আজ গ্যাস নেই তো কাল গ্যাসের চুলা ঠিক নেই অথবা কোথাও পাইপলাইনের মেরামত হচ্ছে তাই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই গৃহিনী রান্না ঘরে গিয়ে যদি দেখেন পর্যাপ্ত গ্যাসের অভাবে রান্না করা যাচ্ছে না, তখন আর চিন্তার অন্ত থাকে না। প্রযুক্তির এই যুগে এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তার করারও কোনো কারণ নেই। গ্যাস নেই তো কি হয়েছে, তাই বলে তো রান্না বন্ধ হয়ে থাকবে না। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে ঘরে আনতে পারেন ইলেকট্রিক চুলা।
বাজারে যত ইলেকট্রিক চুলা
ব্র্র্যান্ড ও ননব্র্র্যান্ডের বিভিন্ন রকম চুলা পাওয়া যায়। এরমধ্যে ধরন রয়েছে দুটি। সাধারণ ইলেকট্রিক চুলাগুলো বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম হতে শুরু করে। আর ইনডাকটিভ চুলাগুলো পাত্রের স্পর্শ পেলে গরম হতে শুরু করে।
ইলেকট্রিক চুলায় রান্নার পাত্র
সাধারণ ইলেকট্রিক চুলায় যে কোনো ধরনের পাতিল ব্যবহার করা যায়। তবে ইনডাকটিভ ইলেকট্রিক চুলায় স্টেইনলেস স্টিলের বাসন-কোসন ব্যবহার করতে হবে। আর পাত্রের নিচের অংশ হতে হবে সমান ও সমতল।
ইলেকট্রিক চুলাগুলো সাধারণত ৮শ’ থেকে ২ হাজার ওয়াটের হয়ে থাকে। গুলিস্তানের এটিএম ইলেকট্রনিক্স’য়ের সুজন মাহমুদ জানান, ইলেকট্রিক চুলা থেকে কোনো ধরনের কালো ধোয়া বের হয় না, ফলে চুলাগুলো পরিবেশ বান্ধব।
দরদাম
চুলা মেরামত করার বিভিন্ন রকম যন্ত্রও পেয়ে যাবেন এসব বিক্রয়কেন্দ্রে। নষ্ট হয়ে যাওয়া বা যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত চুলাগুলোও সার্ভিসিং করা হয় এসব জায়গায়।
ব্র্যান্ড বা নন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক চুলা মান ভেদে বর্তমান বাজারে আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।