ত্বকের ধরন বুঝে ফেইসপ্যাক ব্যবহার করলে মুখ ভালো মতো পরিষ্কারের পাশাপাশি যত্নটাও ভালো হয়।
Published : 15 May 2014, 08:42 AM
ত্বক উপযোগী ফেইসপ্যাক সম্পর্কে জানাচ্ছেন আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।
শুষ্ক ত্বকের একটা বড় সমস্যা হল— বলিরেখা। সাধারণত ত্বক বেশি শুষ্ক হলে মুখে বার্ধক্যের ছাপ তাড়াতাড়ি পড়ে।
ত্বক তৈলাক্ত হলে বলিরেখা তাড়াতাড়ি না পড়লেও, এ ধরনের ত্বকের বড় সমস্যা হল ফেইসপ্যাক ব্যবহার করার কিছুক্ষণ পর আবার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়।
মেইকআপ করে শান্তি পাওয়া যায় না। কারণ কিছুক্ষণ পর ত্বকে কালচেভাব আসে। অনেক সময় অতিরিক্ত তেলতেলে হওয়ার কারণে মেইকআপ ঠিকভাবে বসে না। এছাড়া তৈলাক্ত ত্বকের প্রধান সমস্যা হল ব্রণ।
ধরন অনুযায়ী ফেইসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যা সমাধান করা সহজ হয়।
ব্রণ থেকে বাঁচতে ত্বকের সমস্যা মাথায় রেখে সপ্তাহে একদিন ফেইসপ্যাক লাগিয়ে ২০ মিনিটি রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। ফেইসপ্যাক লাগালেই হয়তো ব্রণ পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে না। তবে সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
হাতের কাছে অনেক জিনিস দিয়েই ত্বক উপযোগী ফেইসপ্যাক তৈরি করা যায়। সব ধরনের ত্বকের জন্য ঘরেই তৈরি করতে পারেন প্রয়োজনীয় ফেইসপ্যাক।
এই প্যাক তৈরি করতে লাগবে: ১ চা-চামচ হলুদগুঁড়া। ১ চা-চামচ বেসন। আধা চা-চামচ মধু।
সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ফেইসপ্যাক তৈরি করুন। এরপর পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে সার্কেল এবং অ্যান্টিসার্কেল ভাবে ২ মিনিট মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।
মুখে আদ্রভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে বলে এই ফেইসপ্যাক শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশি উপকারি।
এছাড়াও বিউটি পার্লারে অনেক ধরনের ফেইসপ্যাক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মাসে একবার ফেইশল করালে ভালো।
ফেইসপ্যাক সাধারণত সমস্যা অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা হয়।
এছাড়াও মার্কেটে অনেক প্রতিষ্ঠানের ফেইসপ্যাক কিনতে পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেইসপ্যাক কিনে নিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। সবসময় ভালো ও নামকরা প্রতিষ্ঠানের ফেইসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত।
মডেল: এমি
ছবি: অপূর্ব খন্দকার