এই সময়ে অনেক অল্প বয়সী মেয়েদের মধ্যে মেইকআপের প্রতি দূর্বলতা দেখা যায়। তবে অল্প বয়সেই অতিরিক্ত মেইকআপ ব্যবহার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, এমন তথ্যই জানা গেছে সাম্প্রতিক এক জরিপে।
Published : 27 Aug 2014, 04:39 PM
পশ্চিমা মেয়েরা অনেক অল্প বয়সেই মেইকআপ ব্যবহারের প্রতি আসক্ত হয়। আর স্যাটেলাইটের যুগে সেই বাতাস এসে লাগছে আমাদের দেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে।
বিপণন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ানপোলের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক জরিপে দেখা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে মেয়েরা প্রায় প্রতিদিনই তাদের ত্বকে মেইকআপ ব্যবহার করে থাকে।
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প বয়সেই মাত্রাতিরিক্ত মেইকআপ সামগ্রীর ব্যবহার ত্বকে প্রচুর ক্ষতি করে। অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কোনও প্রভাব না পড়লেও দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের স্থায়ী হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিনই মেইকআপ ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ মেয়েরা সঠিকভাবে মেইকআপ উঠাতে ভুলে যান। আর ৩৬ শতাংশ সারাদিনে এতটাই ক্লান্তি অনুভব করেন যে তারা আর মেইকআপ উঠাতে চান না।
ত্বক বিশেষজ্ঞ ক্যারোলিন ফ্রেজার বলেন, “১২ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত মেইকআপ ব্যবহারের ফলে সংবেদনশীল ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং অনেক সময় নানান ধরনের সমস্যাও দেখা দেয়। আর ত্বকের যত্নে প্রয়োজনীয় প্রসাধণী ব্যবহার না করার ফলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।”
“ত্বকের যত্নে ফেইস ওয়াশ এবং ক্লিনজার ব্যবহার করা দরকার। কারণ এই প্রসাধণীগুলো ত্বক পরিষ্কার করে রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। আর ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও জরুরি।” বললেন ফ্রেজার।
বর্তমানে মায়েরাও তাদের সন্তানের মেইকআপ আসক্তি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কারণ মেইকআপ ব্যবহারের কারণে তাদের ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা নিয়ে অভিযোগ করেন মায়েরা।
ফ্রেজার বলেন, “অল্প বয়সী মেয়েদের ত্বক সুন্দর থাকা খুবেই জরুরি। তবে তাদের ত্বকে যদি অল্প কিছু খুঁতও থাকে সেটাও ঢাকার জন্য তারা মেইক আপ ব্যবহার করে থাকে। তবে এতে করে তা ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি করে ফেলে।”
“নিয়মিত মেইকআপ ব্যবহার লোমকূপ বন্ধ করে ফেলতে পারে। এতে করে ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে এবং ব্রণ ও নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।” বললেন ফ্রেজার।
ছবি: রয়টার্স