নিরামিষ রেস্তোরাঁ

পুরান ঢাকার খাবার মানেই বিরিয়ানি, কাবাব আর মসলাদার সব মজাদার খাবার। তবে নিরামিষ খেতে চাইলেও ঢুঁ মারতে পারেন সেখানে। শুধুই নিরামিষ খাবার বিক্রি হয় এমনই ৩টি খাবার দোকান হচ্ছে— বিষ্ণুপ্রিয়া, আদি গবিন্দ ও জগন্নাথ ভোজনালয়।

মলয় গাঙ্গুলীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2013, 05:06 AM
Updated : 7 Nov 2013, 11:24 AM

বিষ্ণুপ্রিয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, পুরান ঢাকার ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির বিপরীতে মোবাইল কমপ্লেক্সের নিচে এই রেস্তোরাঁ। মোটেই জাঁকজমকপুর্ণ নয়। তবে খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রুচিসম্মত পরিবেশ।

বিষ্ণুপ্রিয়া রেস্তোরাঁর মালিক সখা মধু মঙ্গল বলেন, “এখানে প্রতিদিন ২১ প্রকার খাবার পরিবেশন করা হয়।”

তিনি আরও জানান, তার কোনো ফ্রিজ নেই তাই প্রতিদিনের বাজার প্রতিদিন করা হয়।

খাবার এলেই বোঝা যায় আসলে তা কতটা আকর্ষণীয়। প্রথমেই বড় ২টি স্টিলের প্লেটের একটিতে ভাত আর একটিতে ছোট ছোট বাটিতে হরেক রকমের তরকারি। যে কেউ ইচ্ছেমতো এগুলো থেকে বেছে নিতে পারেন।

দাম— ভাতের প্লেট ১০ টাকা। ভুনা খিচুরি ৩০ টাকা। পায়েস, করলা ভাজি, মুগ ডাল, বুট ডাল, কচু শাক, লাউয়ের ডগা ১৫ টাকা। কাশ্মীরি পনির ৩০ টাকা। চাটনি, টক ডাল ১০ টাকা। পটল ভাপা ২০ টাকা। ফুল কপি ২৫ টাকা। পাঁচ তরকারি ২০ টাকা। প্রায় ধরনের সবজির তরকারি পাওয়া যায়।

মঙ্গল বলেন, “একশ টাকার মধ্যেই যে কেউ পেট ভরে খেতে পারবেন।”

তবে সবজির দামের উপর নির্ভর করে খাবারের দাম পরিবর্তিত হয় বলে জানান, মানেজার স্বপন দাস।

খাবারের দাম নেওয়ার ফাঁকে মালিক সখা মধু মঙ্গল দাস বলেন, “আমাদের বিশেষ খাবার কাশ্মিরী পনির। এটি আসলে পনির নয়, তৈরি হয় আটা আর তেল দিয়ে। শহরের কোথাও পাবেন না এই খাবার। তৈরি করাও অনেক কঠিন।”

এখানকার আরেকটি বিশেষ খাবার সয়াবিনের তরকারি। একে সয়াবিনের মাংসও বলে, খেতেও মাংসের মতো।

এছাড়াও পুরান ঢাকার তাঁতি বাজারের শিব মন্দিরের কাছেই আছে আরও ২টি নিরামিষ খাবারের দোকান। ‘আদি গবিন্দ’ এবং ‘জগন্নাথ ভোজনালয়’।

এখানেও বিষ্ণুপ্রিয়া রেস্তোরাঁর মতো একই ধরনের নিরমিষ খাবার পরিবেশন করা হয়।