পেটের মেদ কমিয়ে ভালো থাকুন

শীত চলে গেছে। ভারী কাপড় পরে মোটা পেট ঢেকে রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না! তাই এই মৌসুমে সুন্দর দেখাতে চাই সমতল পেট।

সুমিআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2015, 10:20 AM
Updated : 17 March 2015, 09:52 AM

তাছাড়া বাড়তি মেদ সুস্থাস্থ্যের অন্তরায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন— কমাতে পারে পেটের মেদ।

সেলিব্রেটি ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদ নীরাজ মেহতা বলেন, “এক্ষেত্রে কম দূরত্বে দ্রুত দৌড়ানো, স্কোয়াটস বা হাত সামনে রেখে উঠবস করা এবং পুশ-আপ বা বুকডনের মতো ব্যয়াম বেশ উপকারি।”     

তাছাড়া ভার উত্তোলন ধরনের শক্তি খরচ করার মতো শরীরচর্চা এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

“পেটের আকারে দ্রুত পরিবর্তন আনতে চাইলে নজর দিতে হবে পা ও পেটের ব্যায়ামে। এক্ষেত্রে স্কোয়াট এবং ডেডলিফট (ভার উত্তোলন) বেশ কার্যকর ব্যায়াম” বলেন মেহতা।

ব্যায়াম করার পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতে ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

এ সম্পর্কে মেহতা বলেন, “ডায়েট করার বিষয় আসলেই না খেয়ে থাকা বা উপোস থাকার কথা মাথায় আসে। যা করা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে জাংক বা ফাস্ট ফুডজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব খাবারে বেশি পরিমাণে লবণ ও ক্যালোরি থাকে। পাশাপাশি কোমলপানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।”

বরং খাদ্য তালিকায় মৌসুমি শাকসবজি এবং ফলযুক্ত করা যেতে পারে।

“বেশি আঁশ সমৃদ্ধ খাবার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। কারণ আঁশযুক্ত খাবার পেট বেশিক্ষণ ভরা রাখে। ফলে কম ক্যালরি গ্রহণ করা হয়” বলেন মেহতা। 

পাশাপাশি দ্রুত পেটের মেদ কমাতে খাদ্য তালিকায় ‘সুপারফুড’ যোগ করারও পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।

কম দূরত্বে দ্রুত দৌড়ানো পেটের মেদ কমাতে কার্যকর। ছবি: রয়টার্স।

তিনি বলেন, “সুপারফুড’ পুষ্টিগুণে ভরপুর আর স্বাস্থ্যকর। দ্রুত পেটের মেদ কমাতেও এসব খাবার সাহয্য করে। যেমন— ওটস-জাতীয় ‘হোল গ্রেইন’ খাবার যেগুলোতে প্রচুর আঁশ আছে। স্যামন মাছও প্রোটিনের ভালো উৎস, যাতে তেমন কোনো চর্বি নেই।”

“তাছাড়া ব্লুবেরির মতো ফল বয়সজনিত প্রভাব কম ফেলে। এছাড়া ব্রকলি, জাম্বুরা ও কমলার মতো ‘সুপারফুড’ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে উপকারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বৈচিত্র্যও আনবে।” বলেন মেহতা।

আর শরীরের আর্দ্রতা ধরে দরকার।

এ সম্পর্কে মেহতা বলেন, “পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে বিপাকীয় মাত্রা ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই বেশি বেশি পানি খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বার বার টয়লেটে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যেই শরীর পানির স্তরের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেবে।”