‘সান ট্যান’ বা রোদেপোড়ার কারণে ব্রণ, বলিরেখা, কালচে দাগ, অসময়ে বয়সের ছাপ পড়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।
এমনকি কখনও কখনও এর কারণে ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে রোদেপোড়া ত্বকের যত্নে ঘরোয়া কিছু ফেইস মাস্ক তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হল।
শসা ও লেবুর ফেইস প্যাক
১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন রোদ থেকে ঘরে ফিরে এই প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
বেসন ও হলুদগুঁড়ার মাস্ক
মাস্ক শুকিয়ে গেলে পানি ছিটিয়ে নিয়ে হালকা হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। দু’দিন পর পর মাস্কটি ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
পেঁপে ও মধুর মাস্ক
এই মাস্কের জন্য আধা পাকাপেঁপের টুকরা নিয়ে ভালোভাবে ভর্তা করে নিতে হবে। এর সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
টমেটো, দই ও লেবুর রসের মাস্ক
প্যাকটি তৈরিতে দুই টেবিল-চামচ টমেটোর শাঁসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল-চামচ দই মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে আসলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
টমেটোর রসের কারণে শুরুতে ত্বকে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে কিছুক্ষণ পরেই তা ঠিক হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা ও মুসুরের ডালের প্যাক
এক টেবিল-চামচ মুসুরের ডাল ২০ মিনিটের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভেজাডাল পেস্ট করুন। তবে পেস্ট যেন বেশি মিহি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডালবাটার সঙ্গে এক টেবিল-চামচ অ্যালোভেরা জেল ও টমেটোর শাঁস মিশিয়ে মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
কমলার রস ও দইয়ের মাস্ক
এক টেবিল-চামচ দইয়ের সঙ্গে সমপরিমাণ কমলার রস মিশিয়ে ত্বকে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা ধুয়ে ফেলতে হবে।
ওটমিল এবং বাটার মিল্ক বা ঘোলের মিশ্রণ
দুই টেবিল-চামচ ওটমিলের সঙ্গে তিন টেবিল-চামচ ঘোল বা বাটার মিল্ক মিশিয়ে মুখ ও শরীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হালকাভাবে মালিশ করুন। তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অন্যান্য ছবি: রয়টার্স।