‘ঠাণ্ডা’র জন্য ঘরোয়া টোটকা

শীত মৌসুমে খুশখুশে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা হতেই পারে। সচেতন থাকলে এবং ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে এই ‘ঠাণ্ডা’ লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ইরা ডি কস্তাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2014, 12:02 PM
Updated : 3 Nov 2015, 10:51 AM

এ বিষয়ে কথা বলেন মিনিস্ট্রি অফ হেলথ ইকনমিক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তনামি চাকমা।

তিনি বলেন, “ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং বাতাস ছাড়াও ধুলাবালির কারণে খুশখুশে কাশি হতেই পারে। তাই এ সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই জরুরি।”

“শীতে অনেকেই গোসল করেন না, মনে করেন গোসল করলে ঠান্ডা লেগে যাবে। তবে এই ধারণা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে ভালোভাবে হাত-পা পরিষ্কার করা গেলে ধুলার কারণে হওয়া রোগের ঝুঁকি কম থাকবে।” বললেন ডা. তনামি।

খুশখুশে কাশি হলে মসলা চা উপকারি বলে জানান এই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, “আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসী, সামান্য লবণ ও মধু দিয়ে তৈরি লাল চা পান করলে উপকার পাওয়া যাবে। দিনে একাধিকবার এই চা পান করা যাবে। এতে গলার খুসখুসেভাব কমে আসবে।”

ডা. তনিমা জানান, এই কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার চটজলদি কোনও উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে কফ সিরাপ খাওয়া যেতে পারে। তবে কাশি দীর্ঘস্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুখ খেতে হবে।

এছাড়া ঠাণ্ডা-কাশিতে করণীয় কিছু বিষয় উল্লেখ করেন ডা. তনামি।

* নিয়মিত গোসল করা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

* ঠাণ্ডায় পানি খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। আর এতে ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং গলা শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই সারাদিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস ধরে রাখতে হবে।

* ঠাণ্ডা লাগলে বা খুসখুসে কাশি হলে গরম পানির ভাপ নাকে টেনে নিলে আরাম পাওয়া যায়। ফুটন্ত পানির ভাপ নিঃশ্বাসের সঙ্গে টেনে নিলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলেও তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

* সর্দি হলে অনেকে নাক পরিষ্কারের জন্য নাক ঝেড়ে থাকেন। তবে বেশি জোরে নাক ঝারলে শ্লেষ্মা কানের গ্রন্থিতেও ছড়িয়ে যেতে পারে বা কানের ভিতরে আঘাত লাগতে পারে। তাই নাক পরিষ্কার করতে বেশি জোরে নাক ঝারা উচিত নয়।

প্রতীকী ছবির মডেল: শিহাব। ছবি: শিশির।