যে কারণে নিয়মিত খাওয়া উচিত

বাড়তি ওজন কমাতে গিয়ে না খেয়ে থাকলে শরীরে নানান রকম প্রভাব পড়ে।

নাইব মুহাম্মদ রিদোয়ানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2015, 11:38 AM
Updated : 18 Feb 2015, 11:38 AM

তাই ওজন কমানোর স্বার্থে না খেয়ে থাকাটা মাঝে মাঝে দ্রুত সমাধান দিলেও কখনও স্থায়ী সমাধান নয়।

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে উপোস থাকার ফলে মানবদেহে যে নানান রকম প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে জানানো হয়।

ব্রেইন ফগ বা অচেতন মস্তিস্ক

যদি কখনও উপলব্ধি করেন যে কাজে মনোযোগ আসছে না, নির্দিষ্ট কোনো তথ্য বুঝতে কষ্ট হচ্ছে বা ভুলে যাচ্ছেন কিংবা নিজের চিন্তাভাবনা গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারছেন না তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি ‘ব্রেইন ফগ’য়ে আক্রান্ত হয়েছেন। আপনার মস্তিষ্ক মাঝে মাঝে অচেতন হয়ে পড়ছে।

রক্তে শর্করার পরিমাণ কম হলে এই ধরনের সমস্যা হয় এবং কথা বলতে জড়তা কাজ করে। পুষ্টিকর জলখাবার খেয়ে এই  পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অবসাদ

সন্দেহাতীতভাবে বলা যায় যে অতিরিক্ত অনাহার মানসিক অবসাদ ডেকে আনে। খাদ্য হল শরীরের সকল শক্তির উৎস। একটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে মানসিক অবসাদের পেছনে সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া এবং অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। অবসাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনার দিন শুরু করুন স্বাস্থ্যকর যবের তৈরি সব খাদ্য দিয়ে।

হরমোনজনিত পরিবর্তন

নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এক-দুবেলা না খেয়ে থাকলেও আমাদের দেহ সাধারনত স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে পারে। কিন্তু নিয়মিত অনাহারের ফলে নিম্ন রক্তচাপ দেখা দেয়। ফলে দেহে হরমোনের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। নিম্ন রক্তচাপের কারণে শরীরে ক্লান্তিভাব, মাথা ঘোরা এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। স্বস্তিকর অনুভূতি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ভারী খাবার না খাওয়া গেলেও অন্তত স্বাস্থ্যকর নাস্তা খেতে হবে।

বহুমুখী আচরণ ও বদমেজাজ

ডায়াবেটিস টেকনোলজি ও থেরাপিউটিক্স’য়ে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে রক্তে শর্করার পরিবর্তনের সঙ্গে ব্যক্তির মধ্যে বহুমুখী আচরণ লক্ষ করা যায়। এসব ক্ষেত্রে ব্যক্তি একেক সময় একেক রকম মেজাজে থাকেন। এর মধ্যে বিরক্তি বা বদমেজাজও দেখায় অনেকে। সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের মাধ্যমে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট দেহকে সুস্থ রাখে এবং দেহের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। 

পেশীক্ষয়

অতিরিক্ত অনাহারের আরেকটি ক্ষতিকারক দিক হল পেশীক্ষয়। এক-দুবেলা না খেয়ে থাকা হয়ত শরীরে বড় ধরনের ক্ষতি করে না। তবে নিয়মিত উপোস করলে দেহের মাংসপেশী ক্ষয় হতে থাকে। ফলে শরীরে স্থায়ীদুর্বলতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে সুস্থ থাকার জন্য মুরগির মাংস কিংবা মাছেরমতো চর্বিহীন আমিষজাতীয় খাবার খেতে হবে।

অতিভোজন

সারাদিনে কতটা খাচ্ছেন তার উপর বিভিন্ন বিষয় নির্ভর করে। না খেয়ে থাকার ফলে উল্টাপাল্টা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগায় যা শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। নিয়মিত খাবার খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা থাকে না।

তাই নিয়মিত সঠিক পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার গ্রহণ করার অভ্যেস গড়ে তুলুন।