বয়ঃসন্ধির বেড়াজাল

চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু শারীরিক পরিবর্তনের কারণেই বয়ঃসন্ধির সময় মানসিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বিএসএমএমইউ-এর মনোচিকিৎসক এবং কাউন্সিলর ডা. শরিফুল ইসলাম রাসেল।

ইশরাত মৌরিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2013, 11:13 AM
Updated : 15 Sept 2013, 11:13 AM

বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে কমবেশি সবার কিছু না কিছু জানা আছে। এই বয়সে একটা ‘ফ্যান্টাসি’ কাজ করে। কিংবা ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতাই এই বয়সে খুব কম থাকে। এগুলোর কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও আছে।

শারীরিক পরিবর্তন

যদিও বয়ঃসন্ধি শুরুর সাধারণ বয়সসীমার মধ্যে ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। তবে গড়পড়তা মেয়েদের এই প্রক্রিয়া ছেলেদের ১-২ বছর আগে শুরু হয় (গড় বয়স : মেয়েদের ৯-১৪ বছর। ছেলেদের ১০-১৭ বছর)। আর অল্প সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধির প্রথম লক্ষণ দেখা দেওয়ার চার বছরের মধ্যেই মেয়েরা তাদের উচ্চতা ও প্রজনন পরিপূর্ণতা লাভ করে। এক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে ছেলেদের বৃদ্ধি হয় একটু ধীরে।

ছেলেদের বয়ঃসন্ধির পরিবর্তন শুরুর ৬ বছরের মধ্যে তারাও পরিপূর্ণতা লাভ করে। বয়ঃসন্ধির শুরু হয় জিএনআরএইচ (গোনাডাট্রপিন-রিলিজিং হরমোন)-এর উচ্চ স্পন্দনের মাধ্যমে। যা যৌন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। জিএনআরএইচ বৃদ্ধির কারণ ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে।

বয়ঃসন্ধি সাধারণত পুরুষের ৫৫ কেজি এবং মেয়েদের ৪৭ কেজি ওজনে শুরু হয়। শরীরের ওজনের এই পার্থক্যের কারণ জিএনআরএইচ বৃদ্ধি। যা লেপ্টিনের (এক প্রকার প্রোটিন হরমোন) চাহিদা বাড়িয়ে দেয়।

এটা জানা গেছে যে হাইপোথ্যালামাস (মগজের এক ধরনের বিশেষ প্র্রোটিন), লেপ্টিন গ্রহীতা হিসেবে কাজ করে। যেগুলো জিএনআরএইচ সংশ্লেষ করে। দেখা যায় যাদের লেপ্টিন উদ্দীপ্ত হতে দেরি হয় তাদের বয়ঃসন্ধি শুরু হতেও দেরি হয়। লেপ্টিনের পরিবর্তন বয়ঃসন্ধির প্রারম্ভেই শুরু হয় এবং প্রাপ্তবয়স্কতা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়।

যদিও বয়ঃসন্ধির শুরুর সময় দেহের পরিবর্তন বংশানুক্রমিক কারণেও পরিবর্তিত হতে পারে।

ছেলেদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তন

১। শুক্রাশয়ের আকার ও কাজের পরিবর্তন।

২। শ্রোণিদেশে লোম অথবা পিউবিক হেয়ার।

৩। শরীর, বাহুমূলের নিচে ও মুখে লোম।

৪। আওয়াজ পরিবর্তন অর্থাৎ কণ্ঠস্বরে গম্ভীর ভাব।

মেয়েদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তন

১। স্তন বৃদ্ধি। ভারী আর বোটার মতো একটা অংশ গড়ে উঠবে যাকে ইংরেজিতে বলা হয় নিপল (nipple)।

২। যোনি, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়।

৩। শ্রোণিদেশে লোম অথবা পিউবিক হেয়ার। ও বাহুমূলের নিচে লোম।

৪। রজঃচক্র।

৫। দেহের আকার, মেদ।

৬। কণ্ঠের পরিবর্তন।

যা করণীয়

বয়ঃসন্ধিকাল চলার সময় ছেলেমেয়ের খাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবার যেমন ডিম, দুধ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি খাবার খাওয়াতে হবে। খেলাধুলা, সময়মতো ঘুম আর খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। দরকার পড়লে পুষ্টিবিদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এ সময় বাবা-মা, বড় ভাইবোন এবং শিক্ষকদের বাড়তি মনযোগ এবং যথাযথ যৌনশিক্ষা প্রয়োজন।

