কাকে ভালোবাসবেন?

যে আপনাকে ভালোবাসে তাকেই ভালোবাসুন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2015, 04:28 AM
Updated : 14 Feb 2017, 10:41 AM

মুখে ভালোবাসি বলে, ঘোরাঘুরি-শপিং-খাওয়াদাওয়া-ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে আলাপ করলেই কি প্রেমের সম্পর্ক ‘পারফেক্ট’ হয়ে গেল!

প্রেমের প্রথম দিকে যাকে মনে হয় ‘এই আসল জন’ কয়েক মাস গেলেই মনে হতে থাকে না ‘এ তো সে নয়’। তাহলে ভালোবাসবেনই বা কাকে?

আসলে ‘পারফেক্ট’ বলে কোনো বিষয় নেই। ভালোমন্দ মিলিয়েই মানুষ। তারপরও কিছু বিষয় খেয়াল করে সম্পর্ক শুরু করলে সেটা টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে দেখুন সে আপনাকে আসলেই ভালোবাসে কিনা। আর তা বোঝার জন্য রয়েছে কিছু বিষয়।

সে আপনাকে মেলে ধরবে

যদি সে আপনাকে সবার সামনে ছোট করে বা আপনাকে বোকা বানিয়ে মজা পায় তবে সে আপনার জন্য নয়।

মাঝে মধ্যে ‘মজা করে পঁচানো’ অন্য বিষয়। তবে সে যদি আপনার মধ্যে যে কোনো বিষয়ে ‘আত্মবিশ্বাস’ তৈরি করে বা আশপাশে থেকে আপনার মধ্যে উন্নত ভাব তৈরি করতে পারে তাহলে তাকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে না

যে সম্পর্কের শুরুতেই আপনার কিছু বিষয় বদলাতে বলবে সে আসলে কখনও আপনাকে ভালোবাসবে না। আপনার বন্ধু কে হবে, কী পোশাক পরবেন, কোনো শখের বিষয় ছাড়তে বললে বা যে কাজ করতে ভালোলাগে সেটা তার ভালোলাগে না বলে ছাড়তে বললে বুঝতে সে আপনার জন্য নয়।

তাকেই ভালোবাসুন যে আপনাকে পরিবর্তন করে নয় বরং আপনি যা সেভাবেই আপনাকে চায়।

উৎসাহদাতা

আপনার যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেবে সে। চাকরির ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে যেকোনো কাজ যেন ভালো হয় সেটার জন্য সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। আর যখন কাজটা হয়ে যাবে সেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।

হতে পারে কোনো বোর্ড গেইম খেলার সময় সেই আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী।

তবে সে সবসময় চাইবে আপনি জয়লাভ করুন।

তারিফ করা

হতে পারে সে ভালো নৃত্য শিল্পী, ভালো গান করে, শিল্পসাহিত্য সম্পর্কে অনেক জ্ঞান বা কোনো গুন আপনাকে মুগ্ধ করে— যেটাই হোক না কেনো তার যে কোনো বিষয় আপনি তারিফ করবেন, তার জানা বা করা বিষয়গুলো নিয়ে গর্ব করবেন এবং তার বিজয়ে আপনি খুশি হবেন। এরকম হলে সেই আপনার ভালোবাসার মানুষ।

ছাড় দেওয়া

কিছু মানুষ আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। তবে যে আপনার মধ্যে কোনো প্রকার খারাপ বোধ তৈরি না করে আপনার আবেগ বুঝে ‘স্পেস’ দেবে বুঝতে হবে সে আপনাকে আসলেই ছাড় দিচ্ছে।

একইভাবে তাকেও আপনার ছাড় দিতে হবে। ফলে যখন আবার দুজন একসঙ্গে থাকবেন তখন আরও বেশি দুজন অন্তরঙ্গ হতে পারবেন।

আর এরকম মানুষকে ভালোবাসতে দ্বিধা করবেন না।

সরাসারি প্রকাশ

অনেক ভালো সম্পর্কের মধ্যে কিছু বিষয় খারাপ লাগতেই পারে। আর সেসব বিষয় নিয়ে যদি সঙ্গীর সঙ্গে আলাপ করতে কোনো দ্বিধা বোধ না করেন তবে সেই আপনার জন্য ভালোবাসার মানুষ।

একইভাবে সেও আপনার কোনো বিষয় নিয়ে অভিযোগ করতে পারে, আর বিস্ময়কর হলেও সত্যি সেটা শুনে আপনার খারাপ লাগবে না বরং নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করবেন।

হু.. দেরি করার দরকার নেই। এই মানুষকেই ভালোবাসুন।

আপনাকে হাসাবে

হাসতে কে না চায়। তবে যে মানুষটা আপনার মুখে ‘লোল’ ফোটাবে সে অবশ্যই একজন ভালোবাসার মানুষ হতে পারে।

মানুষের জীবনে অনেক ঝামেলা আসে। আর সেরকম সময়ে যদি সে আপনার মুখে হাসি ফুটিয়ে পৃথিবীটাকে উজ্জ্বল করে দেয় তবে সেই মানুষকে ভালোবাসাই যায়।

সে আপনার জন্য করে

শারীরিক সম্পর্কই সব নয়। তারপরও এটা একটা বিষয়। যদি দেখেন বিশেষ সময়ে আপনি অন্য কাউকে নয়, তার কাছ থেকেই সমস্ত আকর্ষণ পেতে চাচ্ছেন আর সেও সেটা অনুভব করছে তবে তাকে দূরে রাখার কোনো মানে হয় না।

আপস করা

সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকবেই। আর সেগুলো আলোচনা করে ছাড় দিয়ে ঠিক করাও যায়। ভালোবাসার সম্পর্কে দুজন দুজনের ক্ষেত্রে আপস করতে হবে।

আপসবিহীন সম্পর্ক সামনের দিকে যেতে পারে না।

চোখে ভাসবে তারই মুখ

অফিসের ‘কিউট’ মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোলাগে না, বাসে উঠলে অন্য কোনো মেয়ের দিকে নজর যাচ্ছে না। বরং সবসময় একজন বিশেষ মেয়েকে নিয়ে ভাবতে ভালোলাগছে।

হুম! ছেলে হয়ে যদি এই সমস্যায় পড়েন তাহলে বুঝতে হবে, আপনি আপনার ‘স্পেশাল সামওয়ান’কে খুঁজে পেয়েছেন।

এখন উপরের বাকি বিষয়গুলো মিলে গেলেই ‘কেল্লা ফতে’।

ছবি: রয়টার্স।