প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যত বেশি আঁশজাতীয় খাবার রাখা যাবে স্বাস্থ্যের জন্য তত বেশি উপকার বয়ে আনবে।
Published : 19 Feb 2015, 06:22 PM
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক গবেষণার ভিত্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
যারা নিয়মিত আঁশজাতীয় খাবার পরিমাণে গ্রহণ করেন তারা ওজন, রক্তচাপ এবং রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হন। আর ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে এবং সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এগুলো মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে।
“যারা নানান রকম খাবার খেয়েও ওজন কমাতে পারছেন না, তাদের জন্য একটাই পরামর্শ হল, খাদ্যতালিকায় আঁশের পরিমাণ বাড়ান।”, বলেন গবেষণাটির লেখক ও ওরসেস্টারের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল স্কুলের সহকারী অধ্যাপক ড. ইয়ুনশেং মা।
দ্য ইউএস ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের অর্থায়নে করা এই গবেষণায় টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এমন ২৪০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে যুক্ত করা হয়। গবেষকরা একবছরের জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে বলেন।
এদের মধ্যে অর্ধেককে প্রতিদিন অন্তত ৩০ গ্রামের মতো ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার খেতে বলা হয়। আর এই আঁশ কোনো কৃত্রিম খাবার থেকে না নিয়ে বরং ফল, সবজি এবং ‘হোল গ্রেইন’ ইত্যাদি বেশি করে খেতে বলা হয়। এছাড়া চাইলে তারা অন্য খাবারও খেতে পারবে।
“বেশি আঁশযুক্ত খাবার বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর থাকে। ফলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়” বলেন ড. ইয়ুনশেং।
বাকি অর্ধেককে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে দেওয়া খাদ্যতালিকা অনুসুরণ করতে বলা হয়। যাতে ১৩ ধরনের খাবার রয়েছে। যেমন লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমানোর জন্য ফল ও শাকসবজি খাওয়া। চর্বি ছাড়া প্রোটিন গ্রহণ, অ্যালকোহল পান করা কমানো এবং প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা।
গবেষকদের মতে, বেশি আঁশজাতীয় খাবারের খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা সহজ এবং অনেক বেশি কার্যকার।