পাকাচুল ঢাকার জন্য একটি অন্যতম একটি উপায় হল চুলে রং করা। নামিদামি প্রতিষ্ঠান এবং ব্র্যান্ডের হেয়ার কালার এখন বাজারে সহজলভ্য। পছন্দমতো রং বেছে নিলেই হল।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন হেয়ারোবিক্স ব্রাইডালের কর্ণধার ও রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন মিউনি।
ঈদের প্রস্তুতিতে অনেকেই কেশ রাঙাতে চান। এর জন্য প্রয়োজন হেয়ার কালার নির্বাচন এবং চুলগুলোকে সঠিকভাবে রাঙানো। তবে হেয়ার কালারের ক্ষেত্রে অনেকেই ছোট-খাটো ভুল করে থাকেন। যেমন বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দ কালো রং। তবে এ রংটি দৃষ্টিকটু কারণ কালো রংটি অনেকের চুলেই কৃত্রিম লাগে।
তাছাড়া পাকাচুল ঢাকতে অনেকেই মেহেদি পছন্দ করেন। হেনা লাগালে চুলে স্বাভাবিক রং ধরে। তবে গাঢ় রং পেতে চাইলে লোহার পাত্রে আমলা দেওয়া পানিতে সারারাত মেহেদি ভিজিয়ে পরদিন চুলে দিলে ভালো গাঢ় রং পাওয়া যায়।
চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বয়সি অনেকেই চুলে রং করতে ইতস্তত করেন। তারা মনে করেন চুলে রং করালে তাদের একেবারেই ভালো দেখাবে না। তাদের জন্য ‘লো লাইটিং’ কালার করান যেতে পারে। এ কালারে কাঁচাপাকা-ভাবটি বজায় থাকে। তাই দেখতে স্বাভাবিক লাগে।
বাসায় চুল রং করানোর ক্ষেত্রে ছোট-খাট ভুল হয়ে থাকে। আবার পার্লারে রং করার সময়ও একই রকম ভুল হতে পারে। ফলে হেয়ার কালারের পর অনেককেই দেখতে অস্বাভাবিক দেখায়।
সে কারণে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
কেশ রাঙাতে সতর্কতা
- রং করার জন্য বেছে নিতে হবে ভালো পার্লার।
- ত্বকের সঙ্গে মানানসই রং বাছাই করতে হবে।
- বাংলাদেশিদের ত্বকের সঙ্গে 'ব্লন্ড' রং একেবারেই মানানসই নয়। আর তাই বেছে নেওয়া যেতে পারে চেস্টনাট, ব্রাউন, রিচ মেহগনি, বর্গেন্ডি ইত্যাদি রং।
- রং বাছাইয়ে কোনো সমস্যা হলে একজন দক্ষ পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলে নেওয়া যেতে পারে।
- সবসময় ভালো ব্র্যান্ডের রং বাছাই করতে হবে।
ছবির মডেল: আশা।
মেইকআপ: হেয়ারোবিক্স ব্রাইডাল।
ছবি: ই স্টুডিও।