ইষৎ নিদ্রায় কাটবে ক্লান্তি

অবসন্ন দেহে চাঙ্গাভাব আনতে নিতে পারেন ‘ন্যাপ’।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2015, 11:30 AM
Updated : 15 Feb 2015, 12:08 PM

প্রতিদিন কম ঘুমালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় বিশ্রাম বা ঘুমিয়ে নেওয়ার অভ্যাস বেশ কাজে দেয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কাজের মাঝে অল্প সময় একটু ঘুমিয়ে নিলে কাজ করতে ক্লান্তি কম লাগে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাজের ফাঁকে ‘শর্ট ন্যাপ’ বা আধা ঘণ্টার ঘুম, রাগ জাগার ক্লান্তি কাটাতে পারে।

এই গবেষণার গবেষক ফ্রান্সের দ্য প্যারিস দেসকারতেস ইউনিভার্সিটির ব্রাইস ফারাউত বলেন, “আমাদের গবেষণার তথ্য থেকে দেখা গেছে, কম ঘুমের কারণে হরমোনের উপর ফেলা প্রভাব কাটাতে পারে ত্রিশ মিনিটের ন্যাপ।”

ফারাউত বলেন, “এটাই প্রথম গবেষণা যেখানে দেখা গেছে— ‘ন্যাপিং’ আমাদের স্নায়ুর কার্যক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।”

ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’য়ের তথ্যানুসারে, অপর্যাপ্ত ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে উত্পাদনশীলতা কমার পাশাপাশি সড়ক ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্ঘটনা ঘটায়।

হরমোন এবং ঘুমের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য গবেষকরা ২৫ থেকে ৩২ বছর বয়সি এগারোজন মানুষের উপর এই গবেষণা চালান।

এক রাত কম ঘুমানোর পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাদের নোরেপাইনফ্রাইন হরমোন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হরমোন শরীরের বিভিন্ন চাপ তৈরিতে সাড়া দেয়।

নোরেপাইনফ্রাইন হরমোন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, রক্তের চাপ ও শর্করা বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে সামান্য ঘুমানোর পর দিনে ‘ন্যাপ’ নেওয়ার ফলে এই হরমোনের কোনো তারতম্য ঘটে না।

কম ঘুম এক ধরনের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান সমৃদ্ধ প্রোটিন ‘ইন্টারলিউকিন-সিক্স’য়ের উপর প্রভাব ফেলে।

ওই গবেষণায় দেখা গেছে আগের রাতে কম ঘুমানোর জন্য এই প্রোটিনের পরিমাণ কমে গেছে। পরদিন ‘ন্যাপ’ নেওয়ার ফলে আবার এই প্রোটিনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাই বলা যায় ‘ন্যাপ’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফিরে পেতে সাহায্য করে।

তাই বিশেষজ্ঞরা দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজের ফাঁকে সামান্য ঘুম বা বিশ্রামের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

জার্নাল অফ ক্লিনিকাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।