মানসিক পরিবর্তন

যেহেতু বয়সের সঙ্গে শারীরিক পরিবর্তন হচ্ছে, তাই এ সময় মানসিক পরিবর্তনও এসে থাকে। যেমন--

১। খুব চঞ্চল কিংবা একদম চুপচাপ।

২। খিটখিটে মেজাজ।

৩। নতুন কিছু জানার আগ্রহ।

৪। খুব জেদি। আবার কেউ কেউ খুব বাধ্যগত থাকে।

৫। নিজেকে আলাদা করে রাখা কিংবা খুব মিশুক আচরণ।

এছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আরও অনেক ধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে।

করণীয়

বয়ঃসন্ধির সময় ছেলেমেয়ে ফ্যান্টাসি বা একটা ঘোরের মধ্যে থাকে। তাই ভালো বা খারাপ বোঝা তো পরের কথা, খারাপ জিনিসের প্রতি সহজেই প্রলুব্ধ হয়।

সুতরাং এই সময় সন্তানকে বাবা-মায়ের প্রচুর সময় দেওয়া উচিৎ। আজকাল সবারই প্রায় ১-২টি বাচ্চা। তাই আমি মনে করি এখন সময় দেওয়া সহজ।

যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে আরও অনেক কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি এসবের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। এখন সময়ই হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের যুগ। তাই ওদের চিন্তাধারাও সেভাবে এগুচ্ছে।

একসময় ঘরের বাইরে খেলতে যাওয়াই ছিল আনন্দের বিষয়। এখন মাঠ কমে গেছে। ইন্টারনেটের যুগে ছেলেমেয়েরা ফেইসবুকে সময় কাটাচ্ছে।

একটা বাচ্চা সারাদিন নিশ্চয় পড়ালেখা নিয়ে থাকবে না। স্কুল থেকে ফিরেই খাওয়া, ঘুম, কোচিংয়ে যাওয়া। বাসায় প্রাইভেট পড়া। আবার রাতে পড়তে বসা। একঘেয়েমি কাটাতে হলেও সে টিভি দেখবে। ইন্টারনেটে ঘোরাফেরা করবে।

আগে বাচ্চার হাতে থাকত ঝুনঝুনি, পুতুল, খেলনা-গাড়ি ইত্যাদি। আর এখন বোধবুদ্ধি হওয়ার আগেই হাতে তুলে নেয় মোবাইল।

বাচ্চাদের গ্যাজেটের প্রতি আকর্ষণ হবেই। তাই বলে সেটা যাতে নেশায় পরিণত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

আজকাল বেশিরভাগ বাচ্চা পাঠ্যবইয়ের বাইরে কিছু পড়তে চায় না। যারা আলাদা জ্ঞান অর্জন করতে চায় তারা ইন্টারনেট ঘেটে বের করে ফেলে। সেটা খারাপ কিছু না। তবে বই থেকে সাহিত্য, উপন্যাস চর্চা করার যে আনন্দ সেটা হয়তো হাজার ইন্টারনেট খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

এই জন্য বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই পড়ার অভ্যাস করানো উচিত। প্রতি বছর একুশে বইমেলা হয়। সেখানে একটু সময় করে ওদের নিয়ে যাবেন। বাইয়ের দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের বই কিনে দিয়ে পড়ার অভ্যেস তৈরি করতে চেষ্টা করবেন।

বাচ্চারা বড় হওয়া শুরু করলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতিও আকর্ষণ বাড়তে থাকে। এটাই স্বাভাবিক। তবে উঠতি বয়সীদের মধ্যে অনেকেরই ইন্টারনেটের পর্নোছবি দেখার প্রবণতা দেখা দেয়। ফলে পরিবারের বাইরে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অন্য রকমভাবে বাড়তে থাকে। যেখানে সম্মান দেখানোর কোনো চেষ্টা থাকছে না। একটু বড় হলে একসময় এসব থেকেই বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর-কিশোরী।

পরিসংখ্যান করে দেখা গেছে স্কুলপড়ুয়া বাচ্চারা যারা মোবাইল ব্যবহার করছে তাদের কাছে এসব অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। যখন ধরা পড়ছে তখন শাস্তি হিসেবে অনেক সময় স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এতে বাচ্চাটা আরও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এর থেকে বরং বাসায় ইন্টারনেট থাকা ভালো। তবে আপনার সন্তান ইন্টারনেটে কী করছে, কী দেখছে— সেসব অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবেন। এতে দূরত্ব দূর হবে।

বাসায় অনেকেরই আলাদা রুম থাকে। অনেক কিশোর-কিশোরী দরজা আটকে নিজের ঘরে থাকতে চায়। এটা করতে দেবেন না। বুঝিয়ে বলবেন, যেন দরজা ভিড়িয়ে পড়ালেখা বা কাজ করে। কারণ দরজা লাগানোর পর ওপাশে কী হচ্ছে তা আপনি জানতে পারছেন না। এতে আপনার সঙ্গে যেমন দূরত্ব বাড়ছে, তেমনি সেও অপরাধ করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।

সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক হলে, তার সঙ্গে যৌনবিষয়ক ব্যাপারগুলো আলোচনা করতে পারেন। দরকার হলে এসব বিষয়ে ভালো বই কিনে দেবেন।

লজ্জা বা অস্বস্তি বোধ এসব ক্ষেত্রে না রাখাই ভালো। মনে রাখবেন, সন্তান প্রথম তার নিজের পরিবার থেকেই সব কিছু শেখে। আপনি যতই এসব ব্যাপার ওদের কাছ লুকানোর চেষ্টা করবেন ততই সে খারাপ জিনিসের প্রতি এগুতে থাকবে। কারণ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতির ঝোঁক সব মানুষেরই থাকে।

ছেলেদের এই বয়সে স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরে অনেকেই। তাই বাবারা এই বিষয়েও সন্তানকে ভালো করে বুঝিয়ে দিলে, সে চিন্তিত হবে না।

আবার মেয়েদের ঋতুস্রাব হয়ে থাকে এই বয়সে। ভয় যাতে না পায়, এ কারণে মা তার মেয়েকে আগে থেকেই এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে রাখবেন।

এ সময় বাচ্চাদের পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে যাওয়ার প্রবনতা থাকে। তাই সবসময় খোঁজখবর রাখবেন। স্কুলে সব ক্লাস করছে কি না, পরিক্ষায় মন দিচ্ছে কি না, শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ নেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো করতে হবে। এ ব্যাপারে শুধু মায়েদের দায়িত্ব নিলেই হবে না, বাবাদেরও এই দায়িত্ব নেওয়া উচিৎ।

ছুটির দিনে অন্তত ২ ঘণ্টা বাচ্চাকে নিয়ে পড়ালেখা করাতে বসবেন। এতে সন্তান আপনার সঙ্গে ফ্রি হবে, যেটা বুঝবে না সেটা আপনাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে শিখবে।

বয়ঃসন্ধির সময় স্কুলে পড়ার কারণে ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে ক্লাসের সঙ্গীদেরই বন্ধুত্ব হয়। আপনার সন্তান কার সঙ্গে মিশছে, কেমন তার বন্ধুবান্ধব— এসব দিকে খেয়াল রাখা অভিভাবকের দায়িত্ব।

এই বয়সে বন্ধু বাছাই করতে পারে না। কে ভালো, কে খারাপ সেটা বোঝার ক্ষমতা তাদের থাকে না। তাই এই ব্যাপারে তাকে সাহায্য করতে পারেন। তাই বলে জোর করে নয়।

কিশোর বয়সে অনেক রকম বন্ধু গড়ে ওঠে। যদি দেখেন কারও কারণে আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে, সে ব্যাপারে বাচ্চাকে বোঝানো কিংবা ওই বাচ্চার খারাপ জিনিসটা তার পরিবারের কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। এতে আপনার বাচ্চার পাশাপাশি ওই বাচ্চারও মঙ্গল হবে।

স্কুলে পড়ার সময় থেকে কলেজে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাচ্চাকে একা কোনো বন্ধুর সঙ্গে না ছাড়াই ভালো।

আজকালকার ছেলে-মেয়েরা জন্মদিনের উৎসব কিংবা পার্টি দেয় আলাদা কোনো রেস্টুরেনটে। দেখা যায় সেখানে অভিভাবকরা থাকেন না। এটা উচিত নয়। বরং বাসায় দাওয়াত দেবেন। একসঙ্গে ঘরোয়া পার্টি কিংবা অনুষ্ঠান করবেন। এতে অন্যান্য অভিবভাবকদের সঙ্গেও আপনার সখ্যতা গড়ে উঠবে। এতে বাচ্চাদের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে উঠবে।

বড়দের সম্মান করা, সালাম দেওয়া, বাসায় কেউ আসলে তাদের সঙ্গে গল্প করা, আপ্যায়নে সাহায্য করা— এসব বিষয়ে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।

বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবেন সঙ্গে করে। ঘরে কখনও একা ফেলে চলে যাবেন না। এতে বাচ্চা একগুয়ে হয়ে যায়। পরে কোনো অনুষ্ঠানে যেতে চায় না বা বলবে ‘বোরিং’ লাগে।

এ ধরনের কথা যতই বলুক, শুনবেন না। বুঝিয়ে-শুনিয়ে নিয়ে সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এতে সে মিশুক হবে। এছাড়া ছুটির দিনে খালাত, ফুপাত, চাচাত ভাইবোনদের বাসায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ওদের কে বাসায় দাওয়াতও দিতে পারেন। এতে আপনার সন্তান যেমন মিশুক প্রকৃতির হবে তেমনি সামাজিক শিক্ষাটাও পেয়ে যাবে।

এ সময় ধর্মীয় শিক্ষাটাও জরুরি। পড়া লেখার পাশাপাশি সন্তানকে নাচ, গান, ছবি আঁকা, সাইকেল চালান, সাঁতার ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখবেন। শুধু পাঠ্যবই নয়, এর বাইরেও যে আরও অনেক কিছু জানতে হবে সেটা তাকে বুঝিয়ে বলবেন।

বয়ঃসন্ধির সময় মন থাকে খুব স্পর্শকাতর। একটু কিছু বললেই মন খারাপ করে। রাগ বা জেদ করে। তাই খুব দরকার না হলে বকবেন না, মারবেনও না। নইলে দেখা যাবে মার খাওয়ার ভয়ে আপনার কাছে অনেক কথা লুকাচ্ছে। তারপর আস্তে আস্তে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এর থেকেই আপনার সন্তান মাদকজগতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে যা চাইবে তাই দিতে হবে, সেটাও ঠিক নয়। তাকে বুঝাতে হবে যে সবকিছু চাইলেই পাওয়া যাবে না। সামর্থ্য আছে বলে আপনি হয়তো সন্তান যা চাইবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে আপনার সন্তানের কোনো বন্ধুর বাবা-মায়ের তেমন সামর্থ্য নেই। আপনার সন্তানকে দেখে সেই বন্ধুও তার মা-বাবার কাছে আবদার করতে পারে। আবদার পূরণ না হলে, অপরাধে জড়িয়ে ওই জিনিসটা যে করেই হোক পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

এটা আসলে বলা যায় বয়সের দোষ। এ জন্য আপনার সন্তানের পাশাপাশি সমাজের বাকি ছেলেমেয়েদের কথাও চিন্তা করবেন। আর সন্তানকে অবশ্যই বুঝাবেন যে, আপনারা কত কষ্ট করছেন ওদের জন্য। কিংবা কত কষ্ট করে টাকা রোজগার করছেন। এতে সে যখন কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিসের আবদার করবে তখন সে ভেবে দেখবে আসলেই জিনিসটা কেনা ঠিক হবে কি না।

সন্তানের বয়ঃসন্ধিসময়ের বিষয়গুলো মা-বাবার জন্য খুব চ্যলেঞ্জের বলা যেতে পারে। এটা খুবই নাজুক সময়। একটা ভুল পদক্ষেপ হয়তো সন্তানের ভবিষ্যতে জন্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

শেষে একটাই পরামর্শ, এই সময় যে শিক্ষা এবং নীতির বীজ বুনবেন সে রকম ফলই ভবিষ্যতে আপনার সন্তানের কাছ থেকে পাবেন।