উঠতি বয়সিদের সঙ্গে পর্নোগ্রাফি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করলে, প্রাপ্তবয়স্ক হলে অশ্লীল ছবির প্রতি তাদের আসক্তি এড়ানো সম্ভব, এমনটাই জানা গেছে সম্প্রতি এক গবেষণায়।
Published : 25 Feb 2015, 05:32 PM
তাছাড়া উঠতি বয়সি সন্তানের সঙ্গে তার বাবা-মা যদি পর্নোছবির বিষয়ে আলোচনা করেন তাহলে ওই সন্তান মানসিকভাবেও দৃঢ় হয়ে থাকেন। তাই শিশুদের সামনে অশ্লীল ছবির নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা উচিত।
গবেষণার একজন লেখক বলেন, “পর্নোগ্রাফির নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরলে উঠতি বয়সেই তাদের মনে স্থিরতা তৈরি হয়। তা না হলে যখন তারা কোনো সম্পর্কে জড়াবে তখন আত্মসম্মান নিয়ে হয়ত থাকতে পারবে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের লাবাক’য়ের টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি’র একদল গবেষক জরিপ চালিয়ে দেখতে পায়, ব্যক্তির উপর কীভাবে পর্নোগ্রাফির নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এই বিষয়ে সমাজের নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করার বিষয়গুলো যেসব অভিভাবকরা তাদের সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা কলেজেও এসব বিষয়ে দূরে থাকেন।”
এই গবেষণার লেখক ও সহকারী অধ্যাপক এরিক রাজমুসেন বলেন, “এই নেতিবাচক আচরণের মানে হচ্ছে অশ্লীল ছবির প্রতি কম আসক্ত হওয়া।”
কৈশোরে থাকতে অভিভাবকরা পর্নোগ্রাফি বিষয়ে কোনো আলোচনা করেছিল কিনা তা জানান জন্য গবেষকদল তিন’শ কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন।
দেখা গেছে, ছেলে এবং মেয়ে যারাই অশ্লীল ছবি দেখেতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তারা তত বেশি এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে অভিভাবকের কাছ থেকে কথা শুনেছেন।
আর এরাই যখন তাদের রোমান্টিক সঙ্গীর অশ্লীল ছবি দেখার ব্যাপারে জানতে পারে তখন তারা এই ব্যাপারে আরও নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে এবং আত্মসম্মানের বিষয়ে আরও সচেতন হয়।
রাজমুসেনের ভাষায়, “বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সঙ্গীর পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যেসের কারণে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মনে আঘাতও লেগেছে, বিশেষ করে মেয়েরা। এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে আরও গবেষণার দরকার। তবে এই গবেষণা দেখিয়েছে পর্নোগ্রাফি বিষয়ে সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকের কথা বলা উচিত।”
জার্নাল অব চিল্ড্রেন অ্যান্ড মিডিয়াতে প্রকাশিত এই গবেষণার শেষে উল্লেখ করা হয়, “এটাই প্রথম গবেষণা যেখানে প্রথমবারের মতো দেখা গেছে পর্নোগ্রাফি বিষয়ে বাবা-মায়ের মধ্যস্থতার দরকার রয়েছে।”