কোরবানির ঈদ মানেই ভোজন রসিকদের কাছে বাড়তি পাওনা। ইচ্ছে থাকলেও সারা বছর মনের মতো অনেক রেসিপি তৈরি করা সম্ভব হয় না। তবে কোরবানির এই সময়ে সবার বাসাতেই প্রচুর মাংস থাকে। আপনার পছন্দের অনেক রেসেপি তৈরি করে নিতে পারেন। এমন সুযোগ হাত ছাড়া করা মোটেও উচিৎ হবে না।
Published : 04 Oct 2014, 12:55 PM
পছন্দের রেসিপিগুলো তৈরি করতে ঝামেলা অনেকাংশে কমিয়ে দিতে পারে কিমা মেশিন ও কাবাব চুলা। আসুন জেনে নেই বাজারে থাকা বিভিন্ন ধরনের কাবাব চুলা ও কিমা মেশিনের খোঁজ খবর।
বাজারে বিদ্যুৎ চালিত ও হাতে চালানো এই দুই ধরনের কিমা মেশিন পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ চালিত কিমা মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাংস ব্লেন্ড বা মিহি করে ফেলে। হাতে চালিত কিমা মেশিনে মাংস ঢুকিয়ে হাতল ঘুরিয়ে মাংসকে মিহি করা হয়।
মাংসের রোয়ার ছোট ও বড় করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন আকারের ডাইস। এইসব মেশিনের সঙ্গে তিন বা চার ধরনের ডাইস পাওয়া যায়। মাংসের আকার আকৃতি ছোট বা বড় যে ধরনের করতে চান ঠিক সে ধরনের ডাইস ব্যবহার করতে পারেন।
বাজারদর
হাতে চালিত কিমা মেশিনগুলোর আকার ও আকৃতির ছোট-বড় হওয়ার উপর মূল্য নির্ভর করে, দরদামও। ছোট থেকে বড় প্রতিটি কিমা মেশিনের মূল্য ১ হাজার ২শ’ ৫০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বিদ্যুৎ চালিত কিমা মেশিনের দাম ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা।
বাজারে পাওয়া যায় স্ট্যান্ড ও কয়লার কাবাব চুলা। কয়লার কাবাব চুলাগুলোর উপরে শিক ও নীচে কয়লা রাখার জায়গা থাকে। এ ধরনের চুলায় নিচে গরম কয়লা ও উপরে শিকে কাবাব তৈরি করা হয়।
স্ট্যান্ড কাবাব চুলাতে স্ট্যান্ডের উপর শিক দেওয়া থাকে। এ ধরনের স্ট্যান্ড চুলায় কাবাব লাগিয়ে গ্যাসের চুলা, লাকরির চুলা কিংবা ইলেক্ট্রিক চুলার উপর রেখে কাবাব তৈরি করা যায়।
বাজারদর
স্ট্যান্ড কাবাব চুলাতে সাধারণত চার থেকে ছয়টি শিক থাকে। এ ধরনের প্রতিটি কাবাব চুলার মূল্য ৩শ থেকে ৬শ’ টাকা।
কয়লার কাবাব চুলায় সাধারণত ৫ থেকে ২০টি শিক থাকে। এ ধরনের প্রতিটি কয়লার কাবাব চুলার দাম সাড়ে ৫শ’ থেকে ১ হাজর ৫শ’ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যেখানে পাবেন
কাবাব চুলা ও কিমা মেশিনগুলো পাওয়া যায়— ঢাকার নিউ সুপার মার্কেট (নিউ মার্কেট), চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট (নিউ মার্কেটের পাশে) গুলশান ডিসিসি মার্কেট ১ ও ২, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স লেভেল ওয়ান, গুলশান অ্যাভনিউ’র ফিক্স ইট, উত্তরা মিরপুর ১০, বায়তুল মোকাররম মার্কেট।