নিয়ে বেশি ‘স্ট্যাটাস’ দেয় তার আত্মসম্মান বোধ কম।

গবেষণায় আরও জানানো হয়, যারা খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং ইচ্ছাপূরণ সংক্রান্তবিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন তারা সাধারণত আত্মকেন্দ্রিক হয়।

অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে ফেইসবুকের ‘স্ট্যাটাস আপডেইট’ থেকে ব্যক্তির চরিত্র সম্পর্কে ধারণা করা যায়।

ব্রিটেনের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক টারা মার্শাল বলেন, “তাছাড়া কেনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ফেইসবুকে মানুষ লিখছে সেটাও বিবেচনার বিষয়। কারণ এরজন্য ‘লাইক’ এবং ‘কমেন্ট’ পাওয়া হচ্ছে ব্যতিক্রমী পুরস্কার।”

যারা বেশি ‘লাইক’ এবং ‘কমেন্ট’ পায়, মনে করা হয় তারা সামাজিক ভাবে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। অন্যদিকে যারা পায় না তাদের একঘরে বোধ হয়।

গবেষণার জন্য পর্যবেক্ষকরা ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট এবং যে বিষয়ে স্ট্যাটাস লেখা হচ্ছে সেটার উদ্দেশ্য পরীক্ষা করে দেখেন।

একটি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে অনলাইন জরিপের তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য— বহির্মুখি, মনোব্যধি, অকপটতা, অমায়িক এবং সুবুদ্ধি বিচার করার পাশাপাশি আত্মকেন্দ্রিক ও আত্মসম্মানবোধ বিবেচনায় আনা হয়।

গবেষকরা দেখতে পান, যাদের আত্মসম্মানবোধ কম তারা রোমান্টিক সঙ্গী নিয়ে ঘনঘন ‘স্ট্যাটাস আপডেট’ করেন।

আর আত্মকেন্দ্রিক মানুষরা তাদের প্রাপ্তি নিয়ে ঘনঘন ‘স্ট্যাটাস আপডেট’ করেন। যা তারা ফেইসবুকের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের উদ্দেশ্যে করে থাকেন।

গবেষণার লেখকরা বলেন, “এই আপডেইটে বেশি ‘লাইক’ এবং ‘কমেন্টস’ পাওয়ার কারণে তারা যে মনোযোগ চেয়েছিল সেটা পায় ফলে হয়ত আত্মকেন্দ্রিক হওয়া বাড়ায়।”

আর খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের রুটিন নিয়ে তারা বেশি ‘স্ট্যাটাস আপডেইট’ করতে থাকে।

যে সন্তান নিয়ে বেশি ‘আপডেইট’ দেয়, তার সঙ্গে সুবুদ্ধি সম্পর্কিত।

মার্শাল বলেন, “ফলাফলে দেখা যায় আত্মকেন্দ্রিক মানুষ বেশি ‘লাইক’ এবং ‘কমেন্ট’ পায় বলে তার আস্ফালন কম হয়। এটার কারণ হতে পারে তার পরিচিত ফেইসবুকের বন্ধুরা বিনয় দেখাতে গিয়ে সমর্থন করেন, অন্যদিকে গোপনে হয়ত এই ধরনের আত্মম্ভরি অপছন্দই করেন।”

বিনোদনের চাইতে বিরক্ত হওয়ার মতো বিষয় এড়াতে বন্ধুদের এই স্ট্যাটাস দেখার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে বলে গবেষণার লেখকরা মন্তব্য করেন।