তবে চিকিৎসায় মিলতে পারে প্রতিকার।
Published : 13 Feb 2015, 03:56 PM
সম্প্রতি এক ডাচ গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এই গবেষণার জন্য ২ হাজার ৩শ’ মানুষের টেলোমেরেস’য়ের উপর নজর রাখা হয়।
টেলোমেরেস হল ক্রোমোজমস’য়ের শেষের দিকের ডিএনএ। বয়সের সঙ্গে টেলোমেরেস’য়ের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে। তাই একে কোষ বৃদ্ধ হওয়ার চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়।
যারা দুশ্চিন্তা করেন না বা আগে দুশ্চিন্তায় ভুগতেন তাদের তুলনায় যারা বর্তমানে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের টেলোমেরেসের দৈর্ঘ্য কম।
এ বিষয়ে গবেষক জোসিন ভেরহোভেন বলেন, “যারা দুশ্চিন্তায় ভোগেন তাদের বয়স বৃদ্ধির হার তিন থেকে পাঁচ বছর দ্রুত হতে পারে।”
ভেরহোভেন, অ্যামস্টারডামের ভিইউ ইউনিভার্সিটি মেডিক্যল সেন্টারের পিএইচডি প্রার্থী।
গবেষকরা এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রাসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ের উপর নজর রাখেন।
যাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা করার বাতিক রয়েছে তাদের মধ্যে আরও কিছু সমস্যা লক্ষ করা যায়। যেমন: জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার, সোশাল ফোবিয়া, অ্যাগ্রোফোবিয়া এবং প্যানিক ডিসঅর্ডার।
গবেষণায় দেখা গেছে যারা আগে দুশ্চিন্তায় ভুগতেন এবং যারা এখন দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের টেলোমেরেস’য়ের দৈর্ঘ্যের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে যারা ১০ বছর বা তারও বেশি সময় দুশ্চিন্তা ছাড়া পার করেছেন তাদের মধ্যে এই তারতম্য কিছুটা কমে এসেছে।
শরীরের মানসিক চাপের হরমোনের সমস্যার কারণে টেলোমেরেস’য়ের দৈর্ঘ্য ছোট হতে পারে। আর এটা দুশ্চিন্তায় ভোগা মানুষদের মধ্যে দেখা যায়।
মানসিক চাপের ক্ষেত্রে শরীরের প্রতিক্রিয়ার উন্নতি ঘটাতে পারে যদি ‘অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার’ থেকে বেড়িয়ে আসা যায়।
তবে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
ভেরহোভেন জানান, ব্যায়ামের মতো ভালো অভ্যেস গড়লে সুস্বাস্থ্যের অধিকরীদের টেলোমেরেস’য়ের দৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব ফেলবে।