বাগেরহাট শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে এর অবস্থান। পুরানো বাগেরহাট-রূপসা সড়কে যাত্রাপুর বাজার থেকে প্রায় প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে প্রাচীন ভৈরব নদীর পূর্ব দিকে এই মঠ।
অযোধ্যা গ্রামে অবস্থিত বলে এ নামেই বেশি পরিচিত। তবে কোদলা মঠ নামেও একে চেনেন অনেকে। কোদলা অযোধ্যার পার্শ্ববর্তী গ্রামের নাম। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হলেও অনেকটাই অযত্নে পড়ে আছে মহা মূল্যবান প্রাচীন এই স্থাপনা। মঠের উপরিভাগে বেড়ে ওঠা পরগাছা নষ্ট করছে বাইরের দেয়াল।
প্রবেশপথগুলোর উপরে পোড়া মাটিতে খোদাই করা লতা-পাতা, ফুল ইত্যাদি এখনো দৃশ্যমান। ভেতরের দিকে প্রায তের ফুট পর্যন্ত লম্বা গম্বুজ উপরের দিকে উঠে গেছে।
অযোধ্যা মঠের নির্মাণকাল নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থাপত্যিক বৈশিষ্টানুসারে অনুমান করা হয় এটি ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত।
বহুকাল আগে মঠের দক্ষিণ কার্নিসের নিচে প্রায় অদৃশ্যমান দুই লাইনের একটি ইটে খোদাই করা লিপি ছিল। সে লিপি অনুযায়ী সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে দেবতার অনুগ্রহ লাভের আশায় কোনো এক ব্রাহ্মণ মঠটি নির্মাণ করেছিলেন।
প্রায়োজনীয় তথ্য
বাগেরহাট শহর থেকে অটো রিকশায় মঠে যেতে সময় লাগে কম বেশি ত্রিশ মিনিট। রিজার্ভ নিয়ে গেলে যাওয়া আসার ভাড়া ৪শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।
রাজধানী থেকে বাগেরহাট যেতে পারেন সড়ক পথে। ঢাকার সায়দাবাদ ও গাবতলী বাস স্টেশন থেকে বাগেরহাটের বাস ছাড়ে। এছাড়া সড়ক কিংবা রেল পথে খুলনা এসে সেখান থেকেও সহজেই বাগেরহাট যা্ওয়া যায়।
বাগেরহাট শহরে থাকার জন্য সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। ৫শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায় কক্ষ মিলবে এসব হোটেলে।
ছবি: মুস্তাফিজ মামুন।