খাবার ভালোমতো হজম না হলে বা বদহজম হলে শরীর খারাপ হওয়াটাই স্বাভাববিক।
খাবার হজম হওয়ার বিষয়টি মুখ থেকে শুরু করে পাকস্থলি এবং অন্ত্রের উপর নির্ভর করার পাশাপাশি খাবারের উপাদান এবং রান্নার উপরেও নির্ভর করে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে হজমের জন্য ভালো এবং খারাপ কয়েকটি খাবারের নাম উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিবেদনে সেগুলোই উল্লেখ করা হল।
হজমে সহায়ক খাদ্য
শস্যজাতীয় খাবার: বাদামি চাল, লাল আটার রুটি, পাস্তা, ওটস এবং সিরিয়াল ইত্যাদি খাবারে আঁশের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে
আদা : এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান বদহজম প্রতিরোধ করতে কাজ করে। পাশাপাশি বমিভাব, গা-গোলানোভাব, সকালের অসুস্থতা এবং ক্ষুদামন্দা কমাতেও আদা বেশ উপকারী।
কলা: এর আঁশ বা ফাইবার পেট ভালো রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত ডায়রিয়া হওয়ার পরে পেট ঠিক করতে কলা বেশ কার্যকারী। তাছাড়া কলাতে থাকা পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান পেটের অসুখের কারণে শরীরের যেকোনো ক্ষতি সারিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
চর্বি ছাড়া মাংস এবং মাছ: যেসব মাছ ও মাংসে চর্বির পরিমাণ কম থাকে সেসব খাবার দ্রুত হজম হয়। এক্ষেত্রে মুরগি ও মাছের
দই: এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিকালের নাস্তা ও ডেজার্ট তৈরিতে দই ব্যবহার করা যায়। এসব ব্যাক্টেরিয়া অন্ত্রের অণুজীবের মধ্যে সমতা এনে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।
বদহজমের খাবারগুলো
অ্যালকোহল, কফি, চা এবং বিভিন্ন পানীয়: এসবে পাকস্থলীর রস নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। যাদের গ্যাস্ট্রোইসোফাজিয়েল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা জিইআরডি সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকারক।
মরিচ: স্বাদ বাড়ানোর জন্য অনেকেই খাবারের সঙ্গে মরিচের গুঁড়া বা ঝাল মিশিয়ে থাকেন। এসব মসলা খাদ্যনালীতে জ্বালাপোড়া
বিভিন্ন ধরনের বেরি (যেমন স্ট্রবেরি): বেরি ফ্রি-রেডিকেলস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানে ভরপুর। তবে এর ভিতরে থাকা ছোট বীজ বা দানা ডাইভারটিকাল্টিস বা পাকস্থলির উপরের অংশে প্রদাহ বা সংক্রমণ তৈরি করতে পারে।
চকলেট: খেতে প্রায় সবাই ভালোবাসেন। তবে যাদের ইরিটাবল বওয়াল সিনড্রোম (আইবিএস) সমস্যা আছে তাদের চকলেট
চর্বি জাতীয় ও তেলে ভাজা খাবার: জিইআরডি এবং আইবিএস’য়ে আক্রান্ত রোগীর চর্বিযুক্ত এবং অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবার হৃদযন্ত্র, রক্তনালী ও ধমনীর স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক।
ছবি: রয়টার্স।