এক্ষেত্রে ওজন কমাতে বেছে নিতে পারেন পার্ট টাইম ডায়েট।
নিজের পছন্দের খাবারগুলো পুরোপুরি দূরে না সরিয়ে বরং খাবারের পরিমাণ কমিয়ে পাশাপশি নিয়ম করে কিছুটা নিরামিষ বা সালাদ খেলে ওজন কমিয়ে আনা যায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে এমনটাই বলেছেন ফিলাডেলফিয়ার পুষ্টিবিদ ডা. জেনেট ব্রিল।
তার মতে, বাইরে বা জিমে গিয়ে ঘাম ঝড়িয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন কমানোর চাইতে ধীরে সুস্থে কিছুটা রুটিন মেনে পার্ট টাইম ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব।
আর এ জন্য অনুসরণ করতে হবে সহজ কিছু ধাপ।
ওজন কমানোর বিষয় এলেই প্রথমেই যা মাথায় আসে তা হল, ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া।
তবে দিনে ৮০০-এর কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে ওজন কমানোর বদলে শরীরে ক্ষতিই হয় বেশি।
অতিরিক্ত কম ক্যালোরি গ্রহণের ফলে যে কারোর মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কর্মশক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি সারাদিন মেজাজ বিগড়ে থাকতে পারে।
ডা. ব্রিল বলেন, “কম ক্যালোরি গ্রহণের ফলে ওজন না কমে বরং স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। তাই নিয়মকরে পরিমাণমতো ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।”
প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে না অনেকেরই। তবে দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে কিছুটা ঘাম ঝড়ালে যে বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণ করবেন তা বের হয়ে যাবে শরীর থেকে। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ব্রিল। তাছাড়া প্রতিদিনের ব্যায়াম ওজন কমানো ছাড়াও মন ভালো রাখার পাশাপাশি কর্মশক্তিও বাড়িয়ে তুলবে।
অনেকেই শুধু ওজন কমানোর বিষয় মাথায় রেখে ডায়েট বা ব্যায়াম করে থাকেন। তবে শুধু আকর্ষনীয় স্বাস্থ্যের জন্য নয় বরং সুস্থ থাকার জন্যও বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলা উচিত বলে জানিয়েছেন ডা. ব্রিল।