মিথ্যে বললে ভুগতে হতে পারে

ফেইসবুকে বেশি ‘লাইক’ পাওয়ার জন্য কি আপনার প্রোফাইলে মিথ্যার আশ্রয়ে নেন? মনে রাখবেন এই অভ্যাস ভবিষ্যতে আপনাকে লজ্জায় ফেলে দিতে পারে।

সেঁজুতি শোণিমা নদীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2014, 11:24 AM
Updated : 21 Jan 2015, 03:42 PM

নতুন এক জরিপ থেকে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ‘বাস্তবতার উপর রং চড়ায়’ আর নিজেকে বাস্তব জীবনের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে।

সম্পর্ক, কাজের উন্নতি এবং ছুটি কাটানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রায়ই মিথ্যার আশ্রয় নেন বলেই নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানান। ডেইলি মেইল বলছে, এতে করেই অনেকসময় স্মৃতি ভারসাম্যহীণতা ভোগেন অনেকে।

জরিপে দেখা গেছে, দশজন টিন এইজ তরুণ-তরুণীর মধ্যে অন্তত একজন এই সমস্যায় ভোগেন। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৬ শতাংশ তরুণ সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, মিথ্যার আশ্রয় নিতে নিতে বাস্তবে তাদের সঙ্গে কী ঘটেছিল সেসব পুরোপুরি ভুলে গেছেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম পেনকারেজের এক জরিপে দেখা গেছে, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এখন ‘ডিজিটাল অ্যামনেশিয়া’য় ভুগছেন। এই সমস্যার ভুক্তভোগীরা নিজেদের সাজানো ঘটনাগুলোকেই একসময় সত্যি মনে করা শুরু করেন। ভুলে যান মিথ্যা বলার সময়টাতে তাদের জীবনে আসলে কী ঘটেছিল।

জরিপে আরও হয়, অনলাইনে নিজের সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরার সময় ৬৮ শতাংশ তরুণ বাড়িয়ে চড়িয়ে কিংবা একেবারে বানোয়াট গল্পই জুড়ে দেন।

“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বলার খারাপ দিকটা হলো, একসময় আমরা নিজেরাই এসব ভ্রান্তির গভীরতায় হারিয়ে যাই। আমরা তখন আমাদের নিজেদের স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, আওয়াজ এমনকী সত্ত্বাই ভুলে যাই।”

এই জরিপের প্রধান গবেষক এবং মনোচিকিৎসাবিদ রিচার্ড শেরি বলেন এসব কথা।

তিনি আরও জানান, এরকম ঘটলে অনেক সময় নিজের প্রতি অপরাধবোধ এবং বিতৃষ্ণা এসে যায়। যার ফলে উৎকণ্ঠা এবং বিষণ্নতারমতো মানসিক সমস্যা দেখা যেতে পারে।

ছবি: রয়টার্স।