দাড়ি কামানোর টিপস

বাসায় যারা দাড়ি কামান তারা হয়ত জানেনই না গোসলের পর শেইভ করা সবচেয়ে ভালো।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2014, 10:06 AM
Updated : 25 Oct 2014, 04:03 PM

অনেকেই হয়ত অবাক হচ্ছেন। কারণ শেইভ তারপর গোসল। সেটাই তো প্রচলিত পদ্ধতি। তবে পুরুষ-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে নরসুন্দররা পরামর্শ দিয়েছেন গোসলের পরেই দাড়ি কামানো উত্তম।

কারণ গোসলের সময় যে গরমভাব শরীরে থেকে বের হয় তা লোমকূপ আলগা করে দিতে সাহায্য করে। ফলে দাড়ি কামাতে সুবিধা হয়। এছাড়া দাড়ি অনেক্ষণ ধরে ভিজলে কাটতে সুবিধা।

২০০৭ সালে 'জার্নাল অফ ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স'য়ে প্রকাশিত জরিপ থেকে জানা যায় দাড়ি ভিজে থাকলে ব্লেডে শতকরা ৩০ ভাগ কম চাপ প্রয়োগ করতে হয়।

আদ্রতা

আসলে দাড়িতে আদ্রতা শোষণের জন্য তিন থেকে চার মিনিট সময় প্রয়োজন হয়। কম চাপ মানে কম টানা। অর্থাৎ গালে বারবার ব্লেড টানা লাগে না আর এতে চামড়ায় চাপ পড়ে কম, লোমকূপ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর দাড়ি সুন্দরভাবে কামানো যায়।

তরল ব্যবহার

দাড়ি কামানোর আগে শেইভিং ক্রিম বা জেল ব্যবহার সবাই করেন। তবে এরও আগে আরেকটা জিনিস ব্যবহার করা উচিত। যার নাম 'প্রিশেইভ অয়েল'। এই তেল মুখের ত্বকের মড়া চামড়া উঠিয়ে দাড়ি কামানোতে সুবিধা করে।

মুখ মসৃণ মানে, অল্প খাটুনিতে দাড়ি শেইভ, ব্লেড বা রেইজরের কারণে ত্বকে কম ক্ষতি। 'প্রিশেইভ অয়েল' না পেলে গরম পানিতে পরিষ্কার তোয়ালে ভিজিয়ে চিপে পানি বের করে গরম তোয়ালে দিয়ে কিছুক্ষণ মুখ পেঁচিয়ে রাখুন।

অথবা শেইভ করার আগে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

ব্রাশ ব্যবহার

জেল বা ফোম ব্যবহারের জন্য সাধারণত হাতই ব্যবহার করা হয়। তবে এবার সেই অভ্যেস ত্যাগ করতে পারেন। ক্রিম ছাড়াও জেল বা ফোমও ব্রাশ দিয়ে গালে লাগান। কারণ ব্রাশের নরম সরু প্রান্ত যতবার মুখের উপর ঘুরবে দাড়ির গোড়া ততই নরম হতে থাকে। যা আঙুলে হয় না।

প্রথম অবস্থায় ফোম, জেল বা ক্রিম ব্যবহারের পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তারপর দাড়ি কামান। এতে শেইভ করা সহজ হবে।

তাছাড়া হাতে লেগে থাকা অতিরিক্ত ফোমের ফেনা ধুয়ে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না। তবে ব্রাশ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ফোম বা জেলের অংশটুকু পরের বারও ব্যবহার করা যায়।

ব্লেড

সবসময় নতুন, ধারালো রেইজর বা ব্লেড ব্যবহার করা উচিত। মুখে শেইভিং ক্রিম, জেল বা ফোম লাগিয়ে প্রথম অবস্থায় দাড়ির সোজা দিকে অল্প অল্প টানে দাড়ি কাটুন।

সোজা উল্টা

'ক্লিন শেইভ'য়ের জন্য প্রথমেই সোজাভাবে ব্লেড চালানো উচিত। পরেরবার মুখ ফেনা করে উল্টা সোজা যেভাবে সুবিধা সেভাবেই ব্লেড চালান।

সমাপ্তি

শেইভ শেষে 'আফটার শেইভ' ব্যবহার করার পর মুখে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার যুক্ত ক্রিম দিন। দাড়ি কামানোর পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ক্রিম না দিলে মুখে একটা সাদাটে শুষ্কভাব বিরাজ করবে।

এছাড়া আফটার শেইভ জেল পাওয়া যায় যেগুলো মুখে আদ্রভাবও বজায় রাখতে সাহায্য করে।