স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিভিন্ন রোগ ও সমস্যার সমাধানে ভিনিগার ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে জানানো হয়।
পিঠ ব্যথা
একটি বাথটাবে কুসুম গরম পানিতে দুইকাপ ভিনিগার মিশিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য শরীর ভিজিয়ে রাখতে হবে। এই পদ্ধতিতে পিঠের হালকা ব্যথা কমে যাবে এবং গায়ে দাগ থাকলেও উপশম হবে।
মাথাব্যথা
মাথাব্যথা হলে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর হালকা গরম পানি ও ভিনিগার সমপরিমাণে মিশিয়ে তাতে একটি নরম কাপড় ভিজিয়ে, চেপে অতিরিক্ত মিশ্রণ ফেলে মাথার উপর ও দু’পাশে চেপে ধরে রাখতে হবে।
পেশিতে টান
ভিনিগার পা বা শরীরের যে কোনো জায়গায় পেশির টান কমাতে বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে একটি নরম কাপড় ভিনিগারে ভিজিয়ে টান পড়া জায়গায় চেপে ধরলে উপকার পাওয়া যাবে।
কাশি
অনেকেরই ঘুমানোর সময় কাশি হয়। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে ঘুমানো আগে বালিশের উপর অ্যাপল সাইডার ভিনিগার হালকাভাবে ছিটিয়ে নিলে কাশি কম হবে।
সাইনাসের সমস্যা
সাইনাসের কারণে নাকের চারপাশে ও মুখে ব্যথা হয়। ব্যথা কমাতে ভাপ নিলে উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে এক কাপের চারভাগের একভাগ ভিনিগার গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে গভিরভাবে শ্বাস নিয়ে ভাপ নিতে হবে। এতে সাইনাসজনিত ব্যথা কিছুটা কম হবে।
গলা ব্যথা বা খুশখুশ করা
গলা ব্যথা বা খুশখুশ করা থেকে রেহাই পেতে প্রতি আট আউন্স পানির সঙ্গে এক টেবিল-চামচ ভিনিগার মিশিয়ে গার্গল করতে হবে।
পোকার কামড়
পোকা কামড় দিলে ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। জ্বালাপোড়া কমাতে কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর কামড়ের স্থানে পেস্ট লাগিয়ে শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
রোদে পোড়া ত্বকের জন্য
রোদে পোড়া ত্বক শীতল করতে ভিনিগার বেশ কার্যকার। এক্ষেত্রে ত্বকে ভিনিগার ছিটিয়ে হালকাভাবে ঘষতে হবে। অথবা একটি বোতলে ভিনিগার নিয়ে পোড়া জায়গায় স্প্রে করলেও কাজে দেয়।