জার্নাল অফ হেলথ অ্যান্ড সোসাল বিহেইভিয়র-এ প্রকাশিত তথ্য নিয়ে সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিবাহিত জীবন সুখের না হলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বিশেষ করে নারীদের।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ‘ন্যাশনাল সোশাল লাইফ, হেল্থ অ্যান্ড এইজিং প্রোজেক্ট’য়ের সংগ্রহ করা পাঁচ বছরের তথ্য পর্যালচনা করেন। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো’র দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত এই গবেষণার অংশগ্রহণকারীদের বয়স ৫৭ থেকে ৮৫।
তথ্য সংগ্রহের জন্য অংশগ্রহণকারীদের তাদের বৈবাহিক জীবনের ভালোমন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। পাশাপাশি তাদের ব্লাড প্রেশার ও প্রোটিনের মাত্রা ল্যাবে টেস্ট করার সঙ্গে কোন রকম অসুবিধা যেমন হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার কথাও জানাতে বলা হয়।
তথ্য পর্যালোচনা করে গবেষকরা দেখতে পান, বিবাহিত জীবনে আপনার সঙ্গী যদি দাবি আদায় করার চেষ্টায় থাকেন বা সবসময় আপনার সমালোচনা করেন তবে সেখান থেকে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এবং বিবাহিত থাকলে এই প্রভাব বাড়তেই থাকে।
আর হৃদয়ের উপর চাপ পড়ার বিষয়ে নারীরাই বেশি ভোগেন।
এই বিষয়ে গবেষণার প্রধান গবেষক হুই লিউ বলেন, “এটা হতে পারে কারণ মহিলারা নেতিবাচক অনুভূতিগুলো মনের গভীরে লুকিয়ে রাখে ফলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় আর সামগ্রীকভাব শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে।”
তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে হৃদরোগের জন্য নারীর বৈবাহিক গুণাবলী হ্রাস পায় তবে পুরুষদের তা হয় না।”
লিউ জানান, এইভাবে শরীর খারাপ থাকার কারণে একজন স্ত্রীর বিবাহিত জীবনের চিন্তাধারায় প্রভাব ফেলে, তবে স্বামীর অসুস্থতা সেভাবে কোনও প্রভাব ফেলে না।
গবেষকরা দাবি করেন, বিবাহিত জীবনের প্রতিটি ধাপে যে বৈবাহিক পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে তা তাদের গবেষণায় প্রমাণিত।
লিউ বলেন, “বৃদ্ধ বয়সে সুন্দর বৈবাহিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, ৪০ বা ৫০ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এটা দরকার।”
প্রতীকী ছবির মডেল: অ্যানিন ও তারেক। আলোকচিত্র: রিফাত।