লাউয়ের ভেতরের অংশ দিয়ে নানান পদের খাবার হয়। এবার লাউয়ের দানা, খোসা আর শাক দিয়েই তৈরি করতে পারেন তিনটি ব্যঞ্জন।
রেসিপি দিয়েছেন ফারাহ তানজিন সুবর্ণা।
লাউদানা দিয়ে নারিকেল ভর্তা
পদ্ধতি: অল্প তেলে লাউদানা সামান্য লবণ দিয়ে ভাজতে হবে। আলাদা প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, সরিষা দিয়ে ভেজে নারিকেল আর লবণ দিয়ে ভাজতে হবে।
নামানোর আগে ধনেপাতা দিয়ে অল্প নেড়ে নামিয়ে শিলপাটা বা মিক্সারে পিষে নিন। একটু যদি নরম হয়, ঘাবড়াবার কিছু নেই। চাইলে অল্প তেলে আবার একটু ভেজে নিতে পারেন।
রং সবুজ রাখার জন্য কাঁচামরিচ ব্যাবহার করা হয়। চাইলে শুকনামরিচ তেলে ভেজে ব্যবহার করতে পারেন।
চিংড়ি দিয়ে লাউশাক ভর্তা
পদ্ধুতি
আঁশ আর ডাটা বাদ দিয়ে লাউশাক বেছে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। পাতিলে বা প্যানে বেশ কিছুটা পানি দিয়ে তাতে অল্প লবণ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে শাকগুলো ছেড়ে দিতে হবে।
মিনিট দুই তিনেক রেখেই গরম পানি থেকে উঠিয়ে ফেলুন। তারপর প্যানে তেল দিয়ে লবণ মাখানো চিংড়ি, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ দিয়ে ভেজে তুলে রেখে, সেই তেলেই বেশি আঁচে শাক আর প্রয়োজন মতো লবণ দিয়ে ভাজা ভাজা করতে হবে যাতে পানি না থাকে।
এবার সব ভাজা উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে শিলপাটা বা মিক্সারে পিষে নিলেই ভর্তা তৈরি।
আলু দিয়ে লাউখোসা ভাজি
পদ্ধুতি: প্যান ভালোমতো গরম করে তেল গরম করুন। পেঁয়াজ দিয়ে সোনালি করে ভেজে লাউয়ের খোসা, হলুদগুঁড়া আর লবণ দিন। নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর আলু আর ফালি করা কাঁচামরিচ দিন। খুব হালকা হাতে নাড়তে হবে যাতে আলু ভেঙে না যায়।
ভাজা হয়ে গেলে নামানোর আগে ধনেপাতার কুচি ছড়িয়ে দিয়ে লবণ চেখে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
প্যান আর তেল ভালোমতো গরম করে না নিলে ভাজি লেগে যাবে, তা সে ননস্টিক প্যান-ই হোক আর অ্যালুমিনিয়াম কড়াই হোক।
লাউয়ের খোসার চেয়ে আলুর পরিমাণ সবসময়-ই একটু বেশি নিতে হবে, নয়ত একটু তেতো লাগতে পারে